জীবনচর্যা
সমাজবিজ্ঞানের আলোচনায় জীবনচর্যা (ইংরেজি: Lifestyle) বলতে কোনও ব্যক্তি, দল বা সমাজ অভ্যাস, মনোভঙ্গি, কর্মকাণ্ড, বাসস্থান ও জীবনযাপনের পরিবেশ, পছন্দ-অপছন্দ, নৈতিক মূল্যবোধ ও আদর্শ, বিত্ত, ব্যয়ের ধরন, ইত্যাদির ভিত্তিতে জীবনযাপনের যে বিশেষ পদ্ধতি অনুসরণ করে, তাকে নির্দেশ করা হয়।[১][২] অস্ট্রীয় মনোবিজ্ঞানী আলফ্রেড আডলার ১৯২৯ সালে প্রকাশিত ফ্রয়লাইন আরের রোগ গ্রন্থটিতে এই পরিভাষাটির প্রথম প্রয়োগ করেন। জীবনচর্যা বলতে আডলার "কোনও ব্যক্তির প্রারম্ভিক শৈশবে প্রতিষ্ঠিত মৌলিক চরিত্র"কে বুঝিয়েছিলেন।[৩] তবে জীবনযাপনের প্রণালী বা শৈলী অর্থে জীবনচর্যা কথাটির ব্যবহার শুরু হয় ১৯৬১ সালে।[৩] জীবনচর্যা বেশ কিছু মূর্ত ও বিমূর্ত উপাদানের সমন্বয়ে গঠিত। মূর্ত উপাদানগুলি বিশেষ করে জনতাত্ত্বিক চলকগুলির সাথে সম্পর্কিত, যেমন কোনও ব্যক্তির জনতাত্ত্বিক চরিত্র। অন্যদিকে বিমূর্ত উপাদানগুলি কোনও ব্যক্তির মনস্তাত্ত্বিক দিকগুলির সাথে (যেমন ব্যক্তিগত মূল্যবোধ, পছন্দ-অপছন্দ ও দৃষ্টিভঙ্গি) জড়িত।
গ্রামীণ পরিবেশের জীবনচর্যাগুলির সাথে মহানগর এলাকার জীবনচর্যার ভিন্নতা বিদ্যমান। এমনকি একই পৌর পরিধির মধ্যেও অবস্থানভেদে জীবনচর্যা ভিন্ন হতে পারে। কোনও ব্যক্তি যে এলাকায় বাস করে, সেটি ঐ ব্যক্তিটির কাছে কোন্ কোন্ জীবনচর্যা লভ্য হতে পারে, সে ব্যাপারটিকে প্রভাবিত করে, কেননা এলাকাভেদে বিত্তের মাত্রা, প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক পরিবেশের সাথে নৈকট্য, ইত্যাদি ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Lifestyle from Merriam-Webster's Dictionary
- ↑ Lynn R. Kahle; Angeline G. Close (২০১১)। Consumer Behavior Knowledge for Effective Sports and Event Marketing। New York: Routledge। আইএসবিএন 978-0-415-87358-1।
- ↑ ক খ Online Etymology Dictionary