ডাস্কি ডায়াডেম

কীটপতঙ্গের প্রজাতি

ডাস্কি ডায়াডেম(বৈজ্ঞানিক নাম: Ethope himachala (Moore)) একপ্রকারের মাঝারী আকৃতির প্রজাপতি। এরা নিমফ্যালিডি পরিবার এবং স্যাটিরিনি উপগোত্রের সদস্য।[১]

ডাস্কি ডায়াডেম
Dusky diadem
ডানা বন্ধ অবস্থায়
ডানা খোলা অবস্থায়
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Animalia
পর্ব: Arthropoda
শ্রেণী: Insecta
বর্গ: Lepidoptera
পরিবার: Nymphalidae
গণ: Ethope
প্রজাতি: E. himachala
দ্বিপদী নাম
Ethope himachala
(Moore, 1857)
প্রতিশব্দ
  • Mycalesis himachala Moore, 1857
  • Neorina sita C. & R. Felder, 1859

আকার সম্পাদনা

ডাস্কি ডায়াডেম এর প্রসারিত অবস্থায় ডানার আকার ৬০-৮৫ মিলিমিটার দৈর্ঘ্যের হয়।[১]

বিস্তার সম্পাদনা

এদের ভারতে সিকিম থেকে অরুণাচল প্রদেশ[২], ভুটান ,বাংলাদেশ ,মায়ানমার এর বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা যায়।[৩]

বর্ণনা সম্পাদনা

প্রজাপতির দেহাংশের পরিচয় বিশদ জানার জন্য প্রজাপতির দেহ এবং ডানার অংশের নির্দেশিকা দেখুন:-

এরা satyr উপ-পরিবার এর অন্তর্ভুক্ত প্রজাতি। ডানার উভয় পৃষ্ঠের মূল রঙ বাদামি ও কালচে বাদামি এবং ডানার পোস্ট-ডিসকাল (ডিসকাল পরবর্তী) অংশ থেকে প্বার্শপ্রান্ত রেখা (terminal line) অবধি রঙ ফ্যাকাশে বাদামি ও ঈষদ সাদা। উভয় ডানাতেই উভয় পৃষ্টে পোস্ট-ডিসকাল ও সাব-টার্মিনাল অংশের মাঝে তির্যক একসারি নিয়মিত ও সুস্পষ্ট চক্ষুবিন্দু বা ওসিলি (ocelli) বর্তমান। ওসিলি বা চক্ষুবিন্দু গুলির বহির্ভাগ হলদেটে ও কালো রেখা দ্বারা ঘেরা, মধ্যভাগ কালো ও কেন্দ্রস্থলে সাদা বিন্দু যুক্ত। সাবটার্মিনাল ও টার্মিনাল অংশ ফ্যাকাশে এবং ৩ টি কালচে রেখাঙ্কিত যাদের মধ্যে সবচেয়ে ভিতরের রেখাটি অপেক্ষাকৃত পুরু। রেখা ৩ টি ডানার শীর্ষভাগে কোস্টাল প্রান্তরেখার সামান্য নিচ থেকে উৎপন্ন হয়ে টর্নাস (tornus) পর্যন্ত ধারাবাহিক ও অবিচ্ছিন্ন ভাবে বিস্তৃত। পিছনের ডানার নিম্নতলে ডিসকাল অংশে কোস্টার সামান্য নিচে একটি বৃহদাকার ওসিলি (ocelli) বা চক্ষুবিন্দু বর্তমান যার গঠনশৈলী অন্যান্য চক্ষুবিন্দু গুলির অনুরূপ। শুঙ্গ, মাথা, বক্ষদেশ (thorax) ও উদর কালচে বাদামি বর্ণের।[৪]

আচরণ সম্পাদনা

এরা মাটি বা ভূমির কাছ দিয়ে ওড়ে। বাস্কিং বা রোদ পোহানো এদের অতি প্রিয় বিষয়। প্রায়শই জঙ্গলের ভিতর ছোট যদি বা ঝর্ণার ধারে এদের রোদ পোহাতে দেখা যায়। পাহাড়ি জঙ্গলে ৯০০ থেকে ২১০০ মি উচ্চতায় এদের দেখা মেলে সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর মাসে।[৫]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Isaac, Kehimkar (২০১৬)। BHNS Field Guides Butterflies of India। Mumbai: Bombay Natural History Society। পৃষ্ঠা 366। আইএসবিএন 9789384678012 
  2. R.K., Varshney; Smetacek, Peter (২০১৫)। A Synoptic Catalogue of the Butterflies of India। New Delhi: Butterfly Research Centre, Bhimtal & Indinov Publishing, New Delhi। পৃষ্ঠা 162। আইএসবিএন 978-81-929826-4-9ডিওআই:10.13140/RG.2.1.3966.2164 
  3. Vane-Wright, RI & C F Huggins (১৯৭২)। "The superspecies Ethope himachala (Moore), and the identity of Zethera noirei Janet (Lepidoptera: Nymphalidae, Satyrinae)"। Journal of Entomology Series B, Taxonomy41 (1): 1–22। ডিওআই:10.1111/j.1365-3113.1972.tb00020.x 
  4. Isaac, Kehimkar (২০০৮)। The book of Indian Butterflies (ইংরেজি ভাষায়) (1st সংস্করণ)। নতুন দিল্লি: অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস। পৃষ্ঠা ৩৩৪। আইএসবিএন 978 019569620 2 
  5. Kunte, Krushnamegh (২০১৩)। Butterflies of The Garo Hills। Dehradun: Samrakshan Trust, Titli Trust and Indian Foundation of Butterflies। পৃষ্ঠা ১২৪।