তাইওয়ানে নারীবাদ

তাইওয়ানে নারীবাদী এবং নারী অধিকার আন্দোলনের একটি জটিল ইতিহাস রয়েছে যেখানে প্রগতিশীলতার সময়কাল রয়েছে। সেই সময় নারীবাদ এবং শক্তিশালী মহিলা আইকনগুলি বিকশিত হয়েছিল। এছাড়াও আছে কঠোর কর্তৃত্ববাদের সময়কাল যে সময় সমতা এবং ব্যক্তিগত অধিকারকে অবমূল্যায়ন করা হয়েছিল। ভিভিন্ন প্রজন্মের নারীবাদীদের কাজগুলির ফলে, তাইওয়ান বর্তমানে এশিয়ার সবচেয়ে লিঙ্গ-সমতাযুক্ত দেশগুলির মধ্যে একটি, লিঙ্গ সমতার আন্তর্জাতিক সূচকে তার পূর্ব এশীয় প্রতিবেশীদের তুলনায় ধারাবাহিকভাবে উচ্চতর অবস্থান করছে (২০১৯ সালে লিঙ্গ বৈষম্য সূচক অনুসারে বিশ্বব্যাপী ষষ্ঠ এবং ২০২০ সালে লিঙ্গ ব্যবধান সূচক অনুসারে বিশ্বব্যাপী ২৯ তম)।

জাপানি ঔপনিবেশিক সময়কাল (১৯১০ থেকে ১৯৪৫) সম্পাদনা

জাপানি ঔপনিবেশিক শাসনের শুরুতে তাইওয়ান সরকার কিছু উপায়ে তাইওয়ান সমাজের চেয়ে বেশি প্রগতিশীল ছিল।[১] জাপানি ঔপনিবেশিক সরকারের সামাজিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রস্তাব করেছিল দত্তক নেওয়া কন্যাদের অপব্যবহার ও পাচার রোধ করার জন্য একটি নীতির, বিশেষ করে এই ধরনের শিশুদের সুরক্ষা জোরদার করার জন্য ও এই জাতীয় সমস্যাগুলির বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে প্রচারাভিযান চালু করেছিল। একই সময়ে ১৯১৪ সালে জাপান সরকার কর্তৃক পা বাঁধা সংস্কৃতি (আকৃতি এবং আকার পরিবর্তন করার জন্য অল্প বয়স্ক মেয়েদের পা ভাঙ্গা এবং শক্তভাবে বাঁধা) নির্মূল করা হয়েছিল। ১৯২০-এর দশকে ঔপনিবেশিক সরকার রাজনৈতিক ভিন্নমতের প্রতি তুলনামূলকভাবে সহনশীল ছিল, যার ফলে তাইওয়ানের ইতিহাসে প্রথম স্বায়ত্তশাসিত নারী আন্দোলনের বিকাশ ঘটে।

১৯২০-এর দশকে স্বায়ত্তশাসিত নারী আন্দোলন সম্পাদনা

১৯২০-এর দশক জুড়ে প্রগতিশীল তাইওয়ানের বুদ্ধিজীবী ও শিক্ষার্থীরা তাইওয়ানের সমাজে মহিলাদের বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য অসংখ্য নিবন্ধ তৈরি করেছিল। ১৯২১ সালে, জাপানি আত্তীকরণের ভয়ে তাইওয়ানীয় কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন তৈরি করা হয়েছিল। স্থানীয় সংসদ গঠনের জন্য এটি ছিল একটি তাইওয়ান পিটিশন আন্দোলন।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Chang, Doris T. (২০০৯)। Women’s Movements in Twentieth-Century Taiwan। Chicago: University of Illinois Press.। আইএসবিএন 978-0252033957