জাহিদ মালেক স্বপন
জাহিদ মালেক স্বপন (জন্ম: ১১ এপ্রিল ১৯৫৯) হলেন একজন বাংলাদেশি ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ ও সংসদ সদস্য, যিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। তিনি মানিকগঞ্জ-৩ থেকে তিনবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য।[১] এবং ২০১৪ সালে গঠিত তৃতীয় হাসিনা মন্ত্রিসভার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী। ২০১৯ সালে চতুর্থ হাসিনা মন্ত্রিসভার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
জাহিদ মালেক | |
---|---|
![]() | |
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ৭ জানুয়ারি ২০১৮ | |
প্রধানমন্ত্রী | শেখ হাসিনা |
পূর্বসূরী | মোহাম্মদ নাসিম |
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১২ জানুয়ারি ২০১৩ – ৭ জানুয়ারি ২০১৯ | |
প্রধানমন্ত্রী | শেখ হাসিনা |
জাতীয় সংসদ সদস্য | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ২০০৮ | |
পূর্বসূরী | হারুন অর রশিদ খান মুন্নু |
সংসদীয় এলাকা | মানিকগঞ্জ-৩ |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | মানিকগঞ্জ জেলা, পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ) | ১১ এপ্রিল ১৯৫৯
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
পিতামাতা | আব্দুল মালেক ফৌজিয়া মালেক |
প্রাথমিক জীবন সম্পাদনা
জনাব জাহিদ মালেক ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (সংসদীয় আসন) মানিকগঞ্জ-৩ থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসাবে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এসময় তিনি সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসাবে পররাষ্ট্র ও শিল্প মন্ত্রণালয় সংক্রামত্ম স্থায়ী কমিটিতে গুরত্বপূর্ণ দায়িতব পালন করেন। এছাড়া ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি একই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১২ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে তিনি শপথ গ্রহণ করেন।
জনাব জাহিদ মালেক ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদীয় আসন মানিকগঞ্জ-৩ থেকে বিপুল ভোটে টানা তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হন। গত ০৭ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে বর্তমান সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে তিনি শপথ গ্রহণ করেন। জনাব জাহিদ মালেক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে সম্মানসহ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন।[১]
কর্মজীবন সম্পাদনা
জাহিদ মালেক স্বপন ১৯৮৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ থাই এ্যালুমিনিয়াম লিঃ, সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিঃ, বিডি থাইফুড এন্ড বেভারেজ লিঃ, রাহাত রিয়েল এস্টেট এন্ড কন্সট্রাকশন লিঃ, বিডি সানলাইফ ব্রোকারেজ হাউজ লিঃ এর চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ২০০১ সালে প্রথম বারের মত মানিকগঞ্জ-৩ আসন থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন কিন্তু পরাজিত হন। ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে পুরায় অংশগ্রহণ করেন এবং সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[২] ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।[৩] ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি থেকে জাহিদ মালেক বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান এবং ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আবারও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন[৪] এবং ২০১৯ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ পুনরায় সরকার গঠন করলে তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।[৫]
ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা
জাহিদ মালেকের স্ত্রীর নাম শাবানা মালেক। এই দম্পতির এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে।
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ "জাহিদ মালেক স্বপন"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১২-০৯।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "৯ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা"। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ২০১৬-১১-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-০৫।
- ↑ "১০ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা"। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার।
- ↑ "বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জানুয়ারি ১, ২০১৯" (পিডিএফ)। ecs.gov.bd। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ১ জানুয়ারি ২০১৯। ২ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৯।
- ↑ "কে কোন মন্ত্রণালয় পেলেন"। নয়াদিগন্ত। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০১-১৬।