দানা দ্বীপ ( তুর্কি: Dana Adası , যাকে Kargıncık Adası, গ্রীক ল্যাটিন Pithyussa ও বলা হয় ) তুরস্কের একটি ছোট ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপ।

দানা দ্বীপ
স্থানীয় নাম:
দানা আদাসি
মূল ভূখণ্ড থেকে (উত্তর)
দানা দ্বীপ তুরস্ক-এ অবস্থিত
দানা দ্বীপ
দানা দ্বীপ
ভূগোল
অবস্থানভূমধ্যসাগর
স্থানাঙ্ক৩৬°১১′ উত্তর ৩৩°৪৭′ পূর্ব / ৩৬.১৮৩° উত্তর ৩৩.৭৮৩° পূর্ব / 36.183; 33.783
প্রশাসন
তুরস্ক
ইল (প্রদেশ)মেরসিন প্রদেশ
ইলসেসিলিফকে

ভূগোল সম্পাদনা

 
১৮১৯ বিউফোর্টের জরিপ থেকে ডানার নটিক্যাল চার্ট

দানা আদাসি তুরস্কের দক্ষিণ উপকূলের সমান্তরালে ৩৬°১১′ উত্তর ৩৩°৪৬′ পূর্ব / ৩৬.১৮৩° উত্তর ৩৩.৭৬৭° পূর্ব / 36.183; 33.767 মারসিন প্রদেশে অবস্থিত । উপকূল থেকে দূরত্ব ২.৫ কিলোমিটার (১.৬ মা) । মূল ভূমি ও দ্বীপের মধ্যবর্তী পথ যা কার্গিকাক প্রণালী নামে পরিচিত সামুদ্রিক যাতায়াতের জন্য একটি সুবিধাজনক পথ। দ্বীপের আকৃতি মোটামুটি আয়তক্ষেত্রাকার এবং ২.৭ কিমি × ০.৯ কিমি (১.৬৮ মা × ০.৫৬ মা) মাত্রা । সর্বোচ্চ শিখর হল ২৫০ মিটার (৮২০ ফু) । ডানা আদাসি বেশ পাথুরে এবং মাকুইস গুল্মভূমি এবং হলুদ পাইন বনে আচ্ছাদিত।

ইতিহাস সম্পাদনা

ফ্রান্সিস বিউফোর্ট, যিনি ১৮১১-১৮১২ সালে তুরস্কের দক্ষিণ উপকূলে জরিপ করেছিলেন। তিনি বলেছেন যে দ্বীপটিকে স্থানীয় লোকেরা মানভাত এবং নাবিকদের দ্বারা প্রোভেনসাল দ্বীপ বলা হত। তিনি পরামর্শ দিয়েছিলেন যে এটি এই উপকূল বরাবর দুর্গ এবং দ্বীপ দখলকারী নাইট হসপিটালারদের একজনের নাম থেকে এসেছে। [১]

সাম্প্রতিক গবেষণা অনুসারে, দানা দ্বীপে অনেক শিপইয়ার্ড ছিল। সম্ভবত ব্রোঞ্জ যুগের শেষের দিকে (আনুমানিক ১২০০ খ্রিস্টপূর্ব)। সহকারী অধ্যাপক হাকান ওনিজ বলেছেন যে, দ্বীপটি প্রাচীন বিশ্বের বৃহত্তম প্রমাণিত শিপইয়ার্ড ছিল।[২] দ্বীপের মুখোমুখি মূল ভূখণ্ডের দক্ষিণ উপকূলে কিছু ধ্বংসাবশেষও রয়েছে। সম্ভবত এই দুটি বসতি ছিল প্রণালীর দুটি চরমে আধিপত্যকারী নিয়ন্ত্রণ পোস্ট। [৩] রোমানবাইজেন্টাইন যুগের প্রথম দিকে এই দ্বীপে জনবসতি ছিল। দ্বীপের উত্তরে কয়েকটি গির্জা, কবর, বাড়ি, জলাশয়, একটি রোমান স্নান এবং একটি পোতাশ্রয় স্থাপনার ধ্বংসাবশেষ রয়েছে। কিছু সূত্র অনুসারে, মধ্যযুগে ফরাসি বণিকরাও দ্বীপটিকে তাদের বন্দর হিসেবে ব্যবহার করত। [৪]

আরো দেখুন সম্পাদনা

  • সিলিসিয়ার অ্যাফ্রোডিসিয়াস

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Beaufort, Francis (১৮১৭)। Karamania, Or A Brief Description Of The South Coast Of Asia Minor। R. Hunter। পৃষ্ঠা 206–211। 
  2. Hürriyet newspaper
  3. "Report of Research Institute"। ২০ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০২২ 
  4. Pocket Guide of Mersin, MTSO, Mersin, 2004