জ্যোৎস্না জ্যোতি ভাট (৬ই মার্চ ১৯৪০[১] - ১১ই জুলাই ২০২০) একজন ভারতীয় দগ্ধমৃত্তিকা শিল্পী এবং মৃৎশিল্পী ছিলেন। তিনি প্রথমে বড়োদরার মহারাজা সয়াজিরাও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন এবং তারপর চল্লিশ বছর ধরে সেখানে পড়িয়েছিলেন।

জ্যোৎস্না জ্যোতি ভাট
জন্ম(১৯৪০-০৩-০৬)৬ মার্চ ১৯৪০
মৃত্যু১১ জুলাই ২০২০(2020-07-11) (বয়স ৮০)
মাতৃশিক্ষায়তনমহারাজা সয়াজিরাও বিশ্ববিদ্যালয়
পরিচিতির কারণসেরামিক, মৃৎশিল্প
দাম্পত্য সঙ্গীজ্যোতি ভাট

জীবনী সম্পাদনা

জ্যোৎস্না ভাটের জন্ম হয়েছিল ১৯৪০ সালের ৬ই মার্চ। তাঁর জন্মস্থান হল কচ্ছ রাজ্যের মান্ডবী (বর্তমানে কচ্ছ, গুজরাট)। তিনি বোম্বের (বর্তমানে মুম্বাই) স্যার জে.জে. কলা মহাবিদ্যালয়ে এক বছর অধ্যয়ন করেন। পরে তিনি শঙ্খ চৌধুরীর অধীনে ভাস্কর্য অধ্যয়নের জন্য ১৯৫৮ সালে বড়োদরার মহারাজা সয়াজিরাও বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন। তিনি সেখানে দগ্ধমৃত্তিকা শিল্পের (সিরামিক) প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন। তিনি ১৯৬০ এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরের ব্রুকলিন প্রশাসনিক বিভাগে জলিয়ন হফস্টেডের অধীনে সিরামিক অধ্যয়ন করেন।[২][৩] তিনি ভারতে ফিরে আসেন এবং বরোদায় (বর্তমানে বড়োদরা) বসবাস শুরু করেন। ১৯৭২ সালে, তিনি বড়োদরার মহারাজা সয়াজিরাও বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে ভাস্কর্যের সিরামিক স্টুডিও বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি সেখানে ৪০ বছর অধ্যাপনা করেন এবং ২০০২ সালে সিরামিক বিভাগের প্রধান হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।[২]

জ্যোৎস্না ভাট ২০২০ সালের ১১ই জুলাই মারা যান। এর দুই দিন আগে তিনি স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন।[২][৪] বরোদার ভাদি ওয়াদি শ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছিল।[৩]

শৈলী সম্পাদনা

সারা বিশ্বে জ্যোৎস্না ভাটের কাজের সমাদর রয়েছে, পৃথিবী জুড়েই তাঁর কাজ সংগ্রহ করা হয়। তাঁর দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি স্টোনওয়্যার (বিশেষ এক ধরনের মৃত্তিকা শিল্প) এবং টেরাকোটা উভয় নিয়েই পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছিলেন। সিরামিকের কাজে, তিনি স্বচ্ছ নীল থেকে শুরু করে শ্যাওলা সবুজ এবং অন্যান্য মাটি ঘেঁষা রঙের সংমিশ্রণে নিষ্প্রভ অথবা সাটিন ঝকঝকে জেল্লা পছন্দ করেছেন। তিনি প্রায়শই ক্ষারীয় মাটি, অনিয়তাকার ছাঁচ এবং বিভিন্ন খনিজ পদার্থ ব্যবহার করেছেন যা তাঁর কাজে আধুনিক এবং ঐতিহ্যগত শৈলীকে একত্রিত করেছিল। তাঁর কাজ প্রকৃতির প্রতি তাঁর আগ্রহকে প্রতিফলিত করেছে। তাঁর অসংখ্য কাজে বিড়াল, কুকুর, পাখি, পদ্মের কুঁড়ি, খেলনা এবং অগভীর বড় পাত্র চিত্রিত হয়েছে।[২][৩][৫][৬][৭]

ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা

জ্যোৎস্না ভাট তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে জ্যোতি ভাট নামে একজন চিত্রশিল্পীর সাথে পরিচিত হয়েছিলেন এবং তাঁরা পরে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন।[২] তাঁরা বড়োদরায় থাকতেন।[৮] তাঁদের একটি কন্যা আছে, তার নাম জয়ী।[৩]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Reference India: Biographical Notes about Men & Women of Achievement of Today & Tomorrow (ইংরেজি ভাষায়)। Rifacimento International। ২০০৫। 
  2. "Renowned ceramic artist Jyotsna Bhatt passes away"The Indian Express (ইংরেজি ভাষায়)। ১১ জুলাই ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুলাই ২০২০ 
  3. Rupera, Prashant (১২ জুলাই ২০২০)। "Queen of studio pottery, Jyotsna Bhatt dies at 80"The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুলাই ২০২০ 
  4. "अंतरराष्ट्रीय शिल्पकार ज्योत्स्नाबेन भट्ट का वड़ोदरा में निधन"www.sanjeevnitoday.com। ১২ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুলাই ২০২০ 
  5. "Ceramic artist Jyotsna Bhatt sculpts nature in matte glaze"Architectural Digest India (ইংরেজি ভাষায়)। ৭ নভেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুলাই ২০২০ 
  6. Nair, Uma (২৫ নভেম্বর ২০১৭)। "Agile hands inert stoneware"www.millenniumpost.in (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুলাই ২০২০ 
  7. "Silken glow"www.telegraphindia.com। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুলাই ২০২০ 
  8. "Jyotsna Bhatt | Gallery Ark" (ইংরেজি ভাষায়)। ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুলাই ২০২০