ট‌ংকাবতী নদী

বাংলাদেশের নদী

টংকাবতী বাংলাদেশের একটি উপনদী বা খাল। যার উৎপত্তি বান্দরবানের চিম্বুক-থানচির মধ্যবর্তী পাহাড়ি অঞ্চল যা সুয়ালক ইউনিয়নের দক্ষিণে, বোয়াংছড়ি উপজেলার তারাছা ইউনিয়নের পশ্চিমে এবং রুমা উপজেলার সরই ইউনিয়নের উত্তরে পাহাড়ের পাদদেশে প্রবাহিত শাখা নদী বা খাল থেকে সৃষ্টি হয়ে চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া থানার চরম্বা ইউনিয়ন, পদুুুুয়া ইউনিয়নের পাশ ধরে আমিরাবাদ ইউনিয়নের মাঝখানে প্রবাহিত হয়ে সাতকানিয়া থানার গারাংগিয়ায় ডলু নদীতে মিশে যায় এবং এর কিছুদূরে সাতকানিয়া খোদারহাটের পাশ দিয়ে সাঙ্গুু নদীতে মিলিত হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে টংকাবতী দিয়ে পাহাড়ী ঢলের কারণে দুপাশের ফসলি জমি কাদাপলি ধারা প্লাবিত হওয়ায়, এখানে বারোমাসই শাক-সবজি ও ধান চাষের বাম্পার ফলন হয়। এবং বৈচিত্র্যময় স্বাদের জন্য টংকাবতী চরের শাক, মরিচ, বেগুন, মুলা ও অন্যান্য সবজির সমগ্র চট্টগ্রামে ব্যাপক সুনাম ও চাহিদা রয়েছে। তাই কৃষিখাতে এক সম্ভাবনা কথা মাথায় রেখে নির্মাণ করা হয়েছে একটি রাবার ড্যাম, যার সুবাদে প্রতিনিয়ত খাদ্যশস্যের বিশাল যোগান দিয়ে যাচ্ছে টংকাবতী। সেজন্য এখানের শতকরা প্রায় ৩০% মানুষ কৃষি নির্ভর হলেও দিনে দিনে তা বাড়ছে এবং অনাবাদি জমিও আবাদযোগ্য করতে সক্ষম হচ্ছে। দীর্ঘকাল ধরে এই নদী এখানকার মানুষের সুখ-দুঃখ আনন্দ বেদনার স্বাক্ষী ও সাথী হওয়ার পাশাপাশি প্রকৃতির সৌন্দর্য হীরার মূল্যে খচিত করেছে। শীতের মৌসুমে নদীর দুই তীরে বাহারি সবজির চাষ, বিস্তীর্ণ বালুচরে একপাশে বাদামের চাষ আরেকপাশে শিশু কিশোরদের খেলার মাঠ, নদীর তীর ঘেঁষে বহুকাল ধরে ঠাঁই নেয়া ছোট ছোট গ্রামের মানুষগুলো ঘরবাড়ির যাবতীয় ধোয়া মোছার কাজ থেকে শুরু করে পাহাড় থেকে বাঁশ, কাঠের অন্যতম যোগাযোগ মাধ্যম এই টংকাবতী নদী। পর্যটনের সম্ভবনাময় নান্দনিক নৈসর্গিক সৌন্দর্যের এক আসন পেতে বসে আছে বলেই নদীর বিভিন্ন স্পটে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসে মানুষ একটু নির্মল বাতাস ও প্রাণ জুড়াতে। তাছাড়া টংকাবতীর সোনালি বালু পাকা বা বহুতল ভবনের অন্যতম কাঁচামাল হওয়ার কারণেই দিনে দিনে খালি করে ফেলায় এর সৌন্দর্য হারাচ্ছে।

ট‌ংকাবতী নদী
ট‌ংকাবতী
দেশ বাংলাদেশ
অঞ্চল চট্টগ্রাম বিভাগ
জেলাসমূহ চট্টগ্রাম, বান্দরবান
নগর চট্টগ্রাম ও বান্দরবান

আয়তন সম্পাদনা

এ নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় ৫০ কি.মি এবং গড় প্রস্থ প্রায় ৪০ মিটার।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা