জুম চাষ

স্থানান্তরিত চাষাবাদ পদ্ধতি

জুম চাষ (Shifting Cultivation) পাহাড়ি পার্বত্য চট্টগ্রামের ১৩টির বেশি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বসবাস। পাহাড়িদের জুম চাষ হলো এলাকায় প্রচলিত এক ধরনের কৃষিপদ্ধতি। "জুম চাষ" বিশেষ শব্দে "ঝুম চাষ" নামেও পরিচিত। "ঝুম চাষ" এক ধরনের স্থানান্তরিত কৃষিপদ্ধতি। এটি মূলত জঙ্গল কেটে পুড়িয়ে চাষ করা হয়, আবার সেই স্থানে জমির উর্বরতা কমে গেলে পূর্বের স্থান হতে কৃষি জমি স্থানান্তরিত করে অন্যত্র আবার কৃষি জমি গড়ে ওঠে। পাহাড়ের গায়ে ঢালু এলাকায় এই চাষ করা হয়। এই পদ্ধতির চাষে বছরের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হয়। জুম চাষ পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীদের জীবন জীবিকার প্রধান অবলম্বন।বর্তমানে প্রতি বছর প্রায় ২০০০০ হেক্টর ভূমি এ পদ্ধতিতে চাষাবাদ করা হয়। "ঝুম চাষ" ভারতে পোড়ু, বীরা, পোনম, প্রভৃতি নামেও পরিচিত।[] চাকমা মারমা ও ত্রিপুরা ছাড়াও অন্যান্য পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর মানুষের মাঝে জুম চাষ বেশ জনপ্রিয়।

জুম চাষ
পাহাড়ে জুম চাষের দৃশ্য

মূলত কিছু (৩-৫) বছর পাহাড়ের গায়ে, কিছু স্থানে চাষ করে সেই স্থানকে উর্বরতা বৃদ্ধি করার জন্য রেখে দিয়ে, আবার পাহাড়ের অন্য স্থানে গিয়ে জঙ্গল পরিষ্কার করে চাষাবাদ করাই হলো জুম চাষ।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Jhumming, a traditional lifestyle than merely a cultivation method" (পিডিএফ)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-১৩ 
  2. সমাজবিজ্ঞানী হোসাইন আল জামিলের লেখা থেকে উদৃত