তালহা মসজিদ
এই নিবন্ধটির একটা বড়সড় অংশ কিংবা সম্পূর্ণ অংশই একটিমাত্র সূত্রের উপর নির্ভরশীল। |
তালহা মসজিদ বা কুব্বাত তালহা (আরবি: قبة طلحة, প্রতিবর্ণীকৃত: কুব্বাত Ṭalḥah) ইয়েমেনের প্রাচীনতম মসজিদগুলোর মধ্যে একটি। উসমানীয় সাম্রাজ্যের ইয়েমেন দখলের পর ১৬১৯ থেকে ১৬২০ সাল পর্যন্ত উসমানীয় ওয়ালি হাদজি মেহমেদ পাশার আদেশে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। মসজিদের মিনারটিও একই সময়ে নির্মিত হয়েছিল।[১]
তালহা মসজিদ | |
---|---|
قبة طلحة | |
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | ইসলাম |
জেলা | পুরাতন শহর জেলা |
যাজকীয় বা সাংগঠনিক অবস্থা | ব্যবহারযোগ্য |
অবস্থা | সক্রিয় |
অবস্থান | |
অবস্থান | সানা |
দেশ | ইয়েমেন |
স্থানাঙ্ক | ১৫°২১′১৪″ উত্তর ৪৪°১২′৪৫″ পূর্ব / ১৫.৩৫৪০° উত্তর ৪৪.২১২৪° পূর্ব |
স্থাপত্য | |
ধরন | মসজিদ |
সাধারণ ঠিকাদার | উসমানীয় ওয়ালী হাদজি মেহমেদ পাশা |
ভূমি খনন | ১৬১৯ |
সম্পূর্ণ হয় | ১৬২০ |
মিনার | ১ |
ইতিহাস সম্পাদনা
১৮৩১ এবং ১৮৩২ সালে আল-মুতাওয়াক্কিল আহমদের পুত্র ইমাম আল-মাহদি আবদুল্লাহর আদেশে মসজিদটি আংশিকভাবে পুনরুদ্ধার করা হয়।[১]
তালহা মসজিদটি আল-বাকিরিয়া মসজিদ নির্মাণের ২৩ বছর পরে নির্মিত হয়েছিল। নির্মাণের সময় একই শৈলীগত বৈশিষ্ট্য ব্যবহার করা হয়েছিল।[১]
আল-বাকিরিয়া মসজিদের মতো, এটিও উসমানীয় স্থাপত্যের একটি উদাহরণ, যা সফলভাবে ওসমানীয় সাম্রাজ্য এবং ইয়েমেন-এর বিভিন্ন স্থাপত্য শৈলীকে একত্রিত করেছে।[১]
মসজিদটি একটি কমপ্লেক্স যেখানে একটি প্রার্থনা হল, মিনার, উঠান, গোসলের জন্য কক্ষ, সুইমিং পুল এবং ধর্মশালা রয়েছে।[১]
বিবরণ সম্পাদনা
মসজিদের প্রবেশপথের পূর্বে চার গম্বুজ বিশিষ্ট দুটি খিলানযুক্ত ওয়াকওয়ে রয়েছে। মসজিদের নামাজের হল আয়তক্ষেত্র আকৃতির।[১]
প্রার্থনা হলের অর্ধবৃত্তাকার গম্বুজটি স্টুকো দ্বারা সজ্জিত এবং একটি অষ্টভুজাকার ড্রামের উপর স্থির। এটি চারটি অষ্টভুজাকার কোণার টাওয়ার দ্বারা বেষ্টিত। এছাড়াও এটি স্টুকো দ্বারা সজ্জিত।[১]
কেন্দ্রের ড্রামের প্রতিটি মুখের একটি খিলানযুক্ত জানালা রয়েছে যা প্রার্থনা হলের আলোর একটি অতিরিক্ত উৎস হিসাবে কাজ করে। তালহা মসজিদের প্রার্থনা কক্ষে আল-বাকিরিয়া মসজিদের ঐতিহ্যগত ইয়েমেনি মসজিদের কাঠের ছাদ রয়েছে।
মিনারটি প্রার্থনা কক্ষের পাশে, দক্ষিণ-পূর্ব কোণে অবস্থিত। এটি একটি আয়তক্ষেত্রাকার ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে আছে।
তালহা মসজিদ সানার পশ্চিম অংশে অবস্থিত।