টার্ন হচ্ছে এক ধরনের সামুদ্রিক পাখি, স্টারনাইড পরিবারের সদস্য, সমগ্র পৃথিবীতেই এদের দেখতে পাওয়া যায় এবং সাধারনত সমুদ্র, নদী ও জলাভুমির পাশে বাস করে। এরা হালকা গড়নের পাখি, দীর্ঘ বিভক্ত পালকের লেজ, সরু ডানা, ছোট পা। অধিকাংশ পাখির উপরের অংশ হালকা ধূসর এবং নিচের অংশ সাদা এবং মাথায় কালো ক্যাপের মত পালক।

Terns
সময়গত পরিসীমা: Early Miocene to present
গ্রেটার ক্রেস্টেড টার্ন
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
Genera
উড়ন্ত টার্ন পাখি
উড়ন্ত টার্ন পাখি

শ্রেণিবিন্যাস

সম্পাদনা

টার্ন পাখি অনেকটা গুলস পাখির মত এবং এরা স্কিমারস, স্কুয়াস এবং অকস এর নিকটাত্মীয়[][]। প্রথম দিককার লেখকেরা যেমন কনরাড গেসনার, ফ্রান্সিস উইলুঘবি এবং উইলিয়াম টার্নার পরিষ্কারভাবে টার্ন এবং গুলসকে আলাদা করেননি[][][]। ১৭৫৮ সালে লিনিয়াস তার সিস্টেমা ন্যাচারা গুলস কে লরাস গণে এবং টার্ন কে স্টারনা গণে স্থান দেন।

বর্ণনা

সম্পাদনা
 
ইনকা টার্ন

টার্নের আকার লিস্ট টার্ন ২৩ সেমি (৯.১ ইঞ্চি) লম্বায় এবং ওজনে ৩০–৪৫ গ্রাম (১.১–১.৬ আউন্স) গ্রাম[][] এবং কাস্পিয়ান টার্ন ৪৮–৫৬ সেমি (১৯–২২ ইঞ্চি), এবং ৫০০–৭০০ গ্রাম (১৮–২৫ আউন্স)[][]। এদের চঞ্চু দীর্ঘ, হালকা গড়ন এবং এদের দীর্ঘ লেজ ও লম্বা সরু ডানা ওড়ার ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা দিতো। পুরুষ এবন স্ত্রী পাখি দেখতে একই রকম তবে পুরুষ পাখিটি স্ত্রী পাখির তুলনায় ২-৫% বৃহতাকৃতির হয় এবং তুলনামূলকভাবে বড় চঞ্চুর হয়। সমুদ্র বাসী টার্নের লেজ বিভক্ত পালকের এবং ইংরেজি V আকৃতির[১০]

ক্ষুদ্র পায়ের কারণে তারা খুবই দ্রুত দৌড়াতে পারে। তারা কালেভদ্রে সাঁতার কাটে। শুধু গোছল করার প্রয়োজনে এরা পানিতে নামে। অধিকাংশ প্রাপ্ত বয়স্ক সমুদ্র টার্নের উর্ধ্বাংশ হালকা ধূসর এবং নিচের অংশ সাদা এবং মাথায় কালো ক্যাপ। পাখি ভেদে এদের পা এবং চঞ্চুর বর্ণ লাল, কমলা, হলুদ, কালো সহ বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Paton, Tara A; Baker, Allan J; Groth, Jeffrey G; Barrowclough, George F (২০০৩)। "RAG-1 sequences resolve phylogenetic relationships within charadriiform birds"। Molecular Phylogenetics and Evolution29 (2): 268–278। ডিওআই:10.1016/S1055-7903(03)00098-8পিএমআইডি 13678682 
  2. van Tuinen, Marcel; Waterhouse, David M; Dyke, Gareth J (২০০৪)। "Avian molecular systematics on the rebound: a fresh look at modern shorebird phylogenetic relationships"। Journal of Avian Biology35 (3): 191–194। ডিওআই:10.1111/j.0908-8857.2004.03362.x 
  3. Linnaeus (1758) p. 84.
  4. Jobling (2010) p. 338.
  5. Brookes (2006) p. 1510.
  6. Maehr & Kale (2005) p. 111.
  7. Olsen & Larsson (1995) p. 136.
  8. Harrison (1988) p. 368.
  9. Olsen & Larsson (1995) p. 25.
  10. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; HBW নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি