তুলনামূলক সাহিত্য

তুলনামূলক সাহিত্য একটি একাডেমিক বিষয় যেখানে দুই বা ততোধিক ভাষাগত, সাংস্কৃতিক বা জাতিগত পটভূমি থেকে আগত সাহিত্য বিষয়ে আলোচনা বা অনুসন্ধান করা হয়। সাধারণত ভিন্নতর ভাষার সাহিত্য নিয়ে এতে আলোচনা করা হয়; তবে একই ভাষাভাষী ভিন্নতর জাতিগোষ্ঠীর সাহিত্য নিয়েও আলোচনা হতে পারে। বাংলা ভাষায় তুলনামূলক সাহিত্য চর্চার ইতিহাস দুশো বছরের পুরাতন হলেও তুলনামূলক সাহিত্য চর্চার বিষয়গত আঙ্গিককে উল্লেখ করে [আলোচনা‌|সমালোচনা] শুরু হয় বিংশ শতাব্দীর শুরুতে। বাংলাভাষায় তুলনামূলক সাহিত্য চর্চা নিয়ে ১৯০৭ সালে বিশ্বসাহিত্য প্রবন্ধটি লেখেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেখানে বলেন, "ইংরাজিতে আপনারা তাহাকে Comparative Literature নাম দিয়াছেন। বাংলায় আমি তাহাকে বিশ্বসাহিত্য বলিব।"

বিষয়বস্তু সম্পাদনা

সাধারণভাবে তুলনামূলক সাহিত্যের শিক্ষার্থী এবং একাডেমিকগণ একাধিক ভাষায় দক্ষতা অর্জন করেন; একই সাথে সেসকল ভাষার সাহিত্যগত ঐতিহ্য, সাহিত্য সমালোচনার ধারা এবং প্রধান সাহিত্যগুলো সম্পর্কে চর্চা রাখেন। এই একাডেমিক বিভাগটির আন্তর্বিভাগীয় বৈশিষ্ট্যের কারণে এ বিভাগের একাডেমিকেরা অনুবাদবিদ্যা, সমাজবিজ্ঞান, সমালোচনা তত্ত্ব, সংস্কৃতিবিদ্যা, ধর্মবিদ্যা, ইতিহাস ইত্যাদি বিষয়ে কিছুটা চর্চা রেখে থাকেন। একারণে, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগের পাঠ্যক্রম নির্ধারণের ক্ষেত্রে এরকম বিবিধ বিভাগের একাডেমিকেরা অবদান রাখেন।[১]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Placement of 1996-97 PhDs in Classics, Modern Languages, and Linguistics, জুলাই ৯, ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ডিসে ১৮, ২০১১