জাপান–বাংলাদেশ সম্পর্ক

বাংলাদেশ জাপান সম্পর্ক (জাপানি: 日本とバングラデシュの関係) হলো বাংলাদেশ জাপান দ্বিপক্ষীয় কূটনৈতিক সম্পর্ক। ১৯৭২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি[১] থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের সাথে সাথে জাপানের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হলেও বাঙালিদের সাথে জাপানিজদের সম্পর্ক শতাব্দী প্রাচীন। জাপানকে ঐতিহাসিক ভাবে বাঙালীরা বন্ধু রাষ্ট্র মনে করে। বাংলাদেশ ও জাপানের পতাকার মধ্যেকার সামঞ্জস্যই বাঙালি জাপানিজ সম্পর্ক পরিষ্কার ধারণা দেয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বাঙালি জাতীয়তাবাদী নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু ব্রিটিশদের কাছ থেকে বাংলা স্বাধীন করতে জাপানের রাজার সাহায্য কামনা করলে জাপানের রাজকীয় বাহিনী তার পদাতিক ও বিমান বাহিনী বাংলার অভিমুখে প্রেরন করে। বাঙালি জাপানিজ বন্ধুত্বের স্বারক হিসাবে রয়েছে এই দুই দেশের পতাকা। বর্তমানে জাপান ও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।

বাংলাদেশ–জাপান সম্পর্ক
মানচিত্র Bangladesh এবং Japan অবস্থান নির্দেশ করছে

বাংলাদেশ

জাপান

অর্থনৈতিক সম্পর্ক সম্পাদনা

২০১৫-এর হিসাব অনুযায়ী জাপান বাংলাদেশের ৭তম বৃহত্তম রপ্তানি বাজার।[২] বাংলাদেশ থেকে করা সকল আমদানি জাপানি আমদানির ০.১৭%[৩] জাপানে বাংলাদেশের সাধারণ আমদানির মধ্যে- চামড়াজাত পণ্য এবং চিংড়ি উল্লেখযোগ্য।[৪] ২০০৪ সাল নাগাদ, জাপান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং মালয়েশিয়ার মতো সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের জন্য চতুর্থ বৃহত্তম একটি উৎস হয়ে উঠেছিল। জাপান বাংলাদেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য উৎস।[৫]

জাপানের রাজনৈতিক লক্ষ্য হলো বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক করা।[৫]

২০০১ সালে জাপানে প্রায় ৯৫,০০ বাংলাদেশী ছিল। জাপান বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরপরই ১০ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। উভয় পক্ষ ২০০২ সালে সম্পর্কের ত্রিশ বছর উদ্‌যাপন করে।

১ জুলাই ২০১৬ সালে ঢাকায় জঙ্গিদের দ্বারা সাতটি জাপানি নাগরিক মারা যায়।[৬] জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বলেন, "আমি গভীরভাবে রাগান্বিত অনুভব করছি কারণ অনেক নির্দোষ মানুষ নিষ্ঠুর ও অপ্রত্যাশিত সন্ত্রাসবাদে তাদের জীবন হারিয়েছে"।[৭]

বর্তমানে জাপানি কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী।[৮]বাংলাদেশে নিয়োজিত জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো বলেছেন, বাংলাদেশের সরকারি সংস্থাগুলো যেন বিদেশি বিনিয়োগকারীদের প্রতি আরও সহযোগিতামূলক মনোভাব দেখায়।[৯]

সামরিক সম্পর্ক সম্পাদনা

সাংস্কৃতিক সম্পর্ক সম্পাদনা

জাপান রেডক্রসের প্রধান প্রতিনিধি ফুকিউরা তাদামাসা মুক্তিযুদ্ধকালীন অভিজ্ঞতা নিয়ে বই লিখেছেন চি তো দোরো তো বাঙ্গুরাদেশু দোকুরিতসু নো হিগেকি (১৯৭৩)। [১০]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Japan-Bangladesh Relations, Japan: Ministry of Foreign Affairs, মার্চ ২০০৮, সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৪-০৯ 
  2. "Where did Bangladesh export to in 2015?"The Atlas of Economic Complexity। সংগ্রহের তারিখ ২২ অক্টোবর ২০১৭ 
  3. "Where did Japan import from in 2015?"The Atlas of Economic Complexity। সংগ্রহের তারিখ ২২ অক্টোবর ২০১৭ 
  4. "What did Bangladesh export to Japan in 2015?"The Atlas of Economic Complexity। সংগ্রহের তারিখ ২২ অক্টোবর ২০১৭ 
  5. Ashrafur Rahman, Syed (অক্টোবর–ডিসেম্বর ২০০৫), "Japan's Political and Economic Goals in Bangladesh" (পিডিএফ), Asian Affairs, 27 (4): 41–50, ২৮ মে ২০০৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ৯ এপ্রিল ২০০৮ 
  6. hermesauto (৩ জুলাই ২০১৬)। "Japan victims' families head to Bangladesh in shock after attacks"The Straits Times (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২২ জানুয়ারি ২০১৭ 
  7. hermesauto (২ জুলাই ২০১৬)। "Seven Japanese involved in Bangladesh hostage attack confirmed dead"The Straits Times (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২২ জানুয়ারি ২০১৭ 
  8. "জাপানিরা আসতে চায়, তবে..."দৈনিক প্রথম আলো। ৮ মার্চ ২০২০। 
  9. "জাপানিরা আসতে চায়, তবে..."দৈনিক প্রথম আলো। ৮ মার্চ ২০২০। 
  10. সরকার, প্রবীর বিকাশ (অক্টোবর ১৭, ২০১৫)। "জাপান-বাংলাদেশ সম্পর্ক ও বাংলাদেশ নিউজ প্রসঙ্গ"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ৩০, ২০২২ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা