দ্বিতীয় আপোল্লোদোতোস
দ্বিতীয় আপোল্লোদোতোস (গ্রিক: Ἀπολλόδοτος Β΄) একজন ইন্দো-গ্রিক রাজা ছিলেন, যিনি আনুমানিক ৮০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ হতে ৬৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্য্যন্ত[১] পাঞ্জাব অঞ্চল শাসন করেন। সিনিয়র মনে করেন যে, তিনি ৮৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ৬০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্য্যন্ত রাজত্ব করেন।[২] তিনি ইন্দো-সিথিয় শাসক মাউয়েস দ্বারা অধিকৃত ইন্দো-গ্রিক রাজ্যের অধিকাংশ নিজের রাজ্যের অন্তর্গত করতে সক্ষম হন। এবং পরবর্তী কয়েক দশকের জন্য ঐ অঞ্চলে ইন্দো-সিথিয় জাতির রাজত্বের অবসান ঘটান।
দ্বিতীয় আপোল্লোদোতোস | |
---|---|
ইন্দো-গ্রিক রাজা | |
রাজত্ব | ৮০-৬৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দ |
পূর্বসূরি | মাউয়েস (ইন্দো-সিথিয় শাসক) |
উত্তরসূরি | ইপ্পোস্ত্রাতোস দিওনুসিওস সোতের |
মুদ্রা
সম্পাদনাদ্বিতীয় আপোল্লোদোতোসের নামাঙ্কিত দ্বিভাষী মুদ্রাগুলির এক পিঠে গ্রিক লিপিতে আপোল্লোদোতোউ বাসিলেওস মেগালোউ সোতেরোস কাই ফিলোপাতোপোস ( ΑΠΟΛΛΟΔΟΤΟΥ ΒΑΣΙΛΕΩΣ ΜΕΓΑΛΟΥ ΣΩΤΗΡΟΣ ΚΑΙ ΦΙΛΟΠΑΤΟΡΟΣ) এবং অপর পিঠে খরোষ্ঠী লিপিতে ত্রাতারস মহারাজস অপলতস কথাটি উৎকীর্ণ রয়েছে। তিনি বেশ কিছু রৌপ্য মুদ্রা প্রচলন করেন, যার এক পিঠে দিয়াদেম পরিহিত নিজের প্রতিকৃতি এবং অপর পিঠে এথেনার চিত্র মুদ্রিত রয়েছে। একটি মুদ্রায় অশ্বারূঢ় একজন রাজার চিত্র রয়েছে, যা মুদ্রাবিদদের মতে মহান আলেকজান্ডারের চিত্র। দ্বিতীয় আপোল্লোদোতোসের ব্রোঞ্জ মুদ্রায় অ্যাপোলোর চিত্র মুদ্রিত রয়েছে। তার বেশ কিছু মুদ্রার গুণমান খুব একটা ভালো নয় বলে অনুমান করা হয়, সেগুলি ভারতীয় ধাতুশিল্পীদের দ্বারা পূর্ব পাঞ্জাব অঞ্চলে তৈরী করা হয়েছিল, যারা গ্রিক শিল্পীদের মতো মুদ্রা নির্মাণে সমান দক্ষ ছিলেন না।[৩] দ্বিতীয় আপোল্লোদোতোস ইন্দো-সিথিয় শাসক মাউয়েসের মুদ্রায় নিজের নাম খোদাই করেন।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Monnaies Gréco-Bactriennes et Indo-Grecques, Catalogue Raisonné", Osmund Bopearachchi, 1991, Bibliothèque Nationale de France, আইএসবিএন ২-৭১৭৭-১৮২৫-৭.
- ↑ Senior R.C., MacDonald, D.: The Decline of the Indo-Greeks, Monographs of the Hellenic Numismatic Society, Athens (1998)
- ↑ "The Greeks in Bactria and India", W.W. Tarn, Cambridge University Press.
দ্বিতীয় আপোল্লোদোতোস
| ||
রাজত্বকাল শিরোনাম | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী মাউয়েস (ইন্দো-সিথিয় শাসক) |
ইন্দো-গ্রিক শাসক (পাঞ্জাব) ? ৮০-৬৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দ |
উত্তরসূরী ইপ্পোস্ত্রাতোস (পশ্চিম পাঞ্জাব) |
উত্তরসূরী দিওনুসিওস সোতের (পূর্ব পাঞ্জাব) |