মেজর-জেনারেল টমাস হার্ডউইক (১৭৫৫ - ৩ মে, ১৮৩৫) একজন ব্রিটিশ সেনা সদস্য, পক্ষীবিদপ্রকৃতিবিদ। ১৭৭৭ থেকে ১৮২৩ পর্যন্ত তিনি ভারতে অবস্থান করেন। ভারতে অবস্থানকালে তিনি ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাণীজগৎ নিয়ে ব্যাপক গবেষণা করেন। জন অ্যাডওয়ার্ড গ্রে'র সাথে মিলে তিনি দুই খণ্ডের Illustrations of Indian Zoology (১৮৩০-৩৫) প্রকাশ করেন। তার আবিষ্কৃত বেশিরভাগ দ্বিপদ নামের সাথে তাকে Hardw নামে উল্লেখ করা হয়েছে।

টমাস হার্ডউইক
জন্ম১৭৫৫
মৃত্যু৩ মে, ১৮৩৫
জাতীয়তাব্রিটিশ
পরিচিতির কারণপক্ষীবিজ্ঞান, প্রাণিবিজ্ঞান, প্রকৃতিবিদ্যা

হার্ডউইক মাত্র ২২ বছর বয়সে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীতে যোগ দেন। ১৮১৯ সালে তিনি মেজর জেনারেল পদে উন্নীত হন এবং ১৮২৩ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করে ইংল্যান্ডে চলে আসেন। সেনাবাহিনীতে থাকাকালে তিনি সমগ্র উপমহাদেশে ঘুরে বেড়ান। এ সময় তিনি বিপুল সংখ্যক জীববৈজ্ঞানিক নমুনা সংগ্রহ করেন। স্থানীয় চিত্রকরদের মাধ্যমে তিনি বিভিন্ন প্রজাতির অসংখ্য ছবি আঁকান ও সেগুলো যত্ন করে সংরক্ষণ করেন। বেশিরভাগ ছবি মৃত নমুনা থেকে আঁকা হয়েছিল, তবে জীবিত নমুনার ছবিও খুব কম নয়। যখন তিনি ভারত ছেড়ে চলে যান, তখন কোন একক ব্যক্তি হিসেবে তার কাছেই সবচেয়ে বেশি নমুনা ও নমুনার অঙ্কিত ছবির সংগ্রহ ছিল।

হার্ডউইকের সংগৃহীত বাঘডাস

হার্ডউইকের অধীনে যেসব স্থানীয় ভারতীয় চিত্রকর বিভিন্ন পশুপাখির ছবি আঁকত তাদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল এবং কীভাবে জলরং ব্যবহার করে বৈজ্ঞানিকভাবে সঠিক ছবি আঁকতে হয় তা তারা রপ্ত করেছিল। তার বিশাল সংগ্রহ ১৮৩৫ সালে ব্রিটিশ মিউজিয়ামে স্থানান্তর করা হয়। পরে এর কিছু অংশ প্রাকৃতিক ইতিহাস জাদুঘরে স্থানান্তর করা হয়। তার সংগ্রহে মোট ৪৫০০টি চিত্র সংরক্ষিত ছিল।

ভারতের প্রাকৃতিক ইতিহাস সম্পর্কে হার্ডউইকের উৎসাহ তাকে তৎকালীন বড় বড় প্রকৃতিবিদ ও জীববিজ্ঞানীর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। স্যার জোসেফ ব্যাঙ্কসের সাথে তার যোগাযোগ ছিল। তিনি ছিলেন রয়েল সোসাইটির প্রেসিডেন্ট। ১৮১৩ সালে হার্ডউইক রয়েল সোসাইটির ফেলো নির্বাচিত হন। জন অ্যাডওয়ার্ড গ্রে'র Illustrations of Indian Zoology-তে তার সংগৃহীকৃত চিত্র স্থান পেয়েছিল। গ্রন্থটিতে ২০২টি বড় আকারের রঙিন চিত্রের প্লেট ছিল এবং হার্ডউইকের অর্থায়নেই গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়। গ্রন্থের রচনা-অংশ প্রকাশ পাওয়ার আগেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

প্রাণিবিজ্ঞানে তার অবদান স্মরণ করে অনেক প্রজাতির নামকরণ তার নামে করা হয়েছে।[১] সেসব প্রজাতির অন্যতম:

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা