জুলি ক্রিস্টি

ব্রিটিশ অভিনেত্রী

জুলি ফ্রান্সেস ক্রিস্টি (ইংরেজি: Julie Frances Christie; জন্ম: ১৪ই এপ্রিল, ১৯৪০)[] হলেন একজন ব্রিটিশ অভিনেত্রী। ১৯৬০-এর দশকের "সুইংগিং লন্ডন" যুগের প্রতিকৃত ক্রিস্টি তার অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে একাডেমি পুরস্কার, গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার, বাফটা পুরস্কারস্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার অর্জন করেছেন। তার অভিনীত ছয়টি চলচ্চিত্র ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউটের করা বিংশ শতাব্দীর সেরা ১০০ ব্রিটিশ চলচ্চিত্রের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এবং ১৯৯৭ সালে তাকে বাফটা ফেলোশিপ প্রদান করা হয়।

জুলি ক্রিস্টি
Julie Christie
১৯৯৭ সালে ক্রিস্টি
জন্ম
জুলি ফ্রান্সেস ক্রিস্টি

(1940-04-14) ১৪ এপ্রিল ১৯৪০ (বয়স ৮৪)
মাতৃশিক্ষায়তনওপেন ইউনিভার্সিটি
পেশাঅভিনেত্রী, সমাজকর্মী
কর্মজীবন১৯৫৭–বর্তমান
দাম্পত্য সঙ্গীডানকান ক্যাম্পবেল
সঙ্গীডানকান ক্যাম্পবেল (১৯৭৯)

ক্রিস্টি তার কর্মজীবনে প্রথম সফলতা অর্জন করেন বিলি লায়ার (১৯৬৩) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য। ডার্লিং (১৯৬৫) চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিতি লাভ করেন, যার জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া তার অভিনীত ডক্টর ঝিভাগো (১৯৬৫) ছবিটি মুদ্রাস্ফীতির হিসাব অনুযায়ী সর্বকালের সর্বোচ্চ আয়কারী তালিকায় অষ্টম স্থান অধিকার করে।[]

পরবর্তী বছরগুলোতে তিনি ফারেনহাইট ফোর হান্ড্রেড ফিফটি ওয়ান (১৯৬৬), ফার ফ্রম দ্য ম্যাডিং ক্রাউড (১৯৬৭), পেটুলিয়া (১৯৬৮), দ্য গো-বিটুইন (১৯৭১), ম্যাককেব অ্যান্ড মিসেস মিলার (১৯৭১), ডোন্ট লুক নাউ (১৯৭৩), শ্যাম্পু (১৯৭৫), এবং হেভেন ক্যান ওয়েট (১৯৭৮) চলচ্চিত্রে শ্রেষ্ঠাংশে অভিনয় করেন। ম্যাককেব অ্যান্ড মিসেস মিলার ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি তার দ্বিতীয় একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।

১৯৮০-এর দশকের শুরু থেকে মূলধারার চলচ্চিত্রে তার অভিনয় কমে যায়। ২০০৪ সালে তিনি ঐতিহাসিক মহাকাব্যিক চলচ্চিত্র ট্রয় এবং জাদু-কাল্পনিক হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য প্রিজনার অব আজকাবান ছবিতে অভিনয় করেন। এছাড়া তিনি আফটারগ্লো (১৯৯৭) এবং অ্যাওয়ে ফ্রম হার (২০০৭) ছবিতে অভিনয়ের জন্য আরও দুটি একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।

পাদটীকা

সম্পাদনা
  1. যদিও বেশিরভাগ সূত্রে জুলি ক্রিস্টির জন্মের সাল ১৯৪১ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি মূলত ১৯৪০ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৪১ সালে তাকে খ্রিস্ট ধর্মে দীক্ষিত (ব্যাপ্টিজম) করা হয়।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Collections from Great Britain" (ইংরেজি ভাষায়)। ফাইন্ড মাই পাস্ট। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০১৮ 
  2. "All Time Box Office Adjusted for Ticket Price Inflation" (ইংরেজি ভাষায়)। বক্স অফিস মোজো। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০১৮ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা