দর্পনারায়ণ ঠাকুর

দর্পনারায়ণ ঠাকুর (১৭৩১-১৭৯৩) ছিলেন ব্রিটিশ ভারতের কলকাতার পাথুরিয়াঘাটা ঠাকুর পরিবারের সূচনাকারী এক সদস্য।

দর্পনারায়ণ ঠাকুর
জন্ম১৭৩১
মৃত্যু১৭৯৩
দাম্পত্য সঙ্গীতারিণী দেবী (১মা পত্নী)
বদনমণি (২য়া পত্নী)
পিতা-মাতাজয়রাম ঠাকুর (পিতা)     

দর্পনারায়ণ কলকাতার গোবিন্দপুরে জন্মগ্রহণ করেন। আদি নিবাস ছিল অবিভক্ত বাংলার অধুনা বাংলাদেশের যশোহরের বারোপাড়ায়। সেখানকার পিরালী ব্রাহ্মণ পরিবারের বংশধর জয়রাম ঠাকুরের চার পুত্রেরা ছিলেন আনন্দরাম, দর্পনারায়ণ, নীলমণি ও গোবিন্দরাম। ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে নবাব মীর জাফর রবার্ট ক্লাইভকে চব্বিশ পরগনার জায়গীর নিযুক্ত করলে তার ব্যবস্থাপনার জন্য জয়রাম আমিন নিযুক্ত হন[১] এবং কলকাতার গোবিন্দপুরে বসবাস করতেন।ফোর্ট উইলিয়াম নির্মাণের সময় তাদেরকে বিভিন্ন জায়গার চলে যেতে হয়। দর্পনারায়ণেরা যান পাথুরিয়াঘাটায়। অন্যান্য সদস্যরা মেছুয়াবাজারে (বর্তমানের জোড়াসাঁকো), কৈলাঘাটা এবং চোরবাগানে বসতি স্থাপন করেন। তবে দর্পনারায়ণ কলকাতায় বসতি স্থাপনের আগে চন্দননগরের ফরাসি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিতে দেওয়ান ছিলেন। [২] পরে তিনি এডওয়ার্ড হুইলারের বণিক হন, যিনি কর্নেল মনসনের স্থলাভিষিক্ত হন ওয়ারেন হেস্টিংসের নেতৃত্বে বাংলার সুপ্রিম কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে।[৩][৪] তিনি ঠাকুর পরিবারের প্রথম ব্যক্তি যিনি অর্থ-ঋণ ব্যবসার মাধ্যমে বহু অর্থ উপার্জন করেন। পরবর্তীতে তিনি রাজশাহীতে নিজের নামে একটি বড় জমিদারি এস্টেট ক্রয় করেন এবং নিজেকে বাংলার অন্যতম প্রধান জমিদার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। দর্পনারায়ণের ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুর পর স্থলাভিষিক্ত হন তার প্রথম পক্ষের পুত্র গোপীমোহন ঠাকুর [৫] [৬]

প্রসঙ্গত, দর্পনারায়ণ ঠাকুরের দুই পত্নী ছিলেন। প্রথমা তারিণী দেবী এবং দ্বিতীয়া বদনমণি। প্রথম পক্ষের পাঁচ পুত্র সন্তানের অন্য চারজন হলেন, রাধামোহন, কৃষ্ণমোহন, হরিমোহন ও প্যারীমোহন। দ্বিতীয় পক্ষের দুই পুত্র হলেন, লাডলিমোহন ও মোহিনীমোহন। [১]

উত্তর কলকাতায় পোস্তা অঞ্চলে দর্পনারায়ণ ঠাকুরের নামাঙ্কিত" দর্পনারায়ণ ঠাকুর স্ট্রিট" রাজপথ বিস্তৃত আছে।

আরো দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "ঠাকুর পরিবার"। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-০৩ 
  2. Sumanta Banerjee (১৯৮৯)। The parlour and the streets: elite and popular culture in nineteenth century Calcutta । Seagull Books। পৃষ্ঠা 28, 49, 148। আইএসবিএন 978-81-7046-063-3। সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্রিল ২০১৭ 
  3. Sirajul Islam (১৯৭৯)। The Permanent Settlement in Bengal: A Study of Its Operation, 1790–1819। Bangla Academy। পৃষ্ঠা 183। 
  4. Suniti Kumar Ghosh (১৯৮৫)। The Indian Big Bourgeoisie: Its Genesis, Growth, and Character। S.K. Ghosh। পৃষ্ঠা 130। 
  5. elites in south asia। CUP Archive। ১৯৭০। পৃষ্ঠা 45। GGKEY:R8YQ4FKC94Z। সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্রিল ২০১৭ 
  6. Bengal: Past and Present। The Society। ১৯৯৬। পৃষ্ঠা 33। সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্রিল ২০১৭