ঠাকুরণ নদ
ঠাকুরণ নদ (জামিরা নদী নামেও পরিচিত) ভারতের পূর্বদিকে অবস্থিত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ পূর্ব প্রান্তে সুন্দরবনাঞ্চলে প্রবাহিত একটি জোয়ারের জলে পুষ্ট নদী৷
ঠাকুরণ নদ জামিরা নদী | |
---|---|
অবস্থান | |
রাষ্ট্র | ভারত |
রাজ্য | পশ্চিমবঙ্গ |
প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য | |
নিষ্কাশন | |
• অবস্থান | বঙ্গোপসাগর |
উৎপত্তি ও প্রবাহ
সম্পাদনানদীটি দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার জয়নগরের নিকট উৎপত্তি লাভ করেছে৷ নদীটির সাথে শাখাপথে ও খালপথে সংযোগ রয়েছে সুন্দরবনের বৃহৎ নদীগুলির অন্যতম সপ্তমুখী নদীর সাথে৷ এটি জয়নগর ১ ও মথুরাপুর ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের মধ্যে সীমানা নির্ধারণ করেছে৷[১]
প্রবাহপথের বর্ণনা
সম্পাদনাঠাকুরণ নদীব্যবস্থা উৎপত্তিস্থল থেকে বঙ্গোপসাগরের নিকট অধিক প্রশস্ত৷ ঠাকুরণ নদীর পশ্চিমতীরে অবস্থিত পার্শ্বীয় শাখাগুলি হলো; কদ্রুখালি খাল, দমদমা খাল, মণি নদী, পুকছড়া, রায়দিঘী, শিবুয়া নদী, পাখিরালি খাল এবং রসের খাঁড়ি৷ আবার পূর্বতীরে অবস্থিত পার্শ্বীয় শাখাগুলি মূলত বিসর্প পথে গতিমান যেমন; বৈঁচাপি খাল, গুরা খাল, কাইকলমারি-আজমলমারি-সুইয়া নদী, দুলিভাসানী নদী এবং চুলকাটি নদী৷ প্রতিটি বিসর্পপথই জোয়ারের ফলে একে অপরের সাথে অন্তর্যুক্ত হয়ে পড়ে নদীজালিকা গঠন করে৷ [২]
ঠাকুরণ নদীর দুইতীরে অবস্থিত বনাঞ্চল আইনের আওতায় সংরক্ষিত৷ এগুলি মূলত লবণাম্বুজ জাতীয়৷ নদীর পূর্বতীরের অংশ সুন্দরবনের ব্যাঘ্র অভয়ারণ্য অঞ্চলের কেন্দ্রীয় অঞ্চলের অন্তর্গত হওয়ায় এখানে পশু ও পক্ষীবিশারদ এবং পর্যটক ছাড়া সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষেধ৷[৩]
নদীর তীরে বেশির্ভাগ স্থানে পরিকল্পিতভাবে উঁচু নদীবাঁধ দেওয়া হলেও প্রায় সময়েই জলস্তর বৃদ্ধির কারণে নদীর দুকুল উপচে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়৷ [৪]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Environment, population, and human settlements of Sundarban Delta By Anuradha Banerjee। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১১-১৪।
- ↑ The Sundarbans of India: a development analysis By Asim Kumar Mandal। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১১-১৪।
- ↑ "Birds of India: West Bengal Coast, India"। ২০০৯-০২-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১১-১৪।
- ↑ "Race against raging river"। The Telegraph, 26 May 2009। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১১-১৪।