তুষার চটক

পাখির প্রজাতি

তুষার চটক বা স্নোফ্লেক (Plectrophenax nivalis) ক্যাল্কারিডি গোত্রের অন্তর্গত এক প্রজাতির প্যাসারিন। উত্তর গোলার্ধের আর্কটিক চক্রের মধ্যে এটি বসবাস ও প্রজনন করে। তবে উত্তর মেরুর দক্ষিণে বেশ কিছু পার্বত্য অঞ্চল, যেমন মধ্য স্কটল্যান্ড, দক্ষিণ আলাস্কার সেন্ট ইলিয়াস পাহাড় ইত্যাদি অঞ্চলে এদের কিছু কিছু বিচ্ছন্ন জনগোষ্ঠী বসবাস করে।[]

তুষার চটক
প্রজননকালীন পুরুষ, আলাস্কা
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Animalia
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণী: পক্ষী
বর্গ: Passeriformes
পরিবার: Calcariidae
গণ: Plectrophenax
প্রজাতি: P. nivalis
দ্বিপদী নাম
Plectrophenax nivalis
(Linnaeus, 1758)
প্রতিশব্দ
  • Emberiza nivalis Linnaeus, 1758
  • Passerina nivalis (Linnaeus, 1758)

বৈশিষ্ট্য

সম্পাদনা
 
স্ত্রী স্নো চটক

এটা মোটামুটি বড় এবং দীর্ঘ পাখনাযুক্ত এক প্রজাতির চটক। ১৫–১৮ সেমি (৫.৯–৭.১ ইঞ্চি) লম্বা এবং এদের পাখনার দৈর্ঘ্য হয় ৩২–৩৮ সেমি (১৩–১৫ ইঞ্চি) এবং এদের ওজন হয় ২৬–৫০ গ্রাম (০.৯২–১.৭৬ আউন্স)।

উড়বার সময়ে এটি সহজেই চিহ্নিত হয় তাদের ডানাতে সাদা রঙের দাগের জন্য। প্রজননকারী পুরুষদের চেনা খুব সহজ তাদের গায়ের রঙের জন্য। পুরুষদের গায়ের রঙ হয়, পিঠের দিকটা কালো এবং নিচের দিকটা হয় ধূসর রঙের। প্রজননকারী মহিলারা দেখতে হয় ধোঁয়াটে কালো এবং পুরুষরা হয় সম্পূর্ণ কালো।[][] প্রচলিত দ্রোণকাক ছাড়া আর কোন চড়াই জাতীয় পক্ষীবিশেষ শীতকালে পরিযান করতে পারে না।

গ্যালারি

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. BirdLife International (২০১২)। "Plectrophenax nivalis"বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা। সংস্করণ 2013.2প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৩ 
  2. Byers, C., Olsson, U., & Curson, J. (1995). Buntings and Sparrows. Pica Press আইএসবিএন ১-৮৭৩৪০৩-১৯-৪.
  3. Snow, D. W. & Perrins, C. M. (1998). The Birds of the Western Palearctic Concise Edition. OUP আইএসবিএন ০-১৯-৮৫৪০৯৯-X.

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা