তারে জমিন পর
তারে জমিন পর (হিন্দি: तारे जमीन पर, বাংলা অনুবাদ: পৃথিবীর নক্ষত্র) ২০০৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বলিউড চলচ্চিত্র।[১] ছবিটি পরিচালনা এবং প্রযোজনা করেছেন আমির খান। ডিসলেক্সিয়ায় আক্রান্ত একটি ছেলের অবস্থা এবং এর থেকে মুক্তির উপর ভিত্তি করে এই চলচ্চিত্রটি তৈরি করা হয়৷ এই চলচ্চিত্রের ফলে ভারতে ডিসলেক্সিয়া সম্পর্কে সতর্কতা তৈরি হয় এবং এতে আক্রান্ত ব্যক্তিদেরকে সহানুভূতির চোখে দেখা হয়৷
তারে জমিন পর | |
---|---|
পরিচালক | আমির খান |
প্রযোজক | আমির খান সহ- প্রযোজক: অজয় বিঝলি এবং সঞ্জীব কে বিঝলি |
রচয়িতা | অমল গুপ্তে |
শ্রেষ্ঠাংশে | আমির খান দর্শিল সাফারি টিস্কা চোপড়া |
সুরকার | সংকর মহাদেবান এহ্সান নুরানী লয় মেন্দোসা |
চিত্রগ্রাহক | সেতু |
সম্পাদক | দীপা ভাটিয়া |
পরিবেশক | আমির খান প্রোডাকসনস |
মুক্তি | ডিসেম্বর ২১, ২০০৭ |
দেশ | ভারত |
ভাষা | হিন্দি |
কাহিনী
সম্পাদনাছবিটির কাহিনী প্যাট্রিসিয়া পোলাক্কোর বই "Thank You, Mr. Falker" থেকে অনুপ্রাণিত। ৮ বছরের ছেলে ঈশান আওয়াস্তি। ডিস্লেক্সিক রোগের কারণে সে কোন কিছু পড়তে কিংবা বানান করতে পারেনা। অক্ষরগুলো তার চোখের সামনে নেচে বেড়ায়। মাছ, ঘুড়ি, কুকুর হয়ে ঘুরে বেড়ানো সেই শব্দগুলো বালক মনের আনন্দের খোরাক হলেও তা বড়দের কাছে বিরক্তিকর ছাড়া আর কিছুই নয়। তাই বড়ভাই উহান যখন ক্লাসের সব বিষয়ে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে মায়ের কাছে ছুটে আসে তখন ঈষানের রেজাল্টকার্ড তার পোষা কুকুরদের মুখে মুখে ঘুরে বেড়ায়। তার উপর সবাই বিরক্ত। শিক্ষক থেকে শুরু করে বন্ধু-বান্ধব বাবা সবাই তার উপর বিরক্ত। এভাবে আর কতো? এভাবে করলে সে তো আর বড় হয়ে আর চাকরি বাকরি পাবেনা। স্কুলে থেকে অভিযোগের পর অভিযোগের করণে তার বাবা তাকে বোর্ডিং স্কুলে পাঠাতে বাধ্য হয়। সেখানেই তার সাথে পরিচয় হয় চারু ও কারু কলার শিক্ষক রাম শংকর (আমির খান) এর সাথে। এরপর থেকেই মূল কাহিনী শুরু হয়।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "'তারে জমিন পর'-এর ঈশান এখন অনেকটাই বড়"। anandabazar.com। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুন ২০২৪।