জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল
জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল (৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৯০ তারিখে জন্ম) একজন বাংলাদেশি মডেল, সুন্দরী প্রতিযোগিতায় শিরোপাজয়ী, যাকে মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ ২০১৭ এর মুকুট পরানো হয়েছিল।[৩][৩][৪][৫] যদিও ২০১৭ সালের ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ মিস বাংলাদেশ প্রতিযোগিতার ফাইনালের দিন, তাকে মিস বাংলাদেশ ঘোষণা করা হয়েছিল, তবুও এটি সমালোচিত হয়েছিল কারণ তিনি বিচারকদের বিচারে সেরা না হলেও, আয়োজকরা তাকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণণের সময় তিনি তার বয়স লুকিয়ে রেখেছেন এবং তিনি বৈবাহিক অবস্থাও গোপন করেছেন। যদিও মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ এর নিয়ম অনুসারে প্রতিযোগীকে অবিবাহিত থাকতে হয়। এ কারণে আয়োজকরা বিজয়ী ঘোষণার ৪ দিন পর ৪ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে তাকে 'অযোগ্য' ঘোষণা করেন এবং জেসিয়া ইসলামকে নতুন মিস বাংলাদেশ ২০১৭ ঘোষণা করেন।[৬]
জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল | |
---|---|
![]() একটি অনুষ্ঠানে জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল | |
জন্ম | [১] | ৪ সেপ্টেম্বর ১৯৯০
অন্যান্য নাম | এভ্রিল/আমেনা |
পেশা | মডেল |
কর্মজীবন | ২০১৫-বর্তমান |
আদি নিবাস | চট্টগ্রাম |
উচ্চতা | ১.৭২ মিটার (৫ ফুট ৭+১⁄২ ইঞ্চি) |
দাম্পত্য সঙ্গী | মুহম্মদ মনজুর উদ্দিন (বি. ২০১৩; বিচ্ছেদ. ২০১৩)[২] |
সুন্দরী প্রতিযোগিতায় শিরোপাধারী | |
সংস্থা | অন্তর শোবিজ-ওমিকন এন্টারটেইনমেন্ট |
চুলের রং | কালো |
চোখের রং | কালো |
প্রারম্ভিক জীবন
সম্পাদনাজান্নাতুল নাঈম এভ্রিল/আমেনা ১৯৯০ সালে বাংলাদেশের চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।[৭] তিনি মোটরসাইকেল রাইডিং সম্পর্কে খুব উত্সাহী ছিলেন। তার বাবার নাম তাহের মিয়া এবং মায়ের নাম রেজিয়া বেগম। তিনি ২০১৩ সালে বরামা ত্রাহি মেনকা হাইস্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন। এরপর তিনি কক্সবাজারের একটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। তারপর তিনি ঢাকায় চলে যান। জান্নাতুল তার চাচার কাছ থেকে বাইক চালানো শিখেছিলেন যখন তার বয়স ১৪ বছর ছিল। পরে, তিনি বাইক চালনায় অভিজ্ঞ হয়ে ওঠেন এবং মহিলা বাইক রাইডারদের কাছে নিজেকে অনুকরণীয় করে তোলেন।
ক্যারিয়ার
সম্পাদনাজান্নাতুল নাঈম এভ্রিল/আমেনা বাংলাদেশের একজন উঠতি মডেল, তবে একজন মহিলা বাইকার হিসেবেও সমানভাবে পরিচিত। তিনি মূলত মিস বাংলাদেশ ২০১৭ জেতার পর আলোচনায় আসেন।
মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশের ঘটনা
সম্পাদনাজন্নাতুল নাঈম এভ্রিল/আমেনা 'মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ ২০১৭' জয়ী হন। তিনি ২০১৭ সালের অক্টোবর ২ তারিখে মর্যাদাপূর্ণ এ মুকুট জয় করেন।[৩] পরে জানা যায় যে তিনি বৈবাহিক অবস্থা সম্পর্কে তার ব্যক্তিগত তথ্য জালিয়াতি করেছেন। তিনি ২০১১ সালের ২১ মার্চ বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন, কিন্তু তার বিয়ে প্রায় সাড়ে ছয় মাস টিকে ছিল। এই তথ্যটি এই প্রতিযোগিতার নিয়ম ও বিধিমালা অনুযায়ী বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে একটি বিতর্ক তৈরি ও বিতর্কের দিকে পরিচালিত করে, এটি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে বিবাহিত নারী এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারে না। এর পর, জান্নাতুলের এই সমস্ত বিতর্কের জন্য মুকুটটি ফেরত নেওয়া হয়।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "১৬ নয়, জান্নাতুলের বয়স ছিল ২৩!"। প্রথম আলো।
- ↑ "বিয়ে ও ডিভোর্সের কথা স্বীকার করলেন জান্নাতুল নাঈম"। মানবজমিন। ৩ অক্টোবর ২০১৭। ১২ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ ক খ গ "বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধি এভ্রিল/আমেনা"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "বিশ্বের সুন্দরীদের সঙ্গে লড়বেন জান্নাতুল নাঈম"। প্রথম আলো। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ "'মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ' হলেন জান্নাতুল নাঈম"। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০১৮।
- ↑ "মুকুট খোয়ালেন জান্নাতুল নাঈম"। প্রথম আলো। ৪ অক্টোবর ২০১৭।
- ↑ "১৬ নয়, জান্নাতুলের বয়স ছিল ২৩!"।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাপুরস্কার ও স্বীকৃতি | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া |
মিস বাংলাদেশ ২০১৭ মুকুটচ্যুত |