দি ওল্ড কিউরিওসিটি শপ (১৯১১-এর চলচ্চিত্র)
দি ওল্ড কিউরিওসিটি শপ হলো ১৯১১ সালের আমেরিকান নির্বাক সংক্ষিপ্ত চলচ্চিত্র, যা দ্যানহাউজার কোম্পানি দ্বারা তৈরি হয়। এই চলচ্চিত্রটি চার্লস ডিকেন্সের দি ওল্ড কিউরিওসিটি শপ থেকে অভিযোজন করা হয়েছে। এই চলচ্চিত্রে আলোকপাত করা হয় একজন পিতামহকে; যার প্রবল জুয়ার প্রতি আসক্তির ফলে তীব্র দারিদ্রতার স্বীকার হতে হয় এবং অবশেষে লিটল নেলের জীবন দিতে হয়।
দ্যা ওল্ড কিউরিওসিটি শপ | |
---|---|
প্রযোজক | দ্যানহাউজার কোম্পানি |
পরিবেশক | মোশন পিকচার বণ্টন এবং বিক্রয় কোম্পানী |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১ রীল |
দেশ | যুক্তরাষ্ট্র |
ভাষা | নির্বাক |
এই চলচ্চিত্রটির টিকে থাকা অবস্থার কারণে সম্ভবত এই চলচ্চিত্রটির উপর আরো গভীর এবং আধুনিক পর্যবেক্ষণ সম্ভব। এটিকে টিকে থাকা এবং দ্যান হাউজারের প্রযোজনা হিসেবে "লিটিল নেল" হিসেবে চিহ্নিত করার জন্য ২০০৩ সালে ক্যামিলা ইলিওটের 'রিথিঙ্কিং দ্যা নভেল/ফিল্ম ডিবেট' বইটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ২০১২ সালে পরডেনন নির্বাক চলচ্চিত্র উৎসবে এই চলচ্চিত্রটি দেখানোর পরে এই চলচ্চিত্রটি দ্যানহাউজার প্রযোজনা হিসেবে অনুমোদিত হয়। চলচ্চিত্রটির প্রধান অংস হারিয়ে যাবার কারণে চলচ্চিত্রটি "লিটিল নেল" হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
কাহিনী
সম্পাদনাচার্লস ডিকেন্সের দি ওল্ড কিউরিওসিটি শপ থেকে অভিযোজনকৃত এই চলচ্চিত্রটি সংক্ষেপিত করে মাত্র একটি রীলে নেয়া হয়। চলচ্চিত্রে আলোকপাত করা হয় একজন পিতামহকে, যিনি জুয়ার নেশায় দারিদ্র্যের শেষ সীমায় পৌছান। তিনি তার নাতনী, লিটিল নেলকে অত্যন্ত ভালোবাসেন, এবং তার নাতনীর সুখের জন্য সবকিছু করতে তিনি ছিলেন সদা প্রস্তুত। ভাগ্য তাকে সহায়তা করবে এই আশায় সেই পিতামহ অর্থ উপার্জনের জন্য জুয়ার প্রতি আশক্ত হয়ে পড়েন। তার জুয়ার প্রতি প্রবল আসক্তির ফলে তিনি ধীরে ধীরে সব হারাতে থাকেন এবং তাকে উন্মাদাগারে নেয়া হতে পারে এই ভেবে নেল ভীত হয়ে পড়ে। রাতে নেল তার সাথে পালিয়ে যায় এবং মিসেস জার্লির সাথে তারা একটি আশ্রমে আশ্রয় নেয়। সেই পিতামহ জুয়াখেলার মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের জন্য নেলের অর্থ হরণ করে নেন। মানুষের ধার শোধ করার জন্য তাকে চুরি করতে বাধ্য করা হয়। কিন্তু নেল হস্তক্ষেপ করে এবং তার পিতামহের সহিত আবার পালিয়ে যায়। অত্যন্ত ক্লান্ত এবং দুর্বল স্বাস্থ্য নিয়ে নেল একজন দয়ালু স্কুলশিক্ষকের দেখা পায়। সে তার পায়ের কাছে চেতনা হারিয়ে পরে যাবার আগে সাহায্য ভিক্ষা করে। সেই স্কুলশিক্ষক তাদের দুইজনকেই ভিতরে নিয়ে আসেন, কিন্তু নেলকে বাঁচাতে ইতোমধ্যেই অনেক দেরি হয়ে গেছে, এবং নেল মারা যায়। তার কিছুদিন পরে নেলের কবরের পাশে ভগ্নহৃদয় নেলের পিতামহের মৃতদেহ পাওয়া যায়।
অভিনয়
সম্পাদনা- ফ্রাঙ্ক এইচ. ক্রেইন (পিতামহ)[১]
- ম্যারি ইলেইন (লিটল নেল)
- হ্যারি বেনহাম
- ম্যারগেরিট স্নো
- আলফোন্স ইথিয়ার
- উইলিয়াম বাউম্যান
নির্মাণ
সম্পাদনাএই চলচ্চিত্রটি ডিকেন্সের কাজের সংক্ষিপ্ত অভিযোজন। সমালোচকরা বিশেষভাবে দৃষ্টিগোচর করেন বিস্তারিত বিষয়ের প্রতি এবং একক রীল ফরম্যাটে চলচ্চিত্রটি নির্মাণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার প্রতি। খোলা দৃশ্যগুলো ছাড়া চলচ্চিত্রটির পরিবেশ এবং বর্ণনা স্বাভাবিক হিসেবে গণ্য করা যায়। ব্যারি ও'নিল ছিলেন চলচ্চিত্রটির পরিচালক, কিন্তু চিত্রনাট্য লেখক ও ক্যামেরাম্যানের নাম ছিলো অস্বীকৃত। আরও তথ্য সম্ভাবনা ফিল্ম উৎপাদনের জীবিত অবস্থা উৎপাদন ও কাজের বিবরণ উপর অর্জন হচ্ছে
মুক্তি এবং অভ্যর্থনা
সম্পাদনাএকটি একক রীল নাটক, যা প্রায় ১,০০০ ফুট দীর্ঘ, মুক্তি পায় ১৯১১ সালের ২০ জানুয়ারীতে। এই মুভির প্রচারণার সময় দ্যানহাউজার কোম্পানি উল্লেখ করেছিল যে, এই চলচ্চিত্রটি প্রত্যেক ডিকেন্স প্রেমী উপভোগ করবে। সমালোচকগণ চলচ্চিত্রটিকে সুবিধাজনকভাবে পর্যালোচনা করেন। মুভিং পিকচার নিউজের ওয়ালটন লিখেন, "একজন ডিকেন্সপ্রেমির প্রতি এটি হলো বিশুদ্ধ আনন্দ। কাহিনীটির লক্ষণীয় বিষয়গুলো গৃহীত হয়েছে এবং এভাবে চলচ্চিত্রটির কাহিনী এগিয়ে চলার সাথে সাথে মূল কাহিনীকে পরিষ্কার ধারণার সহিত অনুকরণ করা হয়েছে। সংক্ষিপ্তকরণ প্রক্রিয়াটি বিচক্ষণতার সহিত সম্পাদিত হয়েছে তাঁর দ্বারা, যিনি স্পষ্টতই রীলের সম্ভাবনা এবং সীমাবদ্ধতা সম্বন্ধে জানেন। একটি যোগ্য প্রযোজনা, যা অবশ্যই পুরস্কার পাবার দাবীদার।" দ্যানহাউজার কোম্পানির ফিল্ম সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষের মতানুসারে, ২০১২ সালে পরডেনন নির্বাক চলচ্চিত্র উৎসবে এই চলচ্চিত্রটি দেখানোর পরে এই চলচ্চিত্রটি দ্যানহাউজার প্রযোজনা হিসেবে অনুমোদিত হয়।[২] মুভির প্রথম অংশ হারিয়ে যাবার কারণে চলচ্চিত্রটির শিরোনাম "লিটিল নেল" হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়। কিন্তু, ২০০৩ সালে ক্যামিলা ইলিওট তার 'রিথিঙ্কিং দ্যা নভেল/ফিল্ম ডিবেট' বই অনুসারে "লিটিল নেল" কে দ্যানহাউজারের প্রযোজনা হিসেবে চিহ্নিত করেন।[৩] এই চলচ্চিত্রটি এই কাজের একমাত্র অভিযোজন নয়; ১৯০৯ সালে এস্যানেই স্টুডিওতে একই নামের চলচ্চিত্র মুক্তি পায়।[৪]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Q. David Bowers (১৯৯৫)। "Volume 2: Filmography - The Old Curiosity Shop"। Thanhouser Films: An Encyclopedia and History। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মে ২০১৫।
- ↑ "Thanhouser Company Film Preservation, Inc. Research Center - Filmography"। Thanhouser.org। ২০১৩। ২০ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ জানুয়ারি ২০১৫।
- ↑ Elliott, Kamilla (২০০৩)। Rethinking the Novel/Film Debate। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 293।
- ↑ Goble, Alan (১৯৯৯)। The Complete Index to Literary Sources in Film। Walter de Gruyter। পৃষ্ঠা 127।