রমাবাই তেলিন যাকে তাই তেলিন নামেও অভিহিত করা হত, তিনি উনবিংশ শতকে ভারতের মহারাষ্ট্রের এক বীর তেজস্বিনী মহিলা হিসাবে সুপরিচিত ছিলেন। মারাঠিতে মহিলাদের সম্মান করে তাই (দিদি) বলে ডাকা হয়। সেইজন্য তার প্রজাগণ তাকে সম্মান করে তাই বলে সম্বোধন করতেন। তিনি ছিলেন তৎকালীন মহারাষ্ট্রের আউন্ধ অঞ্চলের নিয়োজিত পন্থ প্রতিনিধি রাজা মগধোজি তেলির স্ত্রী। ১৮০৬ সালে, মসুর অঞ্চলের কাছে পেশওয়া বাজি রাও দ্বিতীয় পন্থ প্রতিনিধি মগধোজি তেলিকে আটক করেন। তার অনুপস্থিতির সময়, তাই তেলিন ভাসোটার অধিকার পান এবং সুচারুভাবে রাজ্যভার হাতে নেন।[১] তিনি অত্যন্ত সাহস ও দৃঢ়তার সাথে নিজের উপ-পতিকেও মুক্ত করে দেন।

পন্থ প্রতিনিধি সাতারার রাজার সাথে হাত মেলান ও নিজেকে সাতারার রাজার সেবক হিসেবে ঘোষণা করেন। এরপর তিনি পেশোয়ার সাথে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করেন। তবে এই ঘটনার সামান্য সময় পরেই তাকে হার স্বীকার করতে হয় যখন পেশোয়ার প্রাক্তন সেনাপতি বাপু গোখলে তাকে পরাস্ত করেন। কিন্তু তাই তেলিন হার স্বীকার না করে গোখলের বিরুদ্ধে তার লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন। দীর্ঘ আট মাস তিনি সেনাপতির গোখলের বিরুদ্ধে দৃঢ় ও শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ও ভাসোটাকে তার হাত থেকে রক্ষা করতে সক্ষম হন। কিন্তু একসময় তাদের সংগৃহীত শস্যভান্ডারে আগুন ধরে যায় যা তাদের প্রতিকূল পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেয়। ফলস্বরূপ তাই তেলিনকে শত্রুপক্ষের কাছে আত্মপমর্প‌ন করতে হয়।

মারাঠি ছড়ার মধ্যে সসম্মানে তাই তেলিনের উল্লেখ করা হয়েছে।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Grant Duff's Marathas, Vol. II, 414.