জিম্বাবুয়ের অর্থনীতি
১৯৮০ সালে জিম্বাবুয়েতে শ্বেতাঙ্গ-শাসনের অবসান ঘটে ও দেশটির স্বাধীনতা আন্দোলনের নায়ক রবার্ট মুগাবে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করেন। তখন থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত মুগাবে ও তার দলই জিম্বাবুয়ে শাসন করেছে, তবে ক্ষমতালোভী মুগাবে দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলেই বেশি আগ্রহী ছিলেন। বাকস্বাধীনতা, বিচার ব্যবস্থা ও রাজনৈতিক বিরোধীদের দমন করার মধ্য দিয়ে তিনি এর বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছিলেন।
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/2/24/Zimbabwe_GDP_per_cap_2015.png/220px-Zimbabwe_GDP_per_cap_2015.png)
২০০০ সালের মার্চ থেকে মুগাবের সমর্থকেরা শ্বেতাঙ্গ জমিদারদের জমি জবরদখল করা শুরু করে। এর ফলে দেশটির অর্থনীতিতে ধ্বংস নেমে আসে, মুদ্রাস্ফীতি চরমে পৌঁছে (২০০৭ সালে এর হার ১১,০০% ছিল, যা সমগ্র বিশ্বে সর্বোচ্চ) এবং তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছিল। জাতিসংঘ দেশটির উপর স্মার্ট স্যাংশন বা চতুর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও এর কোন ফল হয়নি। ২০০৫ সালে নির্বাচনে মুগাবে আবার ক্ষমতায় আসেন, যদিও ধারণা করা হয় তিনি এতে ব্যাপক কারচুপির আশ্রয় নিয়েছিলেন। পূর্বে দেশটিতে বেকারত্ব ও দরিদ্রতার হার উভয়ই প্রায় ৮০%। অর্থনীতির এই করুণ দশায় জিম্বাবুয়ের অনেক নাগরিক দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন।