টুংকু আম্পুয়ান নাজিহাহ

টুংকু আম্পুয়ান নাজিহাহ বিনতি আলমারহুম টুংকু বেসার বুরহানউদ্দিন (জাভি: تونكو امڤوان نجحة بنت المرحوم تونكو بسر برهانالدين; জন্ম ১ সেপ্টেম্বর ১৯২৩[১]) হলেন নেগেরি সেম্বিলান-এর টুঙ্কু আম্পুয়ান। ’টুংকু আম্পুয়ান’ শব্দের অর্থ হল ‘দ্য রয়্যাল লেডি বা ’রাজকীয় নারী’। তিনি ১৯৬৭ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত টুংকু আম্পুয়ান বেসার বা নেগেরি সেম্বিলানের রানী ছিলেন।

নাজিহাহ
রাজা পারমাইসুরি আগাং
কার্যকাল২৬ এপ্রিল ১৯৯৪ – ২৫ এপ্রিল ১৯৯৯
মালয়েশিয়া২২ সেপ্টেম্বর ১৯৯৪
পূর্বসূরিটুয়াংকু বাইনুন
উত্তরসূরিটুয়াংকু সিতি আইশাহ
নেগেরি সেম্বিলানের টুংকু আম্পুয়ান বেসার
কার্যকাল১৮ এপ্রিল ১৯৬৭ – ২৭ ডিসেম্বর ২০০৮
স্থাপন৮ এপ্রিল ১৯৬৮
পূর্বসূরিটুংকু আম্পুয়ান দুরাহ বিন্তি টুংকু বেসার বুরহানউদ্দিন
উত্তরসূরিটুয়াংকু আয়েশা রোহানী
নেগেরি সেম্বিলানের টুংকু আম্পুয়ান
কার্যকাল২৮ ডিসেম্বর ২০০৮ – বর্তমান
জন্ম (1923-09-01) ১ সেপ্টেম্বর ১৯২৩ (বয়স ১০০)
Seri Menanti, Negeri Sembilan, Federated Malay States
দাম্পত্য সঙ্গীটুয়াংকু জাফর ইবনি আলমারহুম টুয়াংকু আব্দুল রহমান (বি. ১৯৪২; মৃ. ২০০৮)
বংশধরTunku Naquiah
Tunku Naquiyuddin
Tunku Imran
Tunku Jawahir
Tunku Irinah
Tunku Nadzaruddin
পূর্ণ নাম
Tunku Najihah binti Tunku Burhanuddin
রাজ্যের নাম
Tuanku Najihah binti Almarhum Tunku Besar Burhanuddin
রাজবংশPagaruyung - House of Yamtuan Raden
পিতাTunku Besar Burhanuddin ibni Almarhum Tuanku Antah
মাতাCik Halija binti Haji Umar
ধর্মSunni Islam

তিনি ১৯৯৪ এবং ১৯৯৯ এর মধ্যে মালয়েশিয়ার রাজা পারমাইসুরি আগং (আক্ষরিক অর্থে দ্য সুপ্রিম লেডি কুইন) হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন। নাজিহার প্রাক্তন ইয়াং দি-পার্টুয়ান বেসার নেগেরি সেম্বিলান জনাব টুয়াংকু জাফর ইবনি আলমারহুম টুয়াংকু আব্দুল রহমানের সাথে বিয়ে হয়েছিল। টুয়াংকু জাফর হলেন টুংকু নাজিহার বোন, টু টুংকু কুরশিয়াহ বিনতি আলমারহুম টুংকু বেসার বুরহানউদ্দিনের সৎপুত্র, যিনিও নেগেরি সেম্বিলানের রানী ছিলেন। ১৯৬৭ সালে টুংকু নাজিহা তার বোন টুংকু দুরাহের স্থলাভিষিক্ত হন।

প্রারম্ভিক জীবন সম্পাদনা

টুংকু নাজিহা তার আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কুয়ালা পিলাহর নেগেরি সেম্বিলান-এর টুয়াংকু মুহাম্মদ স্কুলে পেয়েছিলেন। তিনি লন্ডন স্কুল অফ ওরিয়েন্টাল স্টাডিজ থেকে স্নাতক পাশ করেন। তিনি কূটনীতিকদের স্ত্রীদের জন্য প্রদত্ত বিশেষ ভাষা ও প্রশিক্ষণ কোর্সে যোগ দিয়েছিলেন যখন তার স্বামী টুয়াংকু জাফর লন্ডনে কূটনৈতিক পরিষেবায় একটি কোর্স করছিলেন।

সামাজিক কাজে অবদান সম্পাদনা

টুংকু নাজিহাকে অ্যাসোসিয়েটেড কান্ট্রি উইমেন অফ দ্য ওয়ার্ল্ডের কমিটির সদস্য করা হয়েছিল। তিনি বিভিন্ন মহিলা সংগঠনের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন যেমন নেগেরি সেম্বিলানের গার্ল গাইডস, ইসলামিক উইমেনস ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল এবং উইমেন ইনস্টিটিউট। তিনি টুয়াংকু আম্পুয়ান ব্যাডমিন্টন দলের সভাপতি ছিলেন এছাড়াও মালয়েশিয়ার মহিলা হকি দল, মালয়েশিয়ার মহিলা ফুটবল দল, মালয়েশিয়ার মহিলা গলফ দল এবং মালয়েশিয়ান মহিলা গলফ অ্যাসোসিয়েশন (মালগা) এর পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। তিনি ইউনিভার্সিটি সেইন্স ইসলাম মালয়েশিয়ার প্রথম চ্যান্সেলর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

পারিবারিক জীবন সম্পাদনা

রাজকীয় এই দম্পতির তিন ছেলে ও তিন মেয়ে ছিল- তারা হলেন, টুংকু তান শ্রী নকিয়াহ, টুংকু দাতো' সেরি উতামা নাকিয়াউদ্দিন, টুংকু তান শ্রী দাতো' সেরি ইমরান, টুংকু পুয়ান শ্রী জওয়াহির, টুংকু দাতো' সেরি ইরিনাহ এবং টুংকু দাতো' সেরি নাজরুদ্দিন।

পুরস্কার এবং স্বীকৃতি সম্পাদনা

নাজিহাহ জীবিত অবস্থায় যেসব পুরস্কার এবং স্বীকৃতি পেয়েছিলেন সেগুলো হল[২], নেগেরি সেম্বিলান রয়্যাল ফ্যামিলি অর্ডারের সদস্য, নাইট গ্র্যান্ড কমান্ডার বা দাতো শ্রী পাদুকা অফ দ্য গ্র্যান্ড অর্ডার অফ টুয়াংকু জাফর, মালয়েশিয়ার রাজা পারমাইসুরি আগাং সম্মাননা, রাজার থেকে ক্রাউন অফ দ্য অর্ডার, কেদাহ রয়্যাল ফ্যামিলি অর্ডারের সদস্য, রয়্যাল ফ্যামিলি অর্ডার বা স্টার অফ ইউনূসের প্রাপক এবং নাইট গ্র্যান্ড কমান্ডার অফ দ্য অর্ডার অফ দ্য ক্রাউন অফ কেলান্টান বা "স্টার অফ মুহাম্মদ"।

তার নামে নামকরণ করা স্থানগুলো সম্পাদনা

তার নামে বেশ কয়েকটি স্থানের নামকরণ করা হয়েছিল, যার মধ্যে রয়েছে:

  • কুয়ালা পিলাহ, নেগেরি সেম্বিলানের টুংকু আম্পুয়ান নাজিহাহ হাসপাতাল
  • কমপ্লেক্স সুকান টুংকু নাজিহা, ইউনিভার্সিটি সেইন্স ইসলাম মালয়েশিয়া, নিলাই, নেগেরি সেম্বিলান
  • এসএমকে টুংকু আম্পুয়ান নাজিহা, সেরেম্বান, নেগেরি সেম্বিলানের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়
  • সেরেম্বান, নেগেরি সেম্বিলানে তামান সিনার হারাপান টুংকু আম্পুয়ান নাজিহা
  • তামান টুংকু আম্পুয়ান নাজিহা, সেরেম্বানের একটি আবাসিক এলাকা, নেগেরি সেম্বিলান

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "The right royal address, The Star, July 22, 2010"। জুলাই ২২, ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২২, ২০১০ 
  2. "Warisanpermaisuri" blog, Tuanku Najihah