দৃষ্টির জড়তা
দৃষ্টির জড়তা হল চোখে একটি দৃশ্য চলার পিছনে অক্ষিপটএ সেই দৃশ্য প্রায় ১/২৫ সেকেণ্ডের (০.০৪ সেকেণ্ড) জন্য থেকে যাওয়ার ঘটনা।[২] এর অর্থ, সদ্য দেখা যেকোনো দৃশ্য বর্তমান হয়ে থাকা এবং ক্ষণেক পূর্বে হয়ে থাকা দৃশ্যের সংমিশ্রণ।
পরম্পরাগত বিশ্বাসমতে মানুষের গতির জড়তা (মস্তিষ্ক কেন্দ্রিক) দৃষ্টির জড়তার (চক্ষু কেন্দ্রিক) ফল। ১৯১২ সালে ওয়ার্থেইমার এই বিশ্বাস নাকচ করেন,[৩] যদিও বহু ধ্রুপদী এবং আধুনিক চলচ্চিত্র-তত্ত্ব পাঠ্যে এই মতবাদ এখনো প্রচলিত।[৪][৫][৬] গতির জড়তা ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করা অন্য একটি তত্ত্বে দ্বিবিধ ভ্রম সম্পর্কীত ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে, যথা: ফাই পরিঘটন এবং বিটা সঞ্চালন।
এই ঘটনার কারণ হিসাবে স্মৃতির একটা রূপ "আইকনিক মেমোরী" (iconic memory)কে বর্ণনা করা হয়।[৭] মনোরোগবিদ এবং শরীরতত্ত্ববিদরা চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে এই ধারণা নাকচ করেছেন যদিও বহু চলচ্চিত্র বিশেষজ্ঞ ও তাত্ত্বিকরা করেননি। একাংশের বিজ্ঞানীরা আজকাল এই সমস্ত তত্ত্বকে এক ভ্রান্ত ধারণা বলে মতপোষণ করেন।[৮] দৃষ্টি তত্ত্বের জন্য ফাই পরিঘটনকে মানা হলেও এই দৃষ্টি বোধ ঘটনাটি বোঝার জন্য বলা হয় যে, চোখ "ক্যামেরা নয়"। অন্য কথায়, দৃষ্টির ঘটনা কেবল একটি মাধ্যমে আলোক নিবন্ধনের মতো সরল নয়; চোখ থেকে পাঠানো বস্তুর আলোক-সংকেত মস্তিষ্কে পৌঁছে নির্দিষ্ট ও যথাযথ দৃশ্য তৈরী করে। জোসেফ অ্যাণ্ডারসন ও বারবারা ফিশার যুক্তি দর্শান যে, সিনেমার ক্ষেত্রে ফাই পরিঘটন অধিক সৃষ্টিধর্মী মতবাদ এবং দৃষ্টির জড়তা বাস্তববাদী মতবাদ।[৮]
রোমান কবি লুক্রেটিয়াসকে (Lucretius) দৃষ্টির জড়তার আবিষ্কারক বলা হয়, যদিও তিনি এক স্বপ্নে দেখা দৃশ্যাবলীর সংযোগে এই ঘটনার উল্লেখ করেছিলেন।[৯] আধুনিককালে পিটার মার্ক রজেটের (Peter Mark Roget) ১৮২৪ সালে করা কিছু ষ্ট্রোবস্কোপিক ( stroboscopic) পরীক্ষাকে এই তত্ত্বের ভিত্তি বলে মানা হয়।[১০]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Metaveillance, CVPR 2016
- ↑ "Persistence of Vision"। MediaCollege.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৫-০৪।
- ↑ Wertheimer, 1912. Experimentelle Studien über das Sehen von Bewegung. Zeitschrift für Psychologie 61, pp. 161–265
- ↑ Bazin, André (1967) What is Cinema?, Vol. I, Trans. Hugh Gray, Berkeley: University of California Press
- ↑ Cook, David A. (2004) A History of Narrative Film. New York, W. W. Norton & Company.
- ↑ Metz, Christian (1991) Film Language: A Semiotics of The Cinema, trans. Michael Taylor. Chicago: University of Chicago Press.
- ↑ Coltheart M. "The persistences of vision." Philos Trans R Soc Lond B Biol Sci. 1980 Jul 8;290(1038):57–69. PMID 6106242.
- ↑ ক খ Anderson, Joseph; Anderson, Barbara (১৯৯৩)। "The Myth of Persistence of Vision Revisited"। Journal of Film and Video। 45 (1): 3–12। ২০০৮-০৫-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৯-০৭।
- ↑ Herbert, S. (2000). A history of pre-cinema. London. Routledge. p 121
- ↑ Maltby, R. (2004). Hollywood cinema. [Oxford]: Blackwell Publishing. p 420
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- Persistence of Vision
- The Myth of Persistence of Vision Revisited – commentary on whether the concept is really a myth.
- Winkler, Robert (২০০৫-১১-১৩)। "The Need for Speed"। The New York Times।
- Winkler, Robert। "The Flicker Fusion Factor: Why we can't drive safely at high speed"। ২০১০-১২-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৯-০৭, repost on author's personal website.
- I get it, I know I'm inferior, November 9, 2006, Pharyngula – comments
- Burns, Paul The History of the Discovery of Cinematography ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৫ অক্টোবর ২০২০ তারিখে An Illustrated Chronology
- Video of a 2D POV display integrated into a bicycle wheel
- Build a SpokePOV: LED Bike Wheel Images
- MiniPOV: build your own instructions – a project designed for beginners to learn soldering, electronics assembly, and programming microcontrollers
- Visual Perception 8 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৪ অক্টোবর ২০১২ তারিখে – Visual Perception Lecture 8, The Moving Image.
- Newsreel film of persistence of vision – 1936 Newsreel film explaining how persistence of vision was thought to work.
- Physics Stack Exchange on Persistence of Vision – Physics discussion of persistence of vision.