তাম্রচূড়া বা কুকুরমুতা (বৈজ্ঞানিক নাম:Blumea lacera) হচ্ছে ১৮৩৪ সালে বর্ণিত Asteraceae বা সূর্যমুখী পরিবারের একটি উদ্ভিদ।[১]

তাম্রচূড়া
Blumea lacera
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Plantae
শ্রেণীবিহীন: Angiospermae
শ্রেণীবিহীন: Eudicots
বর্গ: Asterales
পরিবার: Asteraceae
গণ: Blumea
প্রজাতি: B. lacera
দ্বিপদী নাম
Blumea lacera
(Burm.f.) DC., 1834

এটি খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়া একটি জংলি গাছ। এরা কয়েক সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। পুরো শরীর ও পাতা এক প্রকার নরম লোমশ আবরণে ঢাকা। পাতাগুলো একটু চাপ দিলে এর থেকে নিঃসরিত রসে বেশ কটু গন্ধ আছে। এদের হলুদ ফুল গুচ্ছগুলো কিছুদিন পরে ছাই বর্ণ ধারণ করে এবং ফুল গুলো তুলার মত হয়ে উরে যাবার জন্য প্রস্তুত হয় তখন দেখলে মনে হবে যেনো পাকা চুলের মাথা একটা। এই অবাঞ্ছিত আগাছার নাম সন্ধানে বেশ বিব্রত হতে হয় আঞ্চলিক ভাবে একে কুকুর মুতা,কুকুর শুঙ্গ,জংলি মুলী এই ধরনের নামে ডাকা হয়। এমন নাম করনের পেছনে কোনো কারণ আছে কিনা আমার জানা নাই। তবে ইন্ডিয়া তামিলনাড়ু তে এর চমৎ্কার নাম রয়েছে তাম্রচূড়া আর এটি বেশি গ্রহণযোগ্য। তাম্রচূড়া ঔষধি গাছটি জ্বর, মুখে বাথা সহ নানান অসুখে ব্যবহার হয়ে আসছে।

কুকুর মুতা গাছ ১ থেকে ২ ফুট উচু গুল্ম জাতীয় গাছ। কান্ড রোমশ ও সরল এবং পাতা ও কান্ডের সংযোগস্থল থেকে ছোট ছোট শাখা বের হয়।পাতার কিনারা ঢেউ খেলানো এবং পশমযুক্ত। কুকুর এ গাছের গন্ধ শুঁকে মূএত্যাগ করে বলে কুকুর শোকা বলা হয়।এ গাছের অনেক ঔষধি গুণ আছে। ঔষধ হিসেবে এ গাছের সমগ্র অংশ ব্যহার করা যায়। {{১২ থেকে ৩৬ গ্রাম পরিমান সেবন করা যায়। অতিরিক্ত সেবনে গলা ও ফুসফুসের ক্ষতি হতে পারে। গোল মরিচ এর সংশোধন। কুকুর মুতা গাছ বিশেষ করে রোগ প্রতিরোধক এবং রক্ত পরিষ্কার হিসেবে কাজ করে। যাদের গুঁড়া কৃমির সমস্যা আছে তারা ১০ থেকে ১২ গ্রাম কুকুর মুতা পাতা নিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করে নিয়ে ২ থেকে ৩ টি গোল মরিচ এর সাথে পিষে শরবত করে খেতে পারেন ১০ থেকে ১২দিন,দিনে একবার করে। গুড়া কৃমি বিলুপ্ত হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. web|url=http://www.theplantlist.org/tpl1.1/record/gcc-51822%7C[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] title=Blumea lacera|accessdate=4-6-2013| author=The Plant List | year =2010