ডোমিনিকার ইতিহাস

ইতিহাসের বিভিন্ন দিক

ডোমিনিকার ইতিহাস ক্যারিবীয় দ্বীপ ডোমিনিকা এর ইতিহাস

১৭৭০ সালে অঙ্কিত লিনেন বাজারের দৃশ্য

প্রাক-ঔপনিবেশিক যুগ সম্পাদনা

অরিনোকো নদীর দক্ষিণ নিরক্ষীয় স্রোতের টানে ধাবিত হয়ে দক্ষিণ আমেরিকার আরাওয়াকা আদিবাসীরা ডোমিনিকা ও অন্য কয়েকটি ক্যারিবীয় দ্বীপে পৌঁছায়। আদি তাইনো গোষ্ঠীর এই বংশধরগণ পরবর্তীকালে কারিব সম্প্রদায়ের কালিনাগো গোত্র কর্তৃক এই দ্বীপ থেকে উৎখাত হয়। চতুর্দশ শতকে বসতি গড়া কারিবরা এই দ্বীপের নাম দিয়েছিল "Wai‘tu kubuli" (Tall is her body)।[১]

ইউরোপের সাথে প্রাথমিক যোগাযোগ সম্পাদনা

ক্রিস্টোফার কলম্বাস সপ্তাহের যে দিনে দ্বীপটি প্রথম দেখতে পান, ঐ দিনের নামেই দ্বীপটির নাম রাখেন – দিনটি ছিল রবিবার (লাতিন ভাষায় ‘Dominica’), যা ছিল তার দ্বিতীয় অভিযাত্রার সময়কালে, ৩ নভেম্বর ১৪৯৩ খ্রিস্টাব্দে।

ক্যারিবদের মারাত্মক প্রতিরোধের মুখে দমে গিয়ে আর দ্বীপে স্বর্ণের সন্ধান না পেয়ে হতাশ হয়ে এই স্প্যানিয়ার্ড আর দ্বীপে বসতি স্থাপন করেননি। ডোমিনিকার পূর্ব উপকূলে ৩,৭০০ একর (১৫ বর্গ কি.মি.) জুড়ে বিদ্যমান ক্যারিব অঞ্চলে এখনো অবশিষ্ট অনেক ক্যারিব বাস করে।

১৬৩২ সালে, ফরাসিদের আমেরিকান দ্বীপপুঞ্জ সংস্থা (Compagnie des Îles de l'Amérique) ডোমিনিকাসহ গোটা ‘ক্ষুদ্রতর দ্বীপপুঞ্জকে’ (Petite Antilles) নিজেদের বলে দাবি করলেও তারা কোন বসতি স্থাপনের চেষ্টা করেনি। ১৬৪২ থেকে ১৬৫০ সালের মধ্যকার সময়ে ফরাসি ধর্মপ্রচারক রেমোঁ ব্রেতোঁ (Raymond Breton) প্রথম ইউরোপীয় হিসেবে এই দ্বীপে নিয়মিত যাতায়াত শুরু করেন। ১৬৬০ সালে ফরাসি এবং ইংরেজরা যৌথভাবে সম্মত হয় যে, ডোমিনিকা ও সেইন্ট ভিনসেন্ট দ্বীপে তারা বসতি স্থাপন করবে না, বরং ক্যারিবদের জন্য নিরপেক্ষ এলাকা হিসেবে তা ছেড়ে দেওয়া হবে। পরবর্তী শতক অব্দি ডোমিনিকা আনুষ্ঠানিকভাবে নিরপেক্ষ অঞ্চল হিসেবেই ছিল, কিন্তু এর সম্পদের প্রতি লোভ রয়েই গিয়েছিল; অষ্টাদশ শতাব্দির শুরু থেকেই ইংরেজ ও ফরাসি বনপালদের (forester) প্রতিদ্বন্দ্বী অভিযানের কারণে সেখানে ব্যাপক বৃক্ষনিধন শুরু হয়ে যায়।[২]

ফরাসি উপনিবেশ: ১৭১৫–১৭৬৩ সম্পাদনা

১৬৯০ সালে ডোমিনিকায় উপনিবেশ স্থাপনে স্পেন তেমন কোন সাফল্য না পেলেও ফরাসিরা তাদের প্রথম স্থায়ী উপনিবেশ স্থাপন করে ডোমিনিকাতেই। মার্টিনিক এবং গোয়াডলোপ থেকে আগত ফরাসি কাঠুরেরা ফরাসি দ্বীপগুলোতে কাঠ সরবরাহ করার জন্য সেখানে শিবির স্থাপন করে এবং ক্রমান্বয়ে সেখানকার স্থায়ী অধিবাসীতে পরিণত হয়। তারাই সর্বপ্রথম পশ্চিম আফ্রিকা থেকে ক্রীতদাসদের ডোমিনিকায় নিয়ে আসে। ১৭১৫ সালে, মার্টিনিকের উত্তরে লা গাউলে (La Gaoulé) নামক স্থানে “দরিদ্র শ্বেতাঙ্গ” ক্ষুদ্রচাষীদের একটি বিদ্রোহের জের ধরে তাদের অনেকেই দেশান্তরী হয়ে দক্ষিণ ডোমিনিকায় চলে যায়।[৩] তারা সেখানে ছোটখাট জমিতে চাষাবাদ শুরু করে। ইতোমধ্যে গোয়াডলোপের ফরাসি পরিবারগুলো এবং অন্যান্যরা উত্তরের দিকে বসতি গড়ে তোলে। ১৭২৭ সালে, প্রাথমিক একটি সরকার সহ প্রথম ফরাসি সেনাপতি, এম. লে গ্রাঁ (M. Le Grand) এই দ্বীপের দায়িত্ব গ্রহণ করেন; ডোমিনিকা অবশেষে ফ্রান্সের উপনিবেশে পরিণত হয়, দ্বীপটি জেলা বা “কোয়ার্টার”– এ বিভক্ত করা হয়।[৪] ক্রমান্বয়ে ফরাসিরা ডোমিনিকাতে কফি চাষের জন্য আবাদী জমি (plantation) প্রতিষ্ঠা করে, যা মার্টিনিক ও গোয়াডলোপে আখ চাষের জন্য আগে থেকেই ছিল। শ্রমের চাহিদা মেটানোর জন্য তারা আদিবাসী ক্যারিবদের সরিয়ে আফ্রিকা থেকে ক্রীতদাস আমদানি করে।

১৭৬১ সালে, সাত বছরের যুদ্ধ চলাকালে লর্ড রোলো’র নেতৃত্বে ব্রিটিশদের ডোমিনিকা আক্রমণ সফল হয় এবং আরও কতগুলো ক্যারিবীয় দ্বীপের সাথে ডোমিনিকাও তারা দখল করে নেয়। সাত বছরের যুদ্ধে ব্রিটেনের কাছে পরাজয়ের পর, ১৭৬৩ এর প্যারিস চুক্তির অধীনে ফ্রান্স দ্বীপটি ব্রিটিশদের কাছে হস্তান্তর করে। ১৭৭৮ সালে, মার্কিন স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে স্থানীয় জনগণের সক্রিয় সহযোগিতায় ফরাসিরা ডোমিনিকায় সফল অভিযান চালায়। ১৭৮৩ সালে যুদ্ধের সমাপ্তিসূচক প্যারিস চুক্তির আওতায় দ্বীপটি আবার ব্রিটিশদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ১৭৯৫ এবং ১৮০৫ সালের ফরাসি অভিযান ব্যর্থ হয়েছিল।[২]

ব্রিটিশ উপনিবেশ: ১৭৬৩–১৯৭৮ সম্পাদনা

সাত বছরের যুদ্ধ সমাপ্ত করার উদ্দেশ্যে ১৭৬৩ সালে স্বাক্ষরিত প্যারিস চুক্তির অধীনে, এই দ্বীপটি ব্রিটিশদের হস্তগত হয়।[৫] ১৭৭৮ সালে, আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে স্থানীয় জনগণের (যাদের অধিকাংশই ছিল ফরাসি) সক্রিয় সহায়তায়, ফরাসিরা এখানে একটি সফল অভিযান চালায়। ঐ যুদ্ধের সমাপ্তিসূচক ১৭৮৩ সালের প্যারিস চুক্তি অনুসারে, দ্বীপটি ব্রিটেনের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ১৭৯৫ এবং ১৮০৫ সালের ফরাসি অভিযানও ব্যর্থ হয়েছিল। ১৮০৫ সালের অভিযানে রোজো (Roseau) শহরটির অধিকাংশ এলাকাই ভস্মীভূত হয়ে মাটিতে মিশে গিয়েছিল।

১৭৬৩ সালে ব্রিটিশরা কেবলমাত্র শ্বেতাঙ্গ জনগণের প্রতিনিধিত্বমূলক একটি আইনসভা গঠন করেছিল। ১৮৩১ সালে, গাত্রবর্ণের প্রতি ব্রিটিশদের আনুষ্ঠানিক উদারনীতির প্রতিফলন প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে ব্রাউন অধিকার বিল (Brown Privilege Bill)– এ, স্বাধীন অশ্বেতাঙ্গ জনগণের রাজনৈতিক ও সামাজিক অধিকারসমূহ উত্থাপন করা হয়। পরের বছর তিনজন কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি আইনসভায় নির্বাচিত হন। ১৮৩৪ সালে দাসপ্রথা বিলোপের পর ১৮৩৮ সালের মধ্যেই ডোমিনিকা ১৯শ শতকের একমাত্র ব্রিটিশ ক্যারিবীয় উপনিবেশ হিসেবে একটি কৃষ্ণাঙ্গ-নিয়ন্ত্রিত আইনসভা গঠনে সমর্থ হয়। অধিকাংশ কৃষ্ণাঙ্গ আইনপ্রণেতাই ছিলেন ক্ষুদ্র কৃষিজীবী কিংবা বণিক যাদের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি ছিল অল্পসংখ্যক, ধনবান ইংরেজ ঔপনিবেশিক শ্রেণির স্বার্থ হতে সম্পূর্ণভাবে আলাদা। এটাকে হুমকিস্বরূপ মনে করে উপনিবেশবাদীরা আরও প্রত্যক্ষ ব্রিটিশ শাসনের জন্য তদবির করতে থাকে।

১৮৬৫ সালে, অনেক টানাপোড়েনের পর, নির্বাচিত পরিষদের বদলে ঔপনিবেশিক দপ্তর চালু হয়, যেখানে অর্ধেক-সংখ্যক ছিল নির্বাচিত সদস্য আর বাকি অর্ধেক ছিল নিযুক্ত সদস্য। ধূর্ত উপনিবেশবাদী আর তাদের দোসর ঔপনিবেশিক প্রশাসকদের কূটকৌশলের কাছে অনেক ক্ষেত্রেই নির্বাচিত আইনপ্রণেতাগণ পর্যুদস্ত হন। ১৮৭১ সালে ডোমিনিকা লিওয়ার্ড দ্বীপ ফেডারেশন (Leeward Island Federation) এর অংশ হয়ে যায়। কৃষ্ণাঙ্গ জনতার ক্ষমতা ক্রমেই ক্ষয়িষ্ণু হতে থাকে। ১৮৯৬ সালে ক্রাউন উপনিবেশ সরকার (Crown Colony government) পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর, ক্যারিবীয় অঞ্চলজুড়ে রাজনৈতিক সচেতনতার আকস্মিক জোয়ার দেখা যায়, যার ফলস্বরূপ প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার সংগঠন গঠিত হয়। ডোমিনিকা’র শাসনব্যবস্থায় মত প্রকাশের উপযুক্ত অধিকারের অভাব নিয়ে জনগণের হতাশাকে চালিকাশক্তি করে এই দলটি ১৯২৪ সালে আইনসভার নির্বাচিত পদগুলোর এক-তৃতীয়াংশ এবং ১৯৩৬ সালে অর্ধেক-সংখ্যক পদ জিতে নেয়। তার অল্প কিছুদিন পরই ডোমিনিকা লিওয়ার্ড দ্বীপ প্রশাসন থেকে স্থানান্তরিত হয়ে, ১৯৫৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ফেডারেশনে যোগদানের আগ পর্যন্ত, উইন্ডওয়ার্ডস দ্বীপপুঞ্জের অংশ হিসেবে পরিচালিত হয়।

১৯৬১ সালে, এডওয়ার্ড অলিভার লেব্লাঁ’র নেতৃত্বাধীন ডোমিনিকা লেবার পার্টি’র সরকার নির্বাচিত হয়। ফেডারেশন বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার পর, ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৭ তারিখে ডোমিনিকা যুক্তরাজ্যের একটি সহযোগী প্রদেশে পরিণত হয়, এবং আনুষ্ঠানিকভাবে এর অভ্যন্তরীণ কর্মকাণ্ডের দায়িত্ব গ্রহণ করে। লেব্লাঁ ১৯৭৪ সালে অবসরে যান এবং তার স্থলাভিষিক্ত হন প্যাট্রিক জন, যিনি পরবর্তীকালে এই দ্বীপের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন।

ঘূর্ণিঝড় ডেভিড সম্পাদনা

আগস্ট ১৯৭৯ সালে, প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ডেভিড ঘণ্টায় ১৫০ মাইল (২৪০ কি.মি./ঘণ্টা) বেগে এই দ্বীপের উপকূলে আঘাত হানে। এতে ৪২ জন অধিবাসীর মৃত্যু ঘটে এবং তিন-চতুর্থাংশ দ্বীপবাসীর বাড়িঘর ধ্বংস বা প্রবলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২০১৭ সালে ঘূর্ণিঝড় মারিয়া আঘাত হানার আগ পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় ডেভিডই ছিল স্মরণকালের সবচেয়ে শক্তিশালী এবং বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়।

স্বাধীনতা: ১৯৭৮ থেকে বর্তমানকাল সম্পাদনা

৩ নভেম্বর, ১৯৭৮ তারিখে যুক্তরাজ্য কর্তৃক ডোমিনিকা কমনওয়েলথ স্বাধীনতা লাভ করে।

কয়েক শতাব্দিজুড়ে বিদ্যমান অর্থনৈতিক অনুন্নয়ন হতে উদ্ভূত সমস্যাবলির সমাধানের ক্ষেত্রে স্বাধীনতার কার্যকারিতা ছিল সামান্যই, এবং ১৯৭৯ এর মাঝামাঝি থেকে, রাজনৈতিক অসন্তোষের জের ধরে থেকে অলিভার সেরাফিন এর নেতৃত্বাধীন একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। এর স্থলাভিষিক্ত হয় ১৯৮০ সালের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী ইউজিনিয়া চার্লসের নেতৃত্বাধীন ডোমিনিকান ফ্রিডম পার্টি’র গঠিত সরকার। অভিষেকের বছরখানেকের মধ্যেই তিনি দুটি ব্যর্থ অভ্যুত্থান-চেষ্টা থেকে বেঁচে যান, এবং ১৯৮৩ সালের অক্টোবরে, পূর্ব ক্যারিবীয় রাষ্ট্রসমূহের সংগঠনের সভাপতি হিসেবে তিনি যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক গ্রেনাডা আক্রমণে সমর্থন জানান।

দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক সংকটসমূহ ১৯৭৯ ও ১৯৮০ সালের ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে আরো ঘনীভূত হয়। আশির দশকের শেষের মধ্যেই অর্থনীতির বেশ উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটে, নব্বইয়ের দশকে যা আবার কলার মূল্যহ্রাসের কারণে দুর্বল হয়ে পড়ে।

১৯৯৫ সালের নির্বাচনে এডিসন জেমসের নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড ওয়ার্কার্স পার্টি ক্ষমতাসীন সরকারকে পরাজিত করে এবং ফেব্রুয়ারি ২০০০ সালের নির্বাচন পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকে। ঐ নির্বাচনে রোজি ডাগলাসের নেতৃত্বাধীন ডোমিনিকা লেবার পার্টি’র কাছে ক্ষমতাসীন ইউনাইটেড ওয়ার্কার্স পার্টি ’র পরাজয় ঘটে। তিনি ছিলেন একজন প্রাক্তন সমাজতান্ত্রিক কর্মী, এবং অনেকের আশঙ্কা ছিল তার রাজনৈতিক পন্থা অবাস্তব ধরনের হতে পারে। তবে, এসব ধারণা কিছুটা শান্ত হয়ে যায় যখন তিনি তুলনামূলকভাবে রক্ষণশীল দল ডোমিনিকা ফ্রিডম পার্টি’র সাথে জোট গঠন করেন। মাত্র আট মাস দায়িত্বে থাকার পর, ১ অক্টোবর ২০০০ তারিখে ডাগলাসের আকস্মিক মৃত্যু ঘটে। তার স্থলাভিষিক্ত হন একই দলের পিয়ের চার্লস। ২০০৩ সালে প্রেসিডেন্ট ভার্নন শ’ এর মেয়াদ শেষে নিকোলাস লিভারপুল নির্বাচিত হন এবং প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। জানুয়ারি ৬, ২০০৪ সালে প্রধানমন্ত্রী পিয়ের চার্লস, যিনি ২০০৩ থেকেই হৃদরোগে ভুগছিলেন, তিনি মারা যান। তিনি ধারাবাহিকভাবে ডোমিনিকা’র ২য় প্রেসিডেন্ট যিনি ক্ষমতায় থাকাকালেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী অসবোর্ন রিভিয়ার তাৎক্ষনিকভাবে প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন, কিন্তু শিক্ষামন্ত্রী রুজাভেল্ট স্কেরিট তার বদলে প্রধানমন্ত্রী হন এবং ডোমিনিকা লেবার পার্টি’র নতুন নেতা নির্বাচিত হন। ৫ মে ২০০৫ তারিখে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ক্ষমতাসীন জোট আবারও সরকার গঠন করে।

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Discover Dominica: an introduction to our Caribbean island"। Dominica.dm। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৬-২৭ 
  2. "Background note: Dominica". U.S. Department of State (July 2008).   এই উৎস থেকে এই নিবন্ধে লেখা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা পাবলিক ডোমেইনে রয়েছে।
  3. P.C. Emmer & BW Highman, (1999) General History of the Caribbean: Methodology and historiography of the Caribbean, volume 6 pp 637 [১]
  4. "Important Dates in Dominica's History"। Lennox Honychurch Article। ১৯৯০-০৭-০৫। ২০১৩-০৮-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৯-২৯ 
  5. "A Plan of the Rosalij Compy. Estates, the Property of His Excelly. Charles O'Harra, the Honble. Leiut. Gov. Will. Stuart, James Clarke & Rob. & Phill."World Digital Library। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০১৩