জাহ্নবী চৌধুরানীমাত্র ১৩ বছর বয়সে স্বামী গোলকনাথ রায় চৌধুরীর মৃত্যুর পর সন্তোষ জমিদার বাড়ি মালিকানা লাভ করেন[১] এর সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন জনহিতকর কাজেও যথেষ্ট অবদান রাখেন।[২]

জাহ্নবী চৌধুরানী
জাতীয়তাবাংলাদেশী
নাগরিকত্ববাংলাদেশ

শিক্ষা প্রচারে অবদান সম্পাদনা

তৎকালীন বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার দ্বিতীয় ইংরেজি (এমই) বিদ্যালয় হিসেবে সন্তোষ জাহ্নবী উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপন করেন (১৮৭০)।[৩] ১৯৯৯ সালে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও বিজ্ঞান প্রযুুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয় উক্ত জমিদার বাড়িতে।জমিদার বাড়ির কিছু ভবন বর্তমানে পরিচর্যার অভাবে আস্তে আস্তে ধ্বংসের মুখে এবং উক্ত ক্যাম্পাশে এখনও মন্দির ও মঠ আছে জমিদারের স্মৃতি টিহ্ন হিসাবে।

চিকিৎসা ক্ষেত্রে অবদান সম্পাদনা

তিনি জনস্বাস্থ্যের প্রতি লক্ষ রেখে সন্তোষে নিজ বাড়ির আঙি্নায় স্বামীর নামে দাতব্য চিকিৎসালয় প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৭০ খ্রিষ্টাব্দে ছয়আনীর জমিদার শ্রীমতি জাহ্নবী চৌধুরানী একটি পাঠশালা ও দাতব্য চিকিৎসালয় নির্মানের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু তখন এ অঞ্চলে ছিলনা কোন ইটভাটা ছিল না,ইট তৈরীর জন্য তার নির্দেশে সন্তোষ এলাকার জমি থেকে মাটি উত্তোলন করা হয়। এখান থেকে উত্তোলিত মাটি দিয়েই নির্মান করা হয় পাঠশালা ও দাতব্য চিকিৎসালয়। যা বর্তমানে জাহ্নবী উচ্চ বিদ্যালয় ও টিবি ক্লিনিক নামে পরিচিত।

অন্যান্য অবদান সম্পাদনা

বিদ্যালয় ও টিবি ক্লিনিক করার জন্য মাটি উত্তোলনের কারনে সেখানে তৈরী হয় ইংরেজী অক্ষর “টি” আকৃতির বিশাল গর্তের। পরে জমিদার জাহ্নবীর নির্দেশে প্রজাদের পানীয় জলের ব্যবস্থা করার জন্য পুকুরে রুপান্তর করা হয়। জাহ্নবী চৌধুরানী বাংলায় লেখা পড়া ভাল জানিতেন । বঙ্গদেশে যে সমুদয় মহিলা জমিদার স্বীয় তীক্ষ বুদ্ধি বলে জমিদারী শাসন করিয়া বিখ্যাত হইয়াছেন, তিনি তাহাদের মধ্য অন্যতম । তিনি স্বীয় ক্ষমতা বলে অনেক অর্থ সৎ কার্য্যে ব্যয় করিয়াও জমিদারীর আয় বহুল পরিমাণে বৰ্দ্ধিত করিয়াছিলেন । তিনি বৈকুণ্টনাথ রায় চৌধুরীকে দত্তক গ্রহণ করেন ।বৈকুণ্টনাথ জাহ্নবী দেবীর জীবিত কালেই অকালে অপুত্রক পরলোক গত হন । তাহার পুত্ৰ বধু রাণী দিনমনি চৌধুরাণীী পরে হেমেন্দ্রনাথ রায় চৌধুরীকে দত্তক গ্রহণ করেন । মহিয়সী জাহ্নবী চৌধুরাণী ১৩০৬ বাংলার ১৩ই ফালগুন পরলোক গমন করেন।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  • জাহ্নবী চেীধুরানীর ছবি-সন্তোষ জাহ্নবী উচ্চ বিদ্যালয় হতে সংগ্রীহীত।
  1. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৭ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ অক্টোবর ২০১৯ 
  2. http://www.deshrupantor.com/mofossol/2019/07/01/152354
  3. https://risingbd.com/feature-news/225926