জৈব ধাতব যৌগঃ

যে সকল যৌগের অনুতে একটি ধাতু পরমানুকার্বন পরমানুর মধ্যে সরাসরি M-C বন্ধন আছে, তাদেরকে জৈব ধাতব যৌগ বলা হয়। এরা প্রধানত চারটি শ্রেনীতে বিভক্ত।

যথাঃ

ক। আয়নিক জৈব ধাতব যৌগ

খ। সমযোজী জৈব ধাতব যৌগ,

গ। অবস্থান্তর জৈব ধাতব যৌগ,

ঘ। ইলেক্ট্রন অপর্যাপ্ত জৈব ধাতব যৌগ।


উদাহরণ লক্ষ্য করিঃ

Fe2+ এমন একটি আয়ন যা সাইক্লো-পেন্টা-ডাই-ইনাইল গ্রুপ { C5H5 } এর কার্বনের সাথে “ধাতু - কার্বন বন্ধন” গঠন করে। ফলে যে যৌগ পাওয়া যায় তা হলো ফেরোসিন জৈব ধাতব যৌগ।


জৈব ধাতব যৌগের আরো কিছু তথ্যঃ

  • নিম্নতর জারন অবস্থায় থাকে।
  • প্রভাবকরুপে কার্যকরী ভুমিকা পালন করে।
  • অধিকাংশ যৌগ 18-ইলেক্ট্রন নিয়ম মেনে চলে।
  • অধিকাংশ যৌগ EAN - এর নিয়ম মেনে চলে।
  • লিগ্যান্ডের সাথে সরাসরি সম্পর্ক থাকায় এরা হেপ্টাসিটি ধর্ম প্রদর্শন করে।


-ফেরোসিনকে অনেক সময় স্যান্ডউইচ যৌগ বলা হয় কেন?

স্যান্ডউইচ যৌগঃ যে সকল জৈব ধাতব যৌগে,

  1. দুটি সাইক্লোপেন্টা-ডাই-ইনাইল চক্র সমান্তরালে থাকে
  2. ধাতব পরমানু উভয় চক্রের মাঝে সমদূরত্বে অবস্থান করে
  3. স্যান্ডউইচ আকৃতি তৈরি করে।

এদেরকেই স্যান্ডউইচ যৌগ বলা হয়। ফেরোসিনের মধ্যে এই বৈশিষ্ট পাওয়া যায় তাই একে স্যান্ডউইচ যৌগ বলা হয়।