টিনোপালপাস ইম্পেরিয়ালিস

কীটপতঙ্গের প্রজাতি

কায়জার-ই-হিন্দ
Kaisar-i-Hind
ডানা খোলা অবস্থায়
সিআইটিইএস অ্যাপেন্ডিক্স II (CITES)[২]
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Animalia
পর্ব: Arthropoda
শ্রেণী: Insecta
বর্গ: Lepidoptera
পরিবার: Papilionidae
গণ: Bhutanitis
প্রজাতি: T. imperialis
দ্বিপদী নাম
Teinopalpus imperialis


আকার সম্পাদনা

কায়জার-ই-হিন্দ এর প্রসারিত অবস্থায় ডানার আকার ৯০-১২০ মিলিমিটার দৈর্ঘ্যের হয়।

উপপ্রজাতি সম্পাদনা

ভারতে প্রাপ্ত কায়জার-ই-হিন্দ এর উপপ্রজাতি হল-[৩]

  • Teinopalpus imperialis imperialis Hope, 1843 – Himalayan Kaiser-i-Hind

বর্ণনা সম্পাদনা

প্রজাপতির দেহাংশের পরিচয় বিষদ জানার জন্য প্রজাপতির দেহ এবং ডানার অংশের নির্দেশিকা দেখুন:-

পুরুষ সম্পাদনা

ডানার উপরিতল : ডানার উপরিতলের বর্ণ কালো জরির উপড়ে ঘন উজ্জ্বল সবুজ আসে ছাওয়া। উভয় ডানায় উজ্জ্বল হলুদ ডিসকাল পটি (patch) এবং হলদে সবুজ প্রান্তিক অথবা টার্মিনাল অর্ধচন্দ্রাকৃতি ছোপ দেখা যায়। পিছনের ডানায় ডিসকাল অংশ সুস্পষ্টভাবে হলুদ এবং একটি তরবারি (sword) ন্যায় লম্বা সবুজ লেজ থাকে যার ডগায় তীক্ষ্ণ অংশ হলুদ এবং অন্যান্য শিরাগুলির শেষপ্রান্ত দন্তাকৃতি (toothed)।

ডানার নিম্নতল : ডানার নিম্নতলএ ভিতরের অর্ধভাগ সবুজ এবং বাইরের অর্ধভাগ বাদামী হলুদ এবং কালো রেখা বন্ধনীযুক্ত। সামনের ডানায় সবুজ ডিসকাল রেখা বিদ্যমান। পিছনের ডানার পোস্ট-ডিসকাল এবং টার্মিনাল অংশ ফ্যাঁকাসে কালচে সবুজ।[৪]

স্ত্রী সম্পাদনা

ডানার উপরিতল : ডানার উপরিতলের বর্ণ কালচে সবুজ। সামনের ডানায় ২টি চওড়া ধূসর বন্ধনী বর্তমান। পিছনের ডানায় মধ্যভাগে এবং কোস্টাল অংশে খুব বড় ধূসর পটি দৃশ্যমান যা ক্রমশ সরু হয়ে ডরসামের দিকে একটি ছোট হলুদ বন্ধনী সৃষ্টি করেছে। টার্মিনাল শিরা শেসের দন্তাকৃতি অংশগুলি পুরুষ অপেক্ষা দীর্ঘতর এবং ৪ ও ৬ নং শিরাপ্রান্তে লেজ সৃষ্টি হয়েছে। স্ত্রী প্রকারে মোট ৩টি লেজ, একটি তরবারির মত লম্বা।

ডানার নিম্নতল : ডানার নিম্নতলএ সামনের ডানায় সবুজ বেসাল অংশ দেখা যায়, বাকি অংশ কালো বন্ধনীযুক্ত ধূসর।[৪]

আচরণ সম্পাদনা

অতি দুর্লভ এই প্রজাতি খুব দ্রুত উড়ান বিশিষ্ট এবং বিচ্ছিন্ন (selected) পার্বত্য অরণ্যের শীর্ষভাগে উঁচু উঁচু গাছের মাথায় এরা উড়ে বেড়ায় এবং শুধুমাত্র সকাল ৮টা থেকে ১১ টার মধ্যবর্তী সময়ে রোদ পোহাতে (basking) এরা ভূমির কাছাকাছি নেমে আসে। ১৮৩০ মিটার থেকে ৩০০০ মিটার পর্যন্ত উচ্চতায় অবস্থিত পার্বত্য বনাঞ্চল এদের প্রিয় বাসভূমি। এই প্রজাতি ভীষণভাবে স্থানীয় (local)।[৫] প্যাপিলিওনিডি পরিবারভুক্ত অন্যান্য প্রজাতিদের মত কায়জার-ই-হিন্দ কখনো ফুলের মধু পান করার এবং জলের কাছাকাছি অবস্থান করার তথ্য নেই। এরা দিনের প্রথম ভাগ থেকে দুপুর অবধি সক্রিয়ভাবে বিচরণ করে। ঘন সবুজ পাতার ঝোপে এরা এমন ভাবে মিশে থাকে (camouflage) যে চট করে চোখে পড়ে না। পুরুষ প্রকার কখনো সখনো মাটি অথবা বালির ভিজে ছোপে অবস্থান করলেও, স্ত্রী প্রকার কখনওই তা করে না। সাধারণত এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত উপযুক্ত পরিবেশে এদের দর্শন মেলে। [৬]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Gimenez Dixon, M. (1996). Teinopalpus imperialis. The IUCN Red List of Threatened Species 1996. ডিওআই:10.2305/IUCN.UK.1996.RLTS.T21558A9301125.en
  2. "Appendices | CITES"cites.org 
  3. "Teinopalpus imperialis Hope, 1843 - Kaiser-i-Hind"Butterflies of India। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মার্চ ২০২৪ 
  4. Wynter-Blyth, Mark Alexander (১৯৫৭)। Butterflies of the Indian Region। Bombay, India: Bombay Natural History Society। পৃষ্ঠা 408। আইএসবিএন 978-8170192329 
  5. New, T. R.; Collins, N. Mark (১৯৯১)। Swallowtail butterflies: an action plan for their conservation। IUCN/SSC Species Action Plans Series (illustrated সংস্করণ)। Switzerland: IUCN SSC Lepidoptera Specialist Group। পৃষ্ঠা 36। আইএসবিএন 978-2-8317-0061-8 
  6. Isaac, Kehimkar (২০০৮)। The book of Indian Butterflies (ইংরেজি ভাষায়) (1st সংস্করণ)। নতুন দিল্লি: অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস। পৃষ্ঠা 118। আইএসবিএন 978 019569620 2 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা