দীপিকা কুমারী

ভারতীয় তীরন্দাজ

দীপিকা কুমারী (জন্ম: ১৩ জুন ১৯৯৪) হলেন একজন ভারতীয় মহিলা তীরন্দাজ, যিনি সাধারণত ব্যক্তিগত ও দলগত উভয় বিভাগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে থাকেন। তিনি বর্তমানে বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ৫ম স্থানে রয়েছেন এবং তিনি প্রাক্তন ১ নম্বর র্যাঙ্কিংধারী তীরন্দাজ। ২০১০ কমনওয়েলথ গেমসে তিনি মহিলাদের ব্যক্তিগত ইভেন্টে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন। এছাড়া তিনি দোলা ব্যানার্জি ও বোম্বায়লা দেবীকে সাথে নিয়ে মহিলাদের দলগত ইভেন্টেও স্বর্ণপদক জিতেছিলেন।

দীপিকা কুমারী
ব্যক্তিগত তথ্য
জাতীয়তাভারতীয়
জন্ম (1994-06-13) ১৩ জুন ১৯৯৪ (বয়স ২৯)
রাঁচি, বিহার, ভারত
উচ্চতা১.৬১ মি (৫ ফু ৩ ইঞ্চি) (2010)
ওজন৫৬ কেজি (১২৩ পা) (2010)
ক্রীড়া
দেশভারত
ক্রীড়াতীরন্দাজী
ক্লাবTata Archery Academy
দলIndian Archery Women Team
অভিষেক2006
সাফল্য ও খেতাব
সর্বোচ্চ স্থান1,[১] World record women recurve archery[২]
পদকের তথ্য
Women's archery
 ভারত-এর প্রতিনিধিত্বকারী
World Championships
রৌপ্য পদক - দ্বিতীয় স্থান 2011 Torino Women's Team
রৌপ্য পদক - দ্বিতীয় স্থান 2015 Copenhagen Women's Team
World Cup
রৌপ্য পদক - দ্বিতীয় স্থান 2011 Istanbul Individual
রৌপ্য পদক - দ্বিতীয় স্থান 2012 Tokyo Individual
রৌপ্য পদক - দ্বিতীয় স্থান 2013 Shanghai Individual
Commonwealth Games
স্বর্ণ পদক - প্রথম স্থান 2010 Delhi Recurve individual
স্বর্ণ পদক - প্রথম স্থান 2010 Delhi Recurve team
Asian Games
ব্রোঞ্জ পদক - তৃতীয় স্থান 2010 Guangzhou Recurve team

দীপিকা ২০১২ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের জন্য যোগ্যতা অর্জন করেন এবং সেখানে মহিলাদের ব্যক্তিগত ও দলগত ইভেন্টে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন; প্রতিযোগিতা শেষে তিনি ৮ম স্থান অর্জন করেছিলেন।

তিনি ২০১২ সালে ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্রীড়া পুরস্কার অর্জুন পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হন, যা পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির হাতে গ্রহণ করেন। এছাড়া ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দীপিকা এফআইসিপিআই কর্তৃক বর্ষসেরা ক্রীড়াব্যক্তিত্ব'এর সম্মানে ভুষিত হন। ২০১৬ সালে তিনি ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মশ্রী পুরস্কার অর্জন করেন।

প্রাথমিক জীবন সম্পাদনা

দীপিকা কুমারী রাচির ১৫ কিলোমিটার দুরে রাতু চাটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা শিবনারায়ণ মাহাতো ছিলেন একজন অটোরিকশা ড্রাইভার এবং মা গীতা মাহাতো ছিলেন রাচি মেডিকেল কলেজের নার্স। দীপিকার তীরন্দাজী শেখা শুরু হয় গ্রামে পাথরের ঢিল ছুরে আম পাড়ানো কেন্দ্র করে।[৩]

কর্মজীবন সম্পাদনা

দীপিকা ২০১২ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের জন্য যোগ্যতা অর্জন করেন এবং সেখানে মহিলাদের ব্যক্তিগত ও দলগত ইভেন্টে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন; প্রতিযোগিতা শেষে তিনি ৮ম স্থান অর্জন করেছিলেন।

তিনি ২০১২ সালে ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্রীড়া পুরস্কার অর্জুন পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হন, যা পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির হাতে গ্রহণ করেন। এছাড়া ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দীপিকা এফআইসিপিআই কর্তৃক বর্ষসেরা ক্রীড়াব্যক্তিত্ব'এর সম্মানে ভুষিত হন। ২০১৬ সালে তিনি ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মশ্রী পুরস্কার অর্জন করেন।

সাফল্য সম্পাদনা

দীপিকা দ্বিতীয় ভারতীয় হিসাবে মেক্সিকোর মেরিডায়ে অনুষ্ঠিত ২০০৬ আর্চারি বিশ্বকাপের জুনিয়র কম্পাউন্ড প্রতিযোগিতা জিতেন।

তিনি ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অনুষ্ঠিত ১১তম যুব বিশ্ব আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণ পদক জিতেন, যখন তার বয়স হয়েছিল ১৫বছর। এছাড়া তিনি দোলা ব্যানার্জি ও বেম্বায়লা দেবীকে সাথে করে একই প্রতিযোগিতার দলগত ইভেন্টেও স্বর্ণ জিতেছিলেন।

ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স টাইমলাইন সম্পাদনা

Tournament 2010 2011 2012 2013 2014 2015 SR
World Archery tournaments
Olympic Games 1R 0/1
World Championships 3R 3R 3R 1/3
World Cup
Stage 1 3R QF 2nd 0/4
Stage 2 QF 3R W 2R 3R 3rd 2/6
Stage 3 3R 2nd QF 1/3
Stage 4 2nd 3rd QF 3rd 34
World Cup Final QF 2nd 2nd 2nd DNQ 2nd 4/5
End of year world ranking 4 5 2 3

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "India's Deepika Kumari becomes World No. 1 archer"NDTV। ২১ জুন ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুলাই ২০১৩ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. [১]
  3. "Deepika Kumari: From mangoes to CWG gold", The Siasat times, 10 October 2010, Retrieved 10 October 2010.

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা