জাইলস ডিকন
জাইলস ডিকন (ইংরেজি: Giles Deacon) হলেন একজন ইংরেজ ফ্যাশন ডিজাইনার, সৃজনশীল পরিচালক এবং জাইলস ডিকন গ্রুপ, কউচার ফ্যাশন হাউসয়ের প্রতিষ্ঠাতা। জাইলস ২০১৬ সালে প্যারিস ফ্যাশন সময়সূচীতে যোগদান করেন। জাইলস প্রথাগত ধারনার নারী পোশাকপরিচ্ছদকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য পরিচিত এবং প্রায়ই তার নকশাগুলিতে বন্য অঙ্কন এবং পপ সংস্কৃতির বিকল্প ব্যবহার করে থাকেন। ২০০৩ সালে তার নিজের ব্যান্ড জাইলসয়ের প্রতিষ্ঠার পূর্বে ডিকন বিটগা জিটিস এবং গুচি নামক দুটি ফ্যাশন সংস্থায় চাকরি করেছেন। তিনি ২০০৪ সালের লন্ডন ফ্যাশন সপ্তাহে জাইলস জন্য তার প্রথম সংগ্রহটি চালু করেন এবং ব্রিটিশ ফ্যাশন পুরস্কারে "সেরা নতুন ডিজাইনার" হিসাবে পুষ্কার পেয়েছিলেন। জাইলস ডিকনের নকশা সমালোচনামূলকদের দ্বারা প্রশংসা সঙ্গে পূরণ করা হয়েছে এবং লন্ডন ফ্যাশন একটি নূতন আগ্রহ উদ্দীপ্ত হয়েছে। তিনি ফ্যাশন শিল্পের সবচেয়ে অনুরাগী পরিস্হিতদের মধ্যে একটি হয়ে ওঠেন, জাইলস ডিকনে ২০০৬ সালে ব্রিটিশ ফ্যাশন ডিজাইনার ওফ দি ইয়ার নাম দেওয়া হয়েছিল এবং ২০০৯ সালে ফরাসি এএনডিএএম ফ্যাশন অ্যাওয়ার্ডয়ের গ্র্যান্ড প্রিক্স পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছিল। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে ডিজাইনার হিসাবে জাইলস ডিকন ফরাসি ফ্যাশন সংস্থা উনগারের সৃজনশীল পরিচালক নিযুক্ত হন। তিনি ফ্যাশন সংস্থা উনারগারের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতা শেষ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্বে সেপ্টেম্বর ২০১১ সাল পর্যন্ত ফ্যাশন সংস্থা উনারগারে সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। জাইলস তার নকশা করা প্রথম পোশাকের সংগ্রহ প্রকাশ করেন ২০১৬ সালে।
জাইলস ডিকন | |
---|---|
Born | ১৯৬৯ (বয়স ৫৪–৫৫)[১] ডার্লিংটন, ইংল্যান্ড |
Label(s) | জাইলস ডিকন কউচার, জাইলস |
Partner(s) | গয়েন্দোলাইন ক্রিস্টির (২০১৩ সাল থেকে) |
Awards | ব্রিটিশ ফ্যাশন ডিজাইনার ওফ দি ইয়ার এএনডিএএম ফ্যাশন অ্যাওয়ার্ড গ্র্যান্ড প্রিক্স ২০০৯ |
প্রারম্ভিক জীবন
সম্পাদনাজাইলস ডিকন কাউন্টি ডারহামের ডার্লিংটনে জন্মগ্রহণ করেন, কিন্তু লেক জেলার উলসওয়াটারের কাছাকাছি বেড়ে উঠেছেন।[২][৩] তিনি একজন কৃষিজ দ্রব্য বিক্রয়কর্তা ডেভিড, এবং গৃহিনী জুডিথ'য়ের কনিষ্ট সন্তান। জাইলস ডিকনের এক বড় বোন আছে।[৩][৪] জাইলস কাউন্টি ডারহামের বার্নার্ড কাসল স্কুলে যোগদান করেন এবং তিনি "নৃত্যবিজ্ঞানের মানসিকতা" নিজের সাথে জড়িয়ে নিয়েছিলেন।[২] তিনি প্রাথমিকভাবে একজন সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানী হতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তিনি তার রসায়ন বিষয়ে ব্যর্থ হয়েছিলেন।[৩][৫] পরে তিনি হরোগেট কলেজ অফ আর্টসে যোগদান করেন, যেখানে তিনি একটি কলা ভিত্তি কোর্স সম্পন্ন করেন।[৬] তার কোর্স শেষ করার পর তিনি সেন্ট্রাল সেন্ট মার্টিন্সয়ে পড়াশোনা করতে যান এবং সেখানে তিনি ফ্যাশন ডিজাইনার আলেকজান্ডার ম্যাককুইন এবং লুইলা বার্টলি একই শ্রেণীতে ছিলেন।[৭][৮] তিনি ১৯৯২ সালে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ডোরান ডিকনয়ের লেবেলটি তার বন্ধু, ফাই ডারানের সঙ্গে ডেজেড অ্যান্ড কনফিউজ চিত্রানুষ্ঠানের সাথে সহযোগিতা শুরু করেন।[২]
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনাজাইলস লন্ডন, ডার্লিংটনে অবস্থিত তার বাড়ি প্যারিস এবং ইতালিতে তার এপার্টমেন্টে জীবনের বেশির ভাগ সময় অতিবাহিত করেন।[১][৯] তিনি ২০১৩ সালের শুরু থেকে অভিনেত্রী গয়েন্দোলাইন ক্রিস্টির সঙ্গে সম্পর্কে যুক্ত আছে।[১০]
জাইলস ডিকনের প্রধান শখগুলি হল সাঁতার, হাইকিং এবং বাগান তৈরি ও তার পরিচর্চা।[৩] তিনি তার নকশা এবং শৈলী অনুপ্রেরণা মধ্যে এলসা সিকাপার্লি, মিউচিয়া প্রডা, কোকো চ্যানেল, জনাব জে.এম. মিল্ট, এবং ইভস সেন্টলরেন্ট প্রভৃতিকে গণ্য করেন।[১১][১২]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "My Secret Life: Giles Deacon"। The Independent। Independent News & Media। ২৪ অক্টোবর ২০০৯। ২৯ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ এপ্রিল ২০১৮।
- ↑ ক খ গ "Giles Deacon: King of London"। The Independent। Independent News & Media। ১০ ফেব্রুয়ারি ২০০৭। ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১০।
- ↑ ক খ গ ঘ Barber, Lynn (৭ সেপ্টেম্বর ২০০৮)। "Why the fashion editors love Giles"। The Guardian। Guardian Media Group। ১২ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ এপ্রিল ২০১০।
- ↑ Slater, Lydia (৩ জুলাই ২০০৯)। "Giles Deacon: Cutting A Splash"। London Evening Standard। Associated Newspapers। ২২ এপ্রিল ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০১০।
- ↑ Day, Elizabeth (৩০ মে ২০১০)। "Giles Deacon: the down-to-earth northerner who has stormed the heights of Paris couture"। The Guardian। Guardian Media Group। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০১০।
- ↑ Cavendish, Lucy (১ ডিসেম্বর ২০০৯)। "Giles Deacon: The unlikely lad of fashion"। The Daily Telegraph। Telegraph Media Group। ৪ ডিসেম্বর ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১০।
- ↑ Alexander, Hilary (৩০ সেপ্টেম্বর ২০০৯)। "British designer Giles Deacon wins French fashion's 2009 'grand prix'"। The Daily Telegraph। Telegraph Media Group। ৩ অক্টোবর ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১০।
- ↑ Rothe, Marcus (১০ ডিসেম্বর ২০০৮)। "Giles Deacon Interview"। Style Magazine। ২৫ মার্চ ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ মার্চ ২০১০।
- ↑ Jones, Dolly (২৫ মে ২০১০)। "Giles Arrives"। Vogue। Condé Nast Publications। ২৮ মে ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ আগস্ট ২০১০।
- ↑ Cronin, Emily (৬ আগস্ট ২০১৬)। "Game of Thrones actress Gwendoline Christie talks working with partner Giles Deacon: 'I wear armour and I wear couture – both fascinate me'"। The Daily Telegraph। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০১৭।
- ↑ Copping, Nicola (১৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৮)। "The Smashing Style Of Giles Deacon"। The Times। Times Newspapers Ltd। ১৫ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১০।
- ↑ Shollenbarger, Maria (১৭ সেপ্টেম্বর ২০১০)। "Giles Deacon talks personal style: Part Two"। Financial Times। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৬।