তাসাদ্দুক আহমদ

বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ

তাসাদ্দুক আহমদ (১৯২৩-২০০১) একজন বরেণ্য রাজনীতিবিদ, সমাজকর্মী ও মুক্তিযোদ্ধের প্রবাসী সংগঠক। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে তহবিল ও বিশ্ব জনমত গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।[১][২]

তাসাদ্দুক আহমদ
জন্মএপ্রিল ২, ১৯২৩ ইং
মৃত্যুডিসেম্বর ৮, ২০০১ ইং
জাতীয়তা🇧🇩 বাংলাদেশি
পরিচিতির কারণমুক্তিযুদ্ধের প্রবাসী সংগঠক, রাজনীতিক ও সমাজসেবক
আন্দোলনস্বাধীনতা আন্দোলন ১৯৭১
পিতা-মাতামদরিছ আহমদ চৌধুরী (বাবা)
সম্মাননাব্রিটিশ সরকার কর্তৃক MBE খেতাব লাভ

প্রারম্ভিক জীবন সম্পাদনা

তাসাদ্দুক আহমদ ১৯২৩ সালের ২রা এপ্রিল সিলেটের গোলাপগঞ্জ থানার ভাদেশ্বর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মদরিছ আহমদ চৌধুরী ছিলেন একজন ম্যাজিস্ট্রেট। তাসাদ্দুক আহমদ ছিলেন তাঁর জ্যেষ্ঠ সন্তান।[১]

কর্মজীবন সম্পাদনা

তাসাদ্দুক আহমদ ভাষা আন্দোলনের সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এ জন্য পাকিস্তান সরকার তাঁর নামে হুলিয়া জারি করে। ১৯৫৪ সালে তিনি লন্ডনে চলে যান এবং সেখানে হোটেল ব্যবসা শুরু করেন। সেখানে তাসাদ্দুক আহমদ অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্রিটেনে তার গ্যাঞ্জেস রেস্টুরেন্ট ছিল বাঙালি মুক্তিযোদ্ধাদের এক অঘোষিত অফিস। তাসাদ্দুক আহমদ ১৯৭১ এর গণঅভ্যুত্থান এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে তহবিল ও বিশ্ব জনমত গঠনে অসাধারণ ভুমিকা পালন করেন। প্রবাসীদের কল্যণে তার অবদান সীমাহীন। তিনি প্রবাসীদের বিভিন্ন সমস্যা ব্রিটিশ সরকারের নিকট তুলে ধরেন। সাংবাদিক হিসেবে ও তাসাদ্দুক আহমদ অনেক অবদান রেখেছেন। ব্রিটেনে প্রকাশিত প্রথম বাংলা পত্রিকা দেশের ডাক তিনি প্রকাশ করেন। এর পূর্বে তিনি ইস্টার্ন নিউজ নামেও একটি ইংরেজি পত্রিকা বের করেন। তিনি দৈনিক পাকিস্তান অবজার্ভার ও দৈনিক সংবাদের প্রধান রিপোর্টার ছিলেন।[৩][১]

পুরস্কার/সম্মাননা সম্পাদনা

তাঁর জনকল্যাণমূলক কর্মকান্ডের স্বীকৃতিস্বরূপ ব্রিটিশ সরকার তাঁকে MBE (Member of British Empire) খেতাবে ভূষিত করে।[১][২]

মৃত্যু সম্পাদনা

২০০১ সালের ৮ ডিসেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়।[১]

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

আহমদ, তাসাদ্দুক

তথ্যসূত্র সম্পাদনা