টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ

আর এম এস টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায় দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব নিউফাউন্ডল্যান্ড উপকূলের প্রায় ৩৭০ মাইল (৬০০ কিমি) দূরে প্রায় ১২,৫০০ ফুট গভীর সমুদ্রের নিচে। জাহাজটি দু টুকরো হয়ে পড়ে আছে সেখানে। অনেক আঘাত খাওয়া সত্ত্বেও জাহাজটির অগ্রভাগের ধ্বংসাবশেষ এখনও স্পষ্ট প্রতিভাত হয়, সেখানকার সাজ সরঞ্জাম, কাঠামো এখনও বোঝা যায়। তুলনামূলক ভাবে জাহাজটির পশ্চাৎভাগের অবস্থা এখন খুবই শোচনীয়। সেটি প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।জাহাজটি ডুবে যাবার সঙ্গে সঙ্গে প্রায় হাজার হাজার বস্তু ডুবে গিয়েছিল, ফলে ডুবে যাওয়া টাইটানিকের ভগ্নাবশেষের চারপাশে একটা ধ্বংসস্তূপ তৈরি হয়ে আছে আজও। যাত্রীদের এবং ক্রুদের মৃতদেহগুলিও সমুদ্রের চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল, কিন্তু কালের নিয়মে আজ সে সব নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।

টাইটানিকের অগ্রভাগের ধ্বংসাবশেষ

আরএমএস টাইটানিক একটি ব্রিটিশ যাত্রীবাহী বৃহদাকার সামুদ্রিক জাহাজ ছিল যা ১৫ এপ্রিল, ১৯১২ সালে জাহাজটির প্রথম সমুদ্রযাত্রায় সাউথহ্যাম্পটন থেকে নিউ ইয়র্ক সিটি যাওয়ার পথে হিমশৈলের (আইসবার্গের) সঙ্গে সংঘর্ষে উত্তর অ্যাটলান্টিক মহাসাগরে ডুবে যায়। এটি ঐ সময়ের সবচেয়ে বৃহৎ আধুনিক ও বিলাসবহুল যাত্রীবাহী জাহাজ ছিল। জাহাজটির ধ্বংসাবশেষ ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি। অনেক অভিযান চালানো হয়েছিল সমুদ্রের গভীরে জাহাজটাকে খোঁজার জন্য। কিন্তু সবই ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছিল। অবশেষে French Research Institute for Exploitation of the Sea বা IFREMER এর গবেষক জাঁ লুই মিশেল ও Woods Hole Oceanographic Institution এর গবেষক রবার্ট বলারড এর যৌথ ফরাসী-আমেরিকান অভিযানে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া যায়। এরপর বহু সমুদ্র গবেষকের নজর পড়ে ও একেরপর এক অভিযান চলতে থাকে। সেইসব অভিযানে টাইটানিকের ধ্বংসস্তূপ থেকে অনেক মুল্যবান জিনিস খুঁজে আনা হয় ও তা দুনিয়ার কাছে প্রদর্শিত হয়। টাইটানিকের ডুবে যাবার পর বহু বছর ধরে বহু অর্থ ব্যয় করে, বহু অসম্ভব সব পরিকল্পনা গ্রহণ করেও তাকে সমুদ্রের গভীর গর্ভ থেকে তুলে আনা যায়নি। বর্তমানে তা জলের তলাতেই ইউনেস্কোর উদ্যোগে সংরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা