ডলি গুলেরিয়া

ভারতীয় গায়িকা

ডলি গুলেরিয়া হলেন একজন পাঞ্জাবি লোক সংগীতশিল্পী, তিনি ১৯৪৯ সালের ১৩ এপ্রিল রাতে বোম্বাইয়ের বৈশাখীতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি অধ্যাপক জোগিন্দ্র সিংহ এবং কিংবদন্তি পাঞ্জাবি লোক সংগীতশিল্পী 'পাঞ্জাবের নাইটিংগেল' নামে খ্যাত সুরিন্দর কৌর এর কন্যা।[১]

কর্মজীবন সম্পাদনা

ডলি গুলেরিয়া একজন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী হয়ে ডাক্তার হতে আগ্রহী ছিলেন। ১৯৭০ সালে তিনি সেনা বাহিনীর কর্মকর্তা কর্নেল এস. এস. গুলেরিয়ার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন[২] এবং তাদের সুনাইনী নামে একটি কন্যা, এবং দিলপ্রীত সিং এবং আমানপ্রীত সিংহ নামে দুটি পুত্র সন্তান আছে। মাতৃত্বের সাথে স্থিত হওয়ার পরে তিনি তার স্বামী দ্বারা উৎসাহীত হয়ে খুবই বিখ্যাত উস্তাদ, 'খান সাহেব' আবদুল রেহমান খানের 'পতিয়ালা ঘরানার' শিষ্য হওয়ার সুযোগ পেয়ে ধ্রুপদী সংগীতের প্রশিক্ষণ অব্যাহত রাখেন,[৩] তিনি তাকে হালকা ধ্রুপদী এবং লোক গায়নে একই বাস্তবায়নের জন্য নির্দিষ্ট দক্ষতা সহকারে তাকে শাস্ত্রীয় সংগীতের ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন।

শৈশবকাল থেকেই তিনি ভক্তিমূলকভাবে ঝুঁকছেন, তাঁর ওস্তাদের উপযুক্ত নির্দেশনায় তিনি তাঁর একক অভিষেক অ্যালবামটি রাগের গুরবানীতে প্রকাশ করতে বেছে নেন এবং তার মূল রাগগুলিতে "রেহ্রাস সাহেব" সন্ধ্যায় 'পাঠ' গেয়েছিলেন। এরপর পাঞ্জাবী লোক সঙ্গীত এলবাম প্রকাশিত হয়, কিছু তার মায়ের সাথে[৪] এবং শাবাদ কীর্তন, শিব কুমার বাতালভীর কবিতা,[১] ভাই বীর সিংহ এবং অন্যান্য প্রখ্যাত লেখকদের লেখা কিছু একক গান নিয়ে এটি প্রকাশিত হয়।[৩]

তিনি বেশ কিছু পাঞ্জাবি চলচ্চিত্র যেমন রব দিয়ান রাখান, দেসন পার্দেস এবং মেইন মা পাঞ্জাব ডি-তে নেপথ্য সঙ্গীত শিল্পী হিসাবে তিনি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন।[৩]

স্বীকৃতি সম্পাদনা

১৯৯৭ সালের নভেম্বর মাসে পাকিস্তানে তাঁর শুভেচ্ছা ও সাংস্কৃতিক বিনিময় সফরের সময় তিনি এবং তাঁর কন্যা সুনাইনি তাদের সংগীত দিয়ে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে এবং ফয়সালবাদের (লায়ালপুর) চেনাব ক্লাবে পাকিস্তানের দর্শকদের মনমুগ্ধ করেছিলেন। তিনি তাঁর অসামান্য অবদানের জন্য মিনার-ই-পাকিস্তানের সোনার পালক[৩] এবং একটি সোনার পদক দ্বারা সম্মানিত হন।

ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা

তিনি সরাসরি পরিবেশনা বেশি উপভোগ করেন এবং দর্শকদের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া তার মনোবল ও উৎসাহ বাড়িয়ে তোলে। তিনি পাঞ্জাবি সংগীতকে তার শুদ্ধতম রূপে বাঁচিয়ে রাখতে আন্তরিক ভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে চান।[৫] তিনি তার নাইটিঙ্গেল সঙ্গীত একাডেমিতে গানের প্রতি নিবেদিত নিবন্ধিত শিক্ষার্থীদের সংগীত শিক্ষা প্রদান করে থাকেন।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Ru-ba-ru with Dolly Guleria"Indian Express। ৪ অক্টোবর ১৯৯৯। সংগ্রহের তারিখ ১ এপ্রিল ২০১১ 
  2. "Working Partners"Indian Express। ১৮ জুন ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ১ এপ্রিল ২০১১ 
  3. "Her mother's daughter"The Tribune। ৩১ জুলাই ১৯৯৮। সংগ্রহের তারিখ ১ এপ্রিল ২০১১ 
  4. "The Nightingale of Punjab Falls Silent"OhmyNews। ১৭ জুন ২০০৬। ১৪ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ এপ্রিল ২০১১ 
  5. "Concern over vulgarity in Punjabi music"Indian Express। ৭ আগস্ট ২০০৬। ২৬ আগস্ট ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ এপ্রিল ২০১১