দিমা তাহবুব

জর্দানীয় লেখিকা

দিমা তাহবুব (Arabic:ديمة طهبوب; জন্ম ১৯৭৬, হেবরন) একজন লেখক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক, জর্দানের মুসলিম ব্রাদারহুডের সদস্য,[১] এবং জর্দানীয় ইসলামিক একশন ফ্রন্টের সদস্য।[২]

দিমা তাহবুব
স্থানীয় নাম
ديمة طهبوب
জন্ম১৯৭৬; ৪৮ বছর আগে (1976)
হেবরন
পেশালেখক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক, জর্দান মুসলিম ব্রাদারহুডের সদস্য এবং জর্ডানীয় ইসলামিক একশন ফ্রন্টের মিডিয়া মুখপাত্র
ভাষাইংরেজি
জাতীয়তাজর্দানীয়
শিক্ষাপিএইচডি
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানজর্দান বিশ্ববিদ্যালয়
ম্যানচেষ্টার বিশ্ববিদ্যালয়
বিষয়পালেস্টাইন
দাম্পত্যসঙ্গীতারেক আইউব

তার স্বামী তারেক আয়ুব আল জাজিরার একজন প্রতিবেদক। ২০০৩ সালে আমেরিকার বিমান থেকে দুইটি মিসাইল ইরাকে অবস্থিত আল জাজিরার বিল্ডিংয়ে আঘাত করে। সেসময় তারেক সেখানে ছিলেন এবং মৃত্যুবরণ করেন।

প্রেক্ষাপট এবং শিক্ষা সম্পাদনা

তিনি ১৯৭৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন; তার পিতা তারেক তাহবুব জর্দানের মেডিক্যাল সংস্থার সাবেক প্রধান ছিলেন।[৩] ২০০০ তিনি তারেক আয়ুবকে বিবাহ করেন এবং ২০০২ সালে এই দম্পতির ফাতিমা নামে একজন কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করেন।[৪]

লেখালেখি সম্পাদনা

তিনি জর্দানে নিয়মিত আশাবেল নামক পত্রিকা প্রকাশ করতে থাকেন এবং আট শতাধিক নিবন্ধ তিনি প্রকাশ করেছেন। এরপর আল-কুদস আল-আরাবি ইসলাম টুডে, আলজাজিরা টক সহ প্যালেস্টাইনের বিভিন্ন মিডিয়া প্রকাশ করতেন।

তিনি প্যালেস্টাইন নিয়ে লিখতেন। এবিষয়ে লিখালিখি করা ছিল তার লিখার অন্যতম আনুষঙ্গিক অঙ্গ।

সমালোচনা সম্পাদনা

২০১৭ সালে তাহবুব একটি মাশরুহ লেইলার নামক লেবানীজ ব্যান্ডকে নিষিদ্ধ করতে নানা তদবিদ করেন। তার তদবিরের অন্যতম কারণ ছিল, এই ব্যান্ড আম্মানে অনুষ্ঠান করার সময় যৌন স্বাধীনতার আহ্বান করেছিল। তুনি জর্দানের একমাত্র এলজিবিটিকিউ সাময়িকী মাই কালির বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেছিল এবং জর্দান সরকারকে বাগিয়ে এই সাময়িকীকে প্রকাশে বাধারোপ করেছিল। তাহবুব আইনমন্ত্রীকে ২০১৭ তে প্রশ্ন করেছিল, জর্দান সরকার এই দেশে সমকামিতাকে সহ্য করবেন কিনা।[৫]

২০১৭ তে, ডয়েচে ভেলের একটি সাক্ষাৎকারে তাহবুব একজন সৈনিকের প্রশংসা করেন। সেই সৈনিক ১৯৯৭ সালে আইল্যান্ড অব পিচ ম্যাসাকারের জন্য দায়ী ছিল। সেই নারকীয় ঘটনায়, উক্ত সৈনিক ইজরায়েলের স্কুল ছাত্রীদের একটা গ্রুপের উপর হামলা চালায়। সেই হামলায় ৭ জন ছাত্রী নিহত হয় এবং ছয়জন আহত হয়। সাংবাদিক তাহবুবকে প্রশ্ন করেন, "আপনি একজন মা এবং ১৩/১৪ বছর বয়য়ের বালিকারা খুন হয়েছে, আর আপনাকে অনেক খুশি দেখাচ্ছে। শুধুমাত্র তারা ইজরায়েলের নাগরিক বলেই আপনি এই হত্যাকে সমর্থন করছেন?" তাহাবুব উত্তরে বলেছিল "যেহেতু তারা শত্রপক্ষের, তাই তারা শত্রু ভিন্ন আর কিছুই নয়।"[৬]

২০১৭ সালে, তাহবুব জর্দানের একজন এক্টিভিস্টের বিরুদ্ধে মামলা করেন। কারণ সেই এক্টিভিস্ট তাহবুবের মুখমণ্ডলের ছবি একজন ব্যক্তির উপর স্থাপন করে দিয়েছিল, সেই ব্যক্তিটি ঘোড়া চালাচ্ছিল এবং তার হাতে ছিল তলোয়ার এবং সামনে ছিল আইএসআইএলের পতাকা। সেই কর্মীটি তাহাবুবের সমালোচনার অংশ হিসেবে এহেন কাজ করেছিলেন কারণ তাহাবুব একটি ঘটনাকে সমর্থন করেছিলেন। সেই ঘটনার হোতা একজন পুলিশ অফিসার ছিলেন। রমজান মাস চলাকালে সুর্যাস্তের পুর্বে খোলা থাকা একটি ভোজনশালায় তিনি যান এবং সেখানে গিয়ে শিক্ষার্থীদের খাদ্য গ্রহণের জন্য উত্ত্যক্ত করেন। তার এই কাজের জন্য কোনো উপর মহল থেকে নির্দেশ ছিল না। বরং নিজেই স্বঃপ্রণোদিত হয়ে একান্ড ঘটান। অপবাদ দেওয়ার অভিযোগে সেই এক্টিভিস্টকে গ্রেফতার করা হয়। এক্টিভিস্টের পরিবার তাহাবুবকে ক্ষমা করে দেওয়ার অনুরোধ জানানোর পর তার মুক্তি ঘটে।[৭]

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "The king and the people!"। Al Jazeera। ২০১২-০৭-৩০। ২০১৮-১২-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-১০-০৬ 
  2. New Media spokesperson of the Jordanian Islamic Action Front in English ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩০ জুলাই ২০১৭ তারিখে(ar)
  3. Jordan's Brotherhood appoints 1st spokeswoman, world bulletin, 03 October 2014
  4. Tareq Ayoub: a 'martyr to the truth', 14 Dec 2011, Aljazeera
  5. "Jordanian MP engages in ongoing battle against LGBT+ community"Ro'ya News। ৩১ জুলাই ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০১৮ 
  6. "'They are enemies': Jordanian MP defends 1997 killing of Israeli schoolgirls"i24 news। ২০ জুলাই ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০১৮ 
  7. "Islamist MP drops slander charges over 'Daesh horse riding picture'"The Jordan Times। ১ অক্টোবর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০১৮ 


টেমপ্লেট:Jordan-writer-stub