ঝারসুগুড়া জেলা

ওড়িশার একটি জেলা

ঝারসুগুড়া জেলা(ওড়িয়া: ଝାରସୁଗୁଡ଼ା ଜିଲ୍ଲା, প্রতিবর্ণী. ঝারসুগুড়া জিল্লা) পূর্ব ভারতে অবস্থিত ওড়িশা রাজ্যের ৩০ টি জেলার একটি জেলা৷ ৬ই পৌষ ১৪০০ বঙ্গাব্দে(২২শে ডিসেম্বর ১৯৯৩ খ্রিষ্টাব্দে) পূর্বতন সম্বলপুর জেলাটি থেকে নতুন জেলা ঝারসুগুড়া গঠিত হয়৷ জেলাটি ওড়িশার দক্ষিণ ওড়িশা বিভাগের অন্তর্গত৷ জেলাটির জেলাসদর ঝারসুগুড়া শহরে অবস্থিত এবং ঝারসুগুড়া মহকুমা নিয়ে গঠিত৷

ঝারসুগুড়া জেলা
ଝାରସୁଗୁଡ଼ା ଜିଲ୍ଲା
ওড়িশার জেলা
ওড়িশায় ঝারসুগুড়ার অবস্থান
ওড়িশায় ঝারসুগুড়ার অবস্থান
দেশভারত
রাজ্যওড়িশা
প্রশাসনিক বিভাগউত্তর ওড়িশা বিভাগ
সদরদপ্তরঝারসুগুড়া
তহশিল
আয়তন
 • মোট২,১১৪ বর্গকিমি (৮১৬ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)
 • মোট৫,৭৯,৫০৫
 • জনঘনত্ব২৭০/বর্গকিমি (৭১০/বর্গমাইল)
জনতাত্ত্বিক
 • সাক্ষরতা৭৮.৮৬ শতাংশ
 • লিঙ্গানুপাত৯৫৩
গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাত১২৯৬ মিমি
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট
উল্লাপগড়ের কাছে পাহাড়ের দৃশ্য

নামকরণ সম্পাদনা

পুর্বতন সম্বলপুর জেলার অন্তর্গত এই অঞ্চলটির নাম ছিলো ঝারগুডা৷ সম্বলপুরের চৌহান রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা বলরাম দেব ঘন জঙ্গলাচ্ছাদিত ব্যাঘ্রসংকুল অঞ্চলটিতে নগরপত্তন করেন৷ ঘন জঙ্গলের উপস্থিতির জন্য ঝারগুডা নামটি এসেছে৷[১] কালক্রমে ঝারগুডা নামটি ঝারসুগুড়া নামে পরিবর্তিত হয়েছে৷ জেলাসদরের নামে জেলাটির নাম রাখা হয়৷

ইতিহাস সম্পাদনা

ঐতিহাসিক আন্দোলন সম্পাদনা

ভূপ্রকৃৃতি সম্পাদনা

অর্থনীতি সম্পাদনা

দুর্ভাগ্যবশত এটি ভারতের অন্যতম দারিদ্রপ্রবণ জেলা।

অবস্থান সম্পাদনা

জেলাটির উত্তরে ওড়িশা রাজ্যের সুন্দরগড় জেলাজেলাটির উত্তর পূর্বে(ঈশান), পূর্বে, দক্ষিণ পূর্বে(অগ্নি) ও দক্ষিণে ওড়িশা রাজ্যের সম্বলপুর জেলাজেলাটির দক্ষিণ পশ্চিমে(নৈঋত) ওড়িশা রাজ্যের বারগড় জেলাজেলাটির পশ্চিমে ছত্তীসগঢ় রাজ্যের রায়গঢ় জেলাজেলাটির উত্তর পশ্চিমে(বায়ু) ওড়িশা রাজ্যের সুন্দরগড় জেলা[২]

জেলাটির আয়তন ২১১৪ বর্গ কিমি৷ রাজ্যের জেলায়তনভিত্তিক ক্রমাঙ্ক ৩০ টি জেলার মধ্যে তম৷ জেলার আয়তনের অনুপাত ওড়িশা রাজ্যের ১.৩৫%৷

ভাষা সম্পাদনা

ঝারসুগুড়া জেলায় প্রচলিত ভাষাসমূহের পাইচিত্র তালিকা নিম্নরূপ -

২০১১ অনুযায়ী ঝারসুগুড়া জেলার ভাষাসমূহ[৩]

  ওড়িয়া (৭০.০৪%)
  হিন্দী (১১.৪৪%)
  কিসান (৬.২৪%)
  মুন্ডারি (২.২২%)
  খারিয়া (১.৮৬%)
  বাংলা (১.২৭%)
  নাগপুরি-সাদরি (১.১১%)
  কুরুখ/ওরাওঁ (০.৬২%)
  তেলুগু (০.৫৫%)
  অন্যান্য (৩.২২%)

এই জেলাতে বসবাসকারী সিংহভাগ ওড়িয়াভাষী সম্বলপুরি/কোশলি ভাষাতে সাবলীল৷

ধর্ম সম্পাদনা

জনসংখ্যার উপাত্ত সম্পাদনা

মোট জনসংখ্যা ৫০৯৭১৬(২০০১ জনগণনা) ও ৫৭৯৫০৫(২০১১ জনগণনা)৷ রাজ্যে জনসংখ্যাভিত্তিক ক্রমাঙ্ক ৩০ টি জেলার মধ্যে ২৭তম৷ ওড়িশা রাজ্যের ১.৩৮% লোক ঝারসুগুড়া জেলাতে বাস করেন৷ জেলার জনঘনত্ব ২০০১ সালে ২৪১ ছিলো এবং ২০১১ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে ২৭৪ হয়েছে৷ জেলাটির ২০০১-২০১১ সালের মধ্যে জনসংখ্যা বৃৃদ্ধির হার ১৩.৬৯% , যা ১৯৯১-২০১১ সালের ১৫.২৫% বৃদ্ধির হারের থেকে কম৷ জেলাটিতে লিঙ্গানুপাত ২০১১ অনুযায়ী ৯৫৩(সমগ্র) এবং শিশু(০-৬ বৎ) লিঙ্গানুপাত ৯৪৩৷[৪]

নদনদী সম্পাদনা

পরিবহন ও যোগাযোগ সম্পাদনা

পর্যটন ও দর্শনীয় স্থান সম্পাদনা

ঐতিহ্য ও সংস্কৃৃতি সম্পাদনা

শিক্ষা সম্পাদনা

জেলাটির স্বাক্ষরতা হার ৭০.৫৫%(২০০১) তথা ৭৮.৮৬%(২০১১)৷ পুরুষ স্বাক্ষরতার হার ৮২.০৮%(২০০১) তথা ৮৬.৬১%(২০১১)৷ নারী স্বাক্ষরতার হার ৫৮.৩৬%(২০০১) তথা ৭০.৭৩% (২০১১)৷ জেলাটিতে শিশুর অনুপাত সমগ্র জনসংখ্যার ১১.১৮%৷[৪]

প্রশাসনিক বিভাগ সম্পাদনা

সীমান্ত সম্পাদনা

বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "History | District Jharsuguda , Government of Odisha | India" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০২-০৩ 
  2. "Jharsuguda Tehsil Map, Jharsuguda Tehsils"Maps of India। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০২-০৩ 
  3. http://www.censusindia.gov.in/2011census/C-16.html
  4. "Jharsuguda District Population Census 2011 - 2021 - 2023, Orissa literacy sex ratio and density"www.census2011.co.in। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০২-০৩