ডির্ন্ডল (ইংরেজি: Dirndl) হচ্ছে দক্ষিণ জার্মানি, লিখ‌টেন্স‌টাইন, এবং অস্ট্রিয়ার নারীদের পরিহিত একপ্রকার ঐতিহ্যবাহী পোশাক। ঐতিহাসিকভাবে আলপাইন কৃষাণীদের এ ধরনের পোশাক পরিধান করতে দেখা যেতো। ড্রিন্ডলকে অনুসরণ করে তৈরিকৃত ঢিলেঢালা পোশাক ল্যান্ডহসমোড নামে পরিচিত।

ডির্ন্ডল পরিহিত একজন নারী
টাইরল শহরের নারীদের পরিধানকৃত ডির্ন্ডল
হিজাব এর সাথে পরিধানকৃত ডির্ন্ডল

অনেক সময় হিজাবের সাথে ডির্ন্ডল পরিধান করা হয়৷[১]

বডিস, ব্লাউজ, ফুল স্কার্ট এবং এপ্রন মিলে ডির্ন্ডল পোশাক তৈরি। ডির্ন্ডল একটি ব্যয়বহুল পোশাক। সাদাসিধে, এক কাজ করা একটি আধুনিক ডির্ন্ডলও যথেষ্ট ব্যয়বহুল, যখন এটি হাতে ছাপা সিল্কের কাপড় দ্বারা তৈরি হয়। দক্ষিণ জার্মান ভাষাগত ধাঁচে ডির্ন্ডল বলতে কমবয়সী নারীকে বোঝানো হয়, এবং সেখানে পোশাকটার নাম হচ্ছে ডির্ন্ডলক্লেইড। বর্তমানে অবশ্য নারী ও পোশাক উভয়কে নির্দেশ করতেই ডির্ন্ডল শব্দটি প্রচলিত।

শীতকালীন ডির্ন্ডল যথেষ্ট ভারী একটি পোশাক। উষ্ণতা আনার জন্য এধরনের ডির্ন্ডল তৈরিতে মোটা তুলা, লিনেন, ভেলভেট, বা উলের কাপড় ব্যবহৃত হয়, এবং পোশাকটি হয় ফুল হাতা। সেই সাথে রংও সাধারণত হয় গাঢ়। গ্রীষ্মকালী ডির্ন্ডলগুলো হয় হাফ হাতা, হালকা রং-এর কাপড়ের কাজ, এবং কাপড়টি হয় সাধারণত তুলা, সিল্কের

পোশাকটি পরিধানের ক্ষেত্রে যেসকল উপকরণ ব্যবহৃত হয় তার মধ্যে আছে কোমরের কাছ থেকে বাধা লম্বা এপ্রোন, ওয়েস্টকোট, বা উলের শাল। কিছু কিছু স্থানে বিভিন্ন রঙের হাতে ছাপা সিল্কের স্কার্ফ ও এপ্রোনও ব্যবহার করা হয়। এই পোশাকের সজ্জার সাথে অলংকারও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। ডির্ন্ডলের সাথে ব্যবহৃত অলংকারের মধ্যে আছে রূপা, হরিণ বা অন্য কোনো প্রাণীর দাঁতের তৈরি গলার হার এবং কানের দুল। খুবই ঠান্ডা আবহাওয়ায় যেসকল ডির্ন্ডল ব্যবহৃত হয়, সেগুলো গলা হয় অপেক্ষাকৃত লম্বা এবং সামনে অতিরিক্ত বোতাম দেওয়া থাকে, এছাড়া উলের টুপি (হ্যাট) ব্যবহৃত হয়।

ডির্ন্ডলের গেরো এবং এপ্রোন কিছু ক্ষেত্রে পরিহিত মেয়েটির বৈবাহিক অবস্থা নির্দেশ করে। যেমন: গেরো যদি মেয়েটির বামপাশ ঘেষে থাকে, তবে নারীটিকে অবিবাহিত ধরা হয়, এবং, তা ডানপাশ ঘেষে থাকলে ধরা হয় বিবাহিত, বা কোনো সম্পর্কে জড়িত, বা বাগদত্তা। এবং যদি গেরোটি কোনো মেয়ের পেছন দিকে বাধা থাকে তবে তাকে বিধবা ধরা হয়।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Das etwas andere Trachtenoutfit – Dirndl mit islamischem Kopftuch c…"। ২০২৪-০৭-০৬। ২০২৪-০৭-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।