দ্বিতীয় মহম্মদ শের খান
দ্বিতীয় মহম্মদ শের খান (৮ই জুন, ১৮৮৬ - ২৫শে ফেব্রুয়ারি, ১৯১০) রাধনপুর রাজ্যে বাবি রাজবংশের অষ্টম নবাব ছিলেন।
সংক্ষিপ্ত জীবনী
সম্পাদনাদ্বিতীয় মহম্মদ শের খান রাধনপুরের সপ্তম নবাব মহম্মদ বিসমিল্লাহ খানের জ্যেষ্ঠ পুত্র ছিলেন। ১৮৯৫ খ্রিষ্টাব্দের ২০শে ডিসেম্বর পিতার মৃত্যু হলে তিনি নাবালক অবস্থায় সিংহাসনলাভ করেন। ব্রিটিশসরকারের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকজন আধিকারিকে এই সময় রাজপ্রতিনিধি হিসেবে রাজ্যশাসন করে। ১৮৯৫ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর থেকে ১৮৯৬ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিল মাস পর্যন্ত ডব্লিউ. বীল, ১৮৯৬ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিল থেকে ১৯০০ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই মাস পর্যন্ত ম্যালকম থমাস লাইড, ১৯০০ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই মাস থেকে ১৯০১ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত জর্জ ব্রুডরিক ও'ডোনেল, ১৯০১ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাস থেকে ১৯০৩ খ্রিষ্টাব্দের আগস্ট মাস পর্যন্ত ফ্রেডরিক উইলিয়াম ওডহাইস এবং ১৯০৩ খ্রিষ্টাব্দের আগস্ট মাস থেকে ১৯০৭ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিল পর্যন্ত নর্মান সিনক্লেয়ার কগহিল ব্রিটিশ রাজপ্রতিনিধি রূপে রাজ্যশাসন করেন। ১৯০৩ খ্রিষ্টাব্দে দ্বিতীয় মহম্মদ শের খানকে দিল্লি দরবার স্বর্ণ পদক প্রদান করা হয়। ১৯০৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ই এপ্রিল তিনি পূর্ণ শাসনক্ষমতা লাভ করেন। তিনি রাজ্যে বিনামূল্যে শিক্ষার প্রচলন করেন এবং গোহত্যা নিষিদ্ধ করেন। কলম্বো থেকে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার সমদ্রযাত্রার সময় ১৯১০ খ্রিষ্টাব্দের ২৫শে ফেব্রুয়ারি তার মৃত্যু ঘটে।[১]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Christopher Buyers। "Radhanpur, The Babi Dynasty"। www.royalark.net। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।
পূর্বসূরী মহম্মদ বিসমিল্লাহ খান |
দ্বিতীয় মহম্মদ শের খান রাধনপুর রাজ্যের অষ্টম নবাব |
উত্তরসূরী মহম্মদ জালালউদ্দীন খান |