জানা আমিন একজন মিশরীয়-আমেরিকান কর্মী যিনি মেয়েদের শিক্ষা এবং নারীর ক্ষমতায়নের পক্ষে ওকালতি করার জন্য পরিচিত। [৩] তিনি তার সক্রিয়তা জীবন শুরু করেছিলেন মুসলিম নারীদের বাস্তবতা বর্ণনা করে।

জানা আমিন
জন্ম (2003-05-24) ২৪ মে ২০০৩ (বয়স ২০) [১]
রোজি হাসপাতাল, কেম্ব্রিজ [২]
জাতীয়তামিশরীয়-আমেরিকান
মাতৃশিক্ষায়তনহার্ভার্ড কেনেডি স্কুল
পেশানারীর ক্ষমতায়ন এর জন্য লড়াই
পরিচিতির কারণমেয়েদের শিক্ষা এবং মুসলিম নারীর ক্ষমতায়নের পক্ষে ওকালতি
আত্মীয়রানা এল কালিউবি (মা)
ওয়েবসাইটwww.janaamin.com

পটভূমি সম্পাদনা

অল্প বয়সে জানা যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। তার মা রানা এল কালিউবি একজন বিশিষ্ট কম্পিউটার বিজ্ঞানী এবং উদ্যোক্তা। [৪][৫] জানার এক ছোট ভাই আছে।

ক্যারিয়ার সম্পাদনা

জানা জর্ডানে অবস্থিত একটি এনজিও কোলাটারাল রিপেয়ার প্রজেক্টের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যা মেয়ে ও মহিলা শরণার্থীর অধিকারকে সমর্থন করে। [৬] তিনি জর্দানে শরণার্থী মেয়ে ও মহিলাদের ইংরেজি শিখিয়েছিলেন কোলেটারাল রিপেয়ার প্রজেক্টে যোগদানের পরপরই। [৭] তিনি মিশরভিত্তিক একটি এনজিও হেয়া মাসরের সাথেও কাজ করেছেন যা তরুণীদের জন্য সচেতনতা ক্ষমতায়ন কর্মসূচি পরিচালনা করে এবং যা মেয়েদের শিক্ষার অর্থায়ন করে। তিনি মুসলিম নারীদের অধিকারের জন্য একটি ইন্সটাগ্রাম প্রচারাভিযান হিসেবে বান্টোটা বা বান্টোটা (আরবিতে "মেয়ে" শব্দটি) চালু করেন এবং মুসলিম মহিলাদের সম্পর্কে পরিবর্তিত আখ্যান সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য একটি টেডএক্স-ইয়ুথ টক প্রদান করেন। তিনি মেয়েদের শিক্ষার তাৎপর্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির পক্ষে সমর্থনের জন্য "#১৭ জন্য ১৭ : মেয়েদের শিক্ষা নামে অনলাইন ভার্চুয়াল ইভেন্টেরও আয়োজন করেছেন। [৮]

তিনি বর্তমানে হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলে মধ্যপ্রাচ্যের উদ্যোগে রিসার্চ ইন্টার্ন হিসেবে কাজ করেন। তিনি কায়রোর আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রিন্সেস ফাউজিয়া এবং মিশরীয় মহিলাদের দ্বৈততা শীর্ষক একটি প্রদর্শনীও তৈরি করেছিলেন। [৮] তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে মালালা ইউসুফজাইয়ের বক্তৃতায় অংশ নেন। এরপর তিনি যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিলেন তা শেয়ার করে মালালা তহবিল প্রকাশনা "অ্যাসেম্বলি" এর জন্য একটি সম্পাদকীয়ও লিখেছিলেন। [৯] ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে, তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৫ তম বার্ষিক অধিবেশনে অনলাইনের মাধ্যমে একটি হাই-প্রোফাইল ইভেন্টে অংশ নিয়েছিলেন। [৭]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. el Kaliouby, Rana; Coleman, Carol (২০০০)। Girl Decoded। Penguin Random House। পৃষ্ঠা 115। আইএসবিএন 978-1-9848-2476-9 
  2. el Kaliouby, Rana; Coleman, Carol (২০০০)। Girl Decoded। Penguin Random House। পৃষ্ঠা 114। আইএসবিএন 978-1-9848-2476-9 
  3. "Changing the narrative around Muslim Women and supporting girl's education with Jana Amin, Egyptian-American Advocate (#16)"This is Candor (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-১২-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-২৫ 
  4. Kaliouby, Rana el (২০১৯-০৫-১১)। "Affectiva Co-Founder Rana el Kaliouby on How She Built a Tech Startup as a Single Mom 5,000 Miles From Home"Inc.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-২৫ 
  5. Wu, Steffi (২০২০-০৪-০১)। "Rana el Kaliouby decodes her memoir "Girl Decoded""Medium (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-২৫ 
  6. "Collateral Repair Project (official website)" 
  7. "UNGA 2020: 'I began my activist journey by telling the story of Muslim women I knew'"The National (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৯-২৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-২৫ 
  8. "'Imagine if Every Girl in Egypt was Educated': Meet Activist Jana Amin | Egyptian Streets" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-১১-২৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-২৫ 
  9. "Protecting progress for girls' education — Assembly! Malala Fund"Assembly (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-২৫