তাকেরু সাতহ

জাপানি অভিনেতা

তাকেরু সাতোহ (佐藤 健, সাতোও তাকেরু, জন্ম ২১ মার্চ ১৯৮৯) হচ্ছে একজন জাপানি অভিনেতা। সে সবচেয়ে বেশি পরিচিত কামেন রাইডারঃ ডেন ও তে রায়োতারো নগামি ভূমিকায় মূল চরিত্রে অভিনয়ের জন্য এছাড়াও হিমুরা কেনশিন চরিত্রে রুরোনি কেনশিন এবং এর ধারাবাহিক চলচ্চিত্রের জন্য বিখ্যাত।

তাকেরু সাতহ
佐藤 健
রুরোনি কেনশিনঃ কাইতো ইনফার্নো ছবির প্রদর্শনীতে ২০১৪ সালের জুনে
জন্ম (1989-03-21) ২১ মার্চ ১৯৮৯ (বয়স ৩৫)[]
ইওয়াসুকি-কু, সাইতামা, জাপান
পেশাঅভিনেতা
কর্মজীবন২০০৬-বর্তমান
প্রতিনিধিএমুজ ইঙ্ক
ওয়েবসাইটsatohtakeru.com

প্রাথমিক এবং ব্যক্তিগত জীবন

সম্পাদনা

সাতহ জন্মগ্রহণ করে ১৯৮৯ সালের ২১ মার্চ সাইতামার ইওয়াসুকি-কুতে। তার একটি ছোট বোন রয়েছে এবং তার পিতা-মাতার বিচ্ছেদ হয় সে মাধ্যমিকে থাককালীন। সে ২০০৭ সালে কশিগাইকি উচ্চবিদ্যালয় থেকে পাশ করে।[] সে তার ২০তম জন্মদিন পালন করে একটি উৎসবের মাধ্যমে টোকিওর ওদাইভাতে যেটি “তাকেরু উৎসব ২০০৯” বলে পরিচিত। ভক্তরা একত্রিত হয় এবং সাতহ এর প্রাক্তন এবং বর্তমান কাজগুলো দেখে যার মধ্যে “লট্টে” নামের একটি প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন ছিল। এর মধ্যে সাতহ এবং এমসি এর সরাসরি কথোকপথন ছিল এবং এটি সমাপ্তি ঘটে সাতহ এর গানের মাধ্যমে।[]

পেশাজীবন

সম্পাদনা

২০০৬-২০০৮: প্রাথমিক পেশাজীবন

সম্পাদনা

সাতহ এর সন্ধান পায় হারাজুকুতে এমিউজ ইঙ্ক এর একজন প্রতিনিধি যখন সাতহ টোকিওতে উচ্চ বিদ্যালয়ে ছিল,[] এবং সে প্রত্যাবর্তন করে ২০০৬ সালে।[] তার প্রথম নাটক ছিল “প্রিন্সেস প্রিন্সেস ডি” যেখানে সে তরু কোনও নামের চরিত্রে অভিনয় করে। ২০০৭ সালে সে শিনিগামি ন বালাদ এ অতিথি চরিত্রে অভিনয় করে। সে তার জনপ্রিয়তা পায় কামেন রাইডার সিরিজির সপ্তম কিস্তিতে রায়তরো নগামি ভূমিকায় অভিনয় করে।[]

২০০৯-২০১১: সাফল্য

সম্পাদনা

কামেন রাইডার ডেন-ও এর সফলতা এবং জনপ্রিয়তায় এবং আরো দুটো ছবিতে অভিনয়ের ফলে ২০০৮ সালের বসন্তে টিভিএস এর পুরস্কার জয়ী নাটক “রোকিজ” এ অভিনয় করার সুযোগ পায় ইউয়া অকাদা চরিত্রে। অকাদা বেইজবল ক্লাবের একটি অপরাধী দলের অংশ যে আগের ম্যাচে হিংস্রাত্নক আচরণ করার জন্য নিষিদ্ধ। তাদের নতুন শিক্ষকের নির্দেশনায় ক্লাব সদস্যরা আবার তাদের হারানো স্বপ্ন পুনরায় দেখতে থাকে বেইজবল টুর্নামেন্ট এ খেলার। “রুকিজ” এর চরিত্র সাতহ মনে করে তার আবির্ভুত হওয়ার ভূমিকা যদিও সে একটি ছোট চরিত্রে অভিনয় করেছিল।[] এর কারণ ছিল রুকিজ বেশি দর্শকদের কাছে পৌঁছেছে তার পূর্বের কোন কাজ থেকে কারণ নাটকটি প্রধান একটি টেলিভিশন চ্যানেল এ সম্প্রচারের জন্য। সাতহকে ২০০৯ সালের গ্রীষ্মে রুকিজ এর বিশেষ পর্বেও দেখা যায়।

সাতহকে পুনরায় দেখা যায় রুয়োতারো চরিত্রে কামেন রাইডারের তৃতীয় চলচ্চিত্রে ২০০৮ সালের অক্টোবরে। যাতে সাতহ শেষবারের মত এই চরিত্রে অভিনয় করে। একই মাসে সে ব্লাড মানি নামের নাটকে অভিনয় করে যেটি একই নামের মাঙ্গা থেকে তৈরি। সে তয়া কুজো চরিত্রে অভিনয় করে যেটি মূল চরিত্রের সবচেয়ে কাছের বন্ধু যার ভূমিকায় অভিনয় করে তার বাস্তব জীবনের ভাল বন্ধু “হারুমা মিউরা”[]

২০০৯ সালের প্রথম দিকে সাতহ “মেই-চান ন শিতুজু” তে কেনতো শিবাতা চরিত্রে অভিনয় করে একজন বাটলারের ভূমিকায় যেটি তার ভক্তদের কাছে প্রিয় একটি চরিত্র। সে ২০০৯ সালের গ্রীষ্মে “গোমন” চলচ্চিত্রে অভিনয় করে, এবং অতিথি চরিত্রে “মিঃ ব্রেইন”, “ট্রু হরর স্টোরিজ” এবং “এমডব্লিউ দাই-ও-স” ইত্যাদি টিভি শোতে। ২০১০ সালে সে ওকাদো ইজো চরিত্রে “রায়োমাদেন” নাটকে অভিনয় করে এবং তার সবচেয়ে বড় সহ-চরিত্রে অভিনয় করে “বেক” নামের চলচ্চিত্রে, এতে তার সহ-শিল্পী ছিলেন “হিরো মিজুশিমা” এবং “ওসামো মুকাই”,[] দুজনেই মেই-চান ন শিতসুজি এর সহশিল্পী ছিল। ছবি মুক্তির পর সাতহ প্রথম প্রধান চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পায় টেলিভিশনে কিশোর নাটক “কিউ১০” এ।

২০১১ সাকের ২৮ জুন নিশ্চিত করা হয় যে সে হিমুরা কেনশিন চরিত্রে অভিনয় করছে মাঙ্গা সিরিজের রূপান্তর চলচ্চিত্র রুরোনি কেনশিন এ।[১০]

২০১২-বর্তমানঃ রুরোনি কেনশিন এবং পেশাজীবন সম্প্রসারণ

সম্পাদনা
 
রুরোনি কেনশিন এর সংবাদ মাধ্যমের সাথে কথোপকথনে তাকেরু সাতহ ২০১৪ সালের আগস্টে

আগস্ট ২০১২ তে মুক্তি পেয়ে চলচ্চিত্রটি প্রায় ৩.০১ বিলিয়ন ইয়েন(জাপানি মুদ্রা) আয় করে স্থানীয় বক্স অফিসে।[১১] সাতহ মঞ্চে প্রত্যাবর্তন করে রোমিও চরিত্রে শেক্সপিয়ার এর "রোমিও এবং জোলিয়েটের” জাপানি রূপান্তরের মাধ্যমে ২০১২ সালের মে তে। ২০১৪ সালে সাতহ গোয়েন্দা ভূমিকায় অভিনয় করে ফুজি টেলিভিশনের নাটক বিটার ব্লাড এ।[১২] সে পুনরায় হিমুরা কেনশিন চরিত্রে অভিনয় করে এর রুরোনি কেনিশিনের দুইটি চলচ্চিত্রে কাইতো ইনফার্নো এবং দ্য লেজেন্ড আন্ডস, উভয় চলচ্চিত্র ২০১৪ সালে মুক্তি দেয়া হয়।[১৩][১৪] সাতহ পরিচিতি পায় রুরোনি কেনশিন এর মাঙ্গা লেখক নবুহিরো ওয়াতাসুকি এবং তার স্ত্রী এর কাছে যারা মনে করেন সাতহ চরিত্রটি এর জন্য আদর্শ অভিনেতা।[১৫]

তার চলচ্চিত্রে সফলতার মাধ্যমে সে টেলিভিশনের পর্দায় ফিরে আসে টিবিএস এর সিরিজ “দ্য এম্পেরিয়র’স ক্লক” এর মাধ্যমে ২০১৫ সালে প্রথম দিকে।[১৬][১৭] সে ২০১৫ এবং ২০১৬ সালে টহো কর্পোরেশনের তিনটি চলচ্চিত্র “বাকুম্যান” যেটি মাঙ্গা থেকে রূপান্তর, “ইফ ক্যাট ডিজাপেয়ারড ফ্রম দ্য ওয়ার্ল্ড” যেটি উপন্যাস থেকে রূপান্তর এবং “সামবডি”[১৮][১৯]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Profile" (Japanese ভাষায়)। Takeru Satoh official website। ২০১৮-০৯-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৭-১৭ 
  2. 裸にしたい男「佐藤健」 (Television production)। Japan: [NHK]। ২০১২। 
  3. "Takeru Satoh celebrates his 20th birthday with fans"। ২০০৯-০৩-২১। ২০০৯-০৫-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৪-২৭ 
  4. "【佐藤健】平成生まれも態度で示す"昭和の男" 美学は「自己アピールしない」"। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ডিসেম্বর ২০১৪ 
  5. "Corporate History"Amuse Inc.। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ডিসেম্বর ২০১৪ 
  6. 佐藤健、「仮面ライダー電王」人気の秘密は... (Japanese ভাষায়)। Sankei Digital Inc.। ২০০৮-০৯-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-১০-২৯ 
  7. Takeru considers his role in Rookies his breakout role during chat with an MC in the Takeru Festival 2009 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩০ এপ্রিল ২০০৯ তারিখে (2009-03-21). Retrieved on 2009-04-27.
  8. "Bloody Monday"TBS। ২৫ অক্টোবর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ডিসেম্বর ২০১৪ 
  9. "Takeru Sato on the upcoming Beck live-action film" (Japanese ভাষায়)। The Hochi Shimbun। ২০০৯-০৬-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-১০-২৯ 
  10. ""Rurouni Kenshin" to get film adaptation starring Satoh Takeru!"। Tokyohive.com। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০১১ 
  11. "Kenshin sequel heats up Japan box office"। Film Business Asia। ২১ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ডিসেম্বর ২০১৪ 
  12. ""Bitter Blood" between father-son detectives; a Tokyo take on "The Long Goodbye"; CM of the week: JT"The Japan Times। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ডিসেম্বর ২০১৪ 
  13. "Japanese Box Office: 'Rurouni Kenshin: The Legend Ends' Rules"Variety। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ডিসেম্বর ২০১৪ 
  14. "ANIME NEWS: Two-part sequel to live-action 'Rurouni Kenshin' gets premiere dates"Asahi Shimbun। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ডিসেম্বর ২০১৪ 
  15. "Rurouni Kenshin Manga Gets Live-Action Film in 2012 (Updated)"Anime News Network। জুন ২৭, ২০১১। নভেম্বর ১৪, ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ২১, ২০১৭ 
  16. "『天皇の料理番』が4冠獲得 「東京ドラマアウォード2015」" ["The Emperor's Cook" gains 4 wins at Tokyo Drama Awards 2015]। ORICON STYLE (জাপানি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০১-১০ 
  17. "佐藤健、『天皇の料理番』で放送文化基金賞受賞" [Takeru Satoh receives the Hoso Bunka Fund Award for 'The Emperor's Cook']। ORICON STYLE (জাপানি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০১-১০ 
  18. "Bakuman."TohoToho। ৯ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০১৫ 
  19. "Filmart 2015: Hot titles - Japan"Screen International। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০১৫ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা