নন্দন, পশ্চিমবঙ্গ চলচ্চিত্র কেন্দ্র পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় অবস্থিত একটি সরকারি প্রেক্ষাগৃহ ও চলচ্চিত্র উৎকর্ষ কেন্দ্র। পশ্চিমবঙ্গের চলচ্চিত্র শিল্পের বিকাশ ও সাধারণ মানুষের মধ্যে চলচ্চিত্র-সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দ্যেশ্যে ১৯৮৫ সালের ২ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক নন্দন প্রতিষ্ঠিত হয়। নন্দনের সুদৃশ্য স্থাপত্যবিশিষ্ট ভবনটির দ্বারোদ্ঘাটন করেছিলেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়। নন্দনের প্রতীকচিহ্নটিও তিনিই অঙ্কন করেন। উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতিবসু, নন্দন প্রতিষ্ঠার পিছনে যার অবদান অনস্বীকার্য, কলকাতার অন্যতম প্রধান সংস্কৃতি কেন্দ্র নন্দন বর্তমানে শুধু কলকাতা শহরই নয়, বরং সমগ্র পূর্ব ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় চলচ্চিত্র কেন্দ্র।

নন্দন
নন্দনের প্রবেশপথ। উপরে সত্যজিৎ রায় অঙ্কিত প্রতীকচিহ্নটি খোদিত
মানচিত্র
বিকল্প নামপশ্চিমবঙ্গ চলচ্চিত্র কেন্দ্র
সাধারণ তথ্য
অবস্থাসক্রিয়
স্থাপত্য রীতিআধুনিক
অবস্থানএ.জি.সি বসু সড়ক ও ক্যাথেড্রাল সড়ক জংসন
ঠিকানা১/১, লালা লাজপাত স্বরণী, এ.জি.সি বসু সড়ক[১]
শহরকলকাতা
দেশভারত
উদ্বোধন২ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৫
পুনঃসংস্কারএপ্রিল ২০১১
স্বত্বাধিকারীপশ্চিমবঙ্গ সরকার
নকশা এবং নির্মাণ
স্থপতিঅভিতাভ সেনগুপ্ত
অন্যান্য তথ্য
আসন ধারণক্ষমতানন্দন ১: ৯৩১
নন্দন ২: ২০০
নন্দন ৩: ১০০

নন্দন চলচ্চিত্র কেন্দ্রে উৎকৃষ্ট মানের চলচ্চিত্র প্রদর্শনের পাশাপাশি চলচ্চিত্র বিষয়ে আগ্রহ বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন পাঠ্যক্রম ও কর্মশালার আয়োজন করা হয়। নন্দনে একটি গ্রন্থাগারও রয়েছে, যেখানে চলচ্চিত্র বিষয়ক সাম্প্রতিকতম প্রকাশনাগুলিও লভ্য। বিভিন্ন আকাদেমিক কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে নন্দনের প্রকাশনা বিভাগটি বিভিন্ন গ্রন্থও প্রকাশ করে থাকে। যে সকল ফিল্ম সোসাইটি ও অন্যান্য সংগঠন উৎকৃষ্ট মানের সিনেমা নির্মাণ অথবা প্রদর্শনের ব্যাপারে বদ্ধপরিকর, নন্দন তাদের উপস্থাপনার জন্য শ্রেষ্ঠ সুযোগসুবিধাগুলি দান করে। আবার মূলধারার উৎকৃষ্ট বাণিজ্যিক ছবিও এই প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হয়ে থাকে। চলচ্চিত্র প্রদর্শন ছাড়াও নন্দনে নিয়মিত আয়োজিত হয় বিভিন্ন সেমিনার ও চলচ্চিত্র রেট্রোস্পেকটিভ। কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের প্রধান অনুষ্ঠানস্থলও নন্দন।

নন্দন ভবনটি দক্ষিণ কলকাতার নন্দন-রবীন্দ্রসদন সাংস্কৃতিক প্রাঙ্গনের একটি অংশ। মূল ভবনে চলচ্চিত্র প্রদর্শনের জন্য রয়েছে মোট তিনটি অডিটোরিয়া – নন্দন-এক, নন্দন-দুই ও নন্দন-তিন। এই হলগুলির ধারণ ক্ষমতা যথাক্রমে ৯৩১, ২০০ ও ১০০। এছাড়া নন্দন-চার অডিটোরিয়ামটি ব্যবহৃত হয় শুধু সেমিনার ও সাংবাদিক সম্মেলনের উদ্দেশ্যে। নন্দন-দুই অডিটোরিয়ামের সম্মুখস্থ লবিটি ব্যবহৃত হয় প্রদর্শনীর উদ্দেশ্যে।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Nandan 1 KFF"। KFF। ৭ মে ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ মে ২০১৩ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা