টিট্টি (ব্যাগপাইপ)
টিট্টি (তেলুগু: টিট্টি,[১] মাসাকা টিট্টি, বা টুট্টি) হল এক ধরনের ব্যাগপাইপ, যেটি পুরো ছাগলের চামড়া দিয়ে তৈরি। এটি ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে বহুল প্রচলিত একটি বাদ্যযন্ত্র।[২] এই যন্ত্রটি অনেকটা একটা থলির মত, যেটি ছাগলের চামড়া দিতে তৈরি। এর একটি পায়ের দিকে বড় দ্বিনালিকা ঢোকানো হয় এবং অন্যপায়ের দিকে বাঁশের ছোট বায়ুনল বা ব্লোপাইপ থাকে।[৩] টিট্টি শব্দটি তেলুগু, কন্নড় এবং মালায়ালম ভাষায় ব্যবহৃত হয়।[৪]
বর্ণনা
সম্পাদনাবাদক টিট্টির থলিতে ব্লোপাইপ দিয়ে ফুঁ দিতে থাকে যতক্ষণ না সেটি পুরোপুরি ফুলে যায়। তারপরে সে অন্য পাইপটির মুখ খুলে দেয় এবং আস্তে আস্তে থলিতে চাপ দিতে থাকে। দ্বিনালিকা দিয়ে হাওয়া বার হয় এবং তাতে কম্পন সৃষ্টি হয়। এর ফলে একটি গুঞ্জন ধ্বনির সৃষ্টি হয়।[৫]
নলের গর্তগুলি পুরো বা আংশিকভাবে মোম দিয়ে বন্ধ থাকে যাতে যন্ত্রটিতে পছন্দসই কম্পাঙ্কে সুর বাঁধা যায়। কম্পনগুলি সূক্ষ্ম সুতো দ্বারাও নিয়ন্ত্রণ করা হয়। [৬]
ইতিহাস
সম্পাদনাআঠারো শতকের গোড়ার দিকে কেরালায় ব্যাগ পাইপ চিত্রিত বেশ কয়েকটি চিত্রকর্ম দেখানো হয়েছে।[৭]
কর্নেল জেমস টড (১৭৮২-১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দ) লক্ষ্য করেছিলেন যে মাদ্রাজের একটি উপজাতি ইয়ানাদিও বাদ্যযন্ত্র হিসেবে ব্যাগপাইপ ব্যবহার করে,[৮][৯]
ব্যবহার
সম্পাদনাযন্ত্রটি প্রায়শই অবিরত গুঞ্জনধ্বনি সৃষ্টি করতে ব্যবহৃত হয়। গল্পকথক এবং গায়কদের শিল্প নিবেদনের আনুষঙ্গিক হিসাবে টিট্টি ব্যবহৃত হয়।[১০][১১] এছাড়াও গ্রামের নৃত্য-নাট্যগুলির জন্য এর ব্যবহার আছে।[১২]
আরো দেখুন
সম্পাদনা- মাশাক, একটি উত্তর ভারতীয় ব্যাগ পাইপ
- শ্রুতি উপাঙ্গ, তামিলনাড়ুর একটি ব্যাগ পাইপ।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Mashak at India9.com[সন্দেহপূর্ণ ]
- ↑ Subhash Kak (Louisiana State University). The Indian Epic Song Tradition. Presented at The 7th International Conference and Festival of Asian Music, Busan, Korea, Sept 26-Sept 30, 2002.
- ↑ Gene Henry Roghair (১৯৮২)। The epic of Palnāḍu: a study and translation of Palnāṭi Vīrula Katha, a Telugu oral tradition from Andhra Pradesh, India। Clarendon Press। আইএসবিএন 978-0-19-815456-3। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০১১।
- ↑ Sangeet Natak Akademi (১৯৬৯)। Sangeet natak। পৃষ্ঠা 669। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০১১।
- ↑ "MASAKA TITTI"। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মার্চ ২০২১।
- ↑ "On the trail tutti's tune"। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মার্চ ২০২১।
- ↑ Committee on Research in Dance (১৯৭৩)। Dance research monograph। CORD.। পৃষ্ঠা 20। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০১১।
- ↑ James Tod (১৯২০)। Annals and antiquities of Rajasthan: or The central and western Rajput states of India। H. Milford, Oxford University Press। পৃষ্ঠা 755–। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০১১।
- ↑ as do later sources in 1900 describing the Yanadi.Government Museum (Madras; India) (১৯০০)। Bulletin। Printed by the Superintendent, Govt. Press। পৃষ্ঠা 1–। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০১১।
- ↑ Sangeet Natak Akademi (১৯৬৯)। Sangeet natak। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০১১।
- ↑ Alison Arnold (২০০০)। South Asia: the Indian subcontinent। Taylor & Francis। পৃষ্ঠা 901–। আইএসবিএন 978-0-8240-4946-1। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০১১।
- ↑ Light Isaac (১৯৬৭)। Theory of Indian music। Printed at Shyam Printers। পৃষ্ঠা 148–156। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ডিসেম্বর ২০১২।