জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা
ন্যাশনাল লিগাল এইড সার্ভিসেস অর্গানাইজেশন ( জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা ) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রকের অধীনে বাংলাদেশ সরকারের একটি বিধিবদ্ধ সংস্থা যা দরিদ্র বাংলাদেশীদের আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য দায়বদ্ধ।[১][২][৩] সিনিয়র জেলা জজ মোঃ সাইফুল ইসলাম সংগঠনের বর্তমান পরিচালক।[৪]
গঠিত | ২০০১ |
---|---|
সদরদপ্তর | ঢাকা, বাংলাদেশ |
যে অঞ্চলে কাজ করে | বাংলাদেশ |
দাপ্তরিক ভাষা | বাংলা |
প্রধান অঙ্গ | বাংলাদেশের আইন মন্ত্রণালয় |
ওয়েবসাইট | National Legal Aid Services Organization |
ইতিহাস
সম্পাদনাবাংলাদেশ সরকারের আইন সহায়তা কর্মসূচী বাস্তবায়নের নিমিত্তে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক ইতোপূর্বে ১৯৯৪ ও ১৯৯৭ সালে দুইবার রেজুলেশন করা হলেও লিগ্যাল এইড ব্যবস্থার প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ না হওয়ায় সে সময়কার আইন সহায়তা কর্মসূচি ব্যর্থ হয়। এ কারণে ২০০০ সালে আইনগত সহায়তা প্রদান আইন পাশ হওয়ার পরপরই সরকার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হিসেবে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা প্রতিষ্ঠা করে। সমগ্র বাংলাদেশে সরকারি আইন সহায়তা কার্যক্রম বাস্তবায়নের দায়িত্ব এ সংস্থার উপর ন্যস্ত থাকলেও প্রয়ােজনীয় প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামাের অভাবে ২০০৯ সালের পূর্ব পর্যন্ত সরকারি আইন সহায়তা কর্মসূচীর উল্লেখযােগ্য কোনাে অগ্রগতি হয়নি। ২০০৯ সালে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থাকে একটি সক্ষম ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তােলার প্রথম উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এ সময় সংস্থার জনবল কাঠামাে পুন:বিন্যাস করে প্রয়ােজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা- কর্মচারী নিয়ােগ প্রদান করা হয়। প্রথমবারের মতাে সংস্থায় পূর্ণকালীন পরিচালক নিয়ােগ করা হয়। সংস্থার অফিসসহ অন্যান্য ভৌত অবকাঠামাে সৃষ্টি করা হয়। সংস্থার অধীনে দেশের ৬৪টি জেলায় জেলা ও দায়রা জজের নেতৃত্বে জেলা লিগ্যাল এইড কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রত্যেক জেলা জজ আদালত ভবনে একটি লিগ্যাল এইড অফিস স্থাপন করা হয়। জেলা লিগ্যাল এইড কমিটিকে পুনর্গঠনের পাশাপাশি সারাদেশের উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে লিগ্যাল এইড কমিটি গঠন করা হয়। সুপ্রীম কোর্টে লিগ্যাল এইড কার্যক্রমকে ঢেলে সাজানাে হয়। লিগ্যাল এইড বিষয়ক আইন, নীতিমালা ও প্রবিধানমালা সংশােধন করা হয়। দরিদ্র জনগণকে আইনগত পরামর্শসহ তথ্য সেবা প্রদানের লক্ষ্যে হটলাইন সার্ভিস চালুর পাশাপাশি সংস্থার সেবাধর্মী কার্যক্রমকে ডিজিটাইলাইজ করার জন্য ওয়েবসাইট তৈরী করা হয়েছে। এছাড়া আইন সহায়তা বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে রেডিও, টেলিভিশনে টিভিসি সম্প্রচার শুরু করা হয়েছে।[৫][৬][৭]
কার্যক্রম
সম্পাদনাআইনগত সহায়তা প্রদান আইন, ২০০০ এর আওতায় বাংলাদেশ সরকারের আইনগত সহায়তা কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
বাংলাদেশের প্রত্যেক জেলা ও দায়রা জজ আদালতে একটি করে লিগ্যাল এইড অফিস রয়েছে। এসব অফিসে দরিদ্র জনগোষ্ঠী বিনামূল্যে আইনগত সহায়তা চাইতে পারে। এছাড়া প্রত্যেক উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে লিগ্যাল এইড কমিটি রয়েছে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা"। nlaso.gov.bd (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৯।
- ↑ "Govt determined to prevent violence against women"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ৩ মার্চ ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৯।
- ↑ "Three lakh litigants' access to justice ensured: Anisul"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২৭ এপ্রিল ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৯।
- ↑ "জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা-গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার"। nlaso.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৯।
- ↑ "জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা"। nlaso.gov.bd (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৯।
- ↑ "Overview of government legal aid system"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২৯ এপ্রিল ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৯।
- ↑ "Launching of the Supreme Court legal aid office"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৯।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাএই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |