দ্য লাস্ট কিং অব স্কটল্যান্ড (চলচ্চিত্র)

২০০৬-এর চলচ্চিত্র

দ্য লাস্ট কিং অব স্কটল্যান্ড ২০০৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি ব্রিটিশ-জার্মান ঐতিহাসিক নাট্য চলচ্চিত্র। গাইলস ফোডেন-এর উপন্যাস দ্য লাস্ট কিং অব স্কটল্যান্ড অবলম্বনে চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়েছে। পিটার মর্গানজেরেমি ব্লক ছবিটির চিত্রনাট্য রচনা করেন। কেভিন ম্যাকডোনাল্ড ছবিটি পরিচালনা করেন। যুক্তরাজ্য ও জার্মানির যৌথ প্রযোজনায় ছবিটি নির্মিত হয়।[]

দ্য লাস্ট কিং অব স্কটল্যান্ড
যুক্তরাজ্যের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পোস্টার
পরিচালককেভিন ম্যাকডোনাল্ড
প্রযোজক
চিত্রনাট্যকার
উৎসগাইলস ফোডেন কর্তৃক 
দ্য লাস্ট কিং অব স্কটল্যান্ড
শ্রেষ্ঠাংশে
সুরকারআলেক্স হেফেস
চিত্রগ্রাহকঅ্যান্থনি ডড ম্যান্টল
সম্পাদকজাস্টিন রাইট
প্রযোজনা
কোম্পানি
পরিবেশকফক্স সার্চলাইট পিকচার্স
মুক্তি
  • ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৬ (2006-09-27) (যুক্তরাষ্ট্র)
  • ১২ জানুয়ারি ২০০৭ (2007-01-12) (যুক্তরাজ্য)
স্থিতিকাল১২৩ মিনিট[]
দেশ
  • যুক্তরাজ্য[]
  • জার্মানি[]
ভাষা
  • ইংরেজি
  • সোয়াহিলি
নির্মাণব্যয়$৬ মিলিয়ন[]
আয়$৪৮.৪ মিলিয়ন[]

নিকোলাস গারিগান (জেমস ম্যাকঅ্যাভয়) নামে একজন কাল্পনিক চিকিৎসক উগান্ডার স্বৈরশাসক ইদি আমিনের (ফরেস্ট হুইটেকার) ব্যক্তিগত চিকিৎসক নিযুক্ত হন। আমিনের শাসনের ঘটনাবলি এখানে আলোচিত হয়েছে। একজন সাংবাদিক সংবাদ সম্মেলন হতে যাচাই করতে চান, ইদি আমিন নিজেকে স্কটল্যান্ডের রাজা উপাধি দিয়েছেন কিনা। এখান থেকেই ছবিটির নাম হয়েছে "দ্য লাস্ট কিং অব স্কটল্যান্ড।" হুইটেকার ২০০৭ সালে ইদি আমিন চরিত্রে অভিনয় করে অস্কার পুরস্কার লাভ করেন।

কাহিনীসংক্ষেপ

সম্পাদনা

নিকোলাস গারিগান এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় হতে ১৯৭০ সালে স্নাতক সম্পন্ন করে। দেশে কর্মজীবন গড়ার কোনো ভালো সম্ভাবনা দেখতে না পেয়ে সে ড.ডেভিড মেরিট ও তার স্ত্রী সারার উগান্ডায় পরিচালিত ক্লিনিকে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেয়। গারিগান সারার প্রতি আকৃষ্ট হলেও সারা তার সাথে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে লিপ্ত হতে অস্বীকৃতি জানান।

জেনারেল ইদি আমিন ক্ষমতাসীন রাষ্ট্রপতি মিল্টন ওবোতে-কে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত করেন। সারা অতীতে দুর্নীতি চাক্ষুষ করেছেন; তাই ইদির উত্থানে তিনি ভয় পান। কিন্তু গারিগান আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করে, ইদি আমিন ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসতে সক্ষম হবেন।

আমিন একটি ছোটখাটো গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত হন। তখন গারিগানকে আমিনের হাতের চিকিৎসা করতে ডাকা হয়। এসময় সে একটি মরণাপন্ন মৃত গরুকে গুলি করে হত্যা করে,কারণ তার বেদনা উপশমের জন্য কেউই সেখানে ছিল না। আমিন গারিগানের তৎপরতা দেখে খুশি হন।

আমিন স্কটল্যান্ডের মানুষদের ইংরেজবিরোধিতার জন্য শ্রদ্ধা করতেন। গ্যারিগান স্কটিশ শুনে তিনি আরো খুশি হন। তিনি তার সামরিক জামা গ্যারিগানের স্কটিশ জামার সঙ্গে বদল করেন। আমিন গ্যারিগানকে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক হতে এবং উগান্ডার স্বাস্থ্যব্যবস্থা আধুনিকীকরণে উদ্যোগ নিতে আমন্ত্রণ জানান।

গারিগান ক্রমেই আমিনের বিশ্বস্ত ব্যক্তি হয়ে ওঠেন। কাম্পালা শহরের আশেপাশে যে সহিংসতা হচ্ছে, তা সম্পর্কে সে অবগত। তবে সে আমিনের ব্যাখ্যা মেনে নেয় - আমিনের মতে, বিরোধী দলকে নিষ্ঠুরভাবে দমন করলেই উগান্ডায় শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।

গারিগান জানতে পারে, ম্যাকেঞ্জি নামের এক মৃগীরোগী ছেলেকে জন্ম দেওয়ার অপরাধে আমিন তার স্ত্রী কে-কে সমাজবিচ্ছিন্ন করেছেন। ম্যাকেঞ্জির চিকিৎসা করতে গিয়ে কে আর তার মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

চরিত্রায়ণে

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "THE LAST KING OF SCOTLAND (15)"British Board of Film Classification। ১২ সেপ্টেম্বর ২০০৬। সংগ্রহের তারিখ ২২ এপ্রিল ২০১৬ 
  2. "The Last King of Scotland"European Audiovisual Observatory। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ২৬, ২০১৭ 
  3. "The Last King of Scotland (2006) - Box Office Mojo"boxofficemojo.com 
  4. "LUMIERE : Film #26167 : The Last King of Scotland"lumiere.obs.coe.int 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা