জয়বাবা ফেলুনাথ

সত্যজিৎ রায় রচিত গোয়েন্দা কাহিনী ফেলুদা সিরিজের বই

জয়বাবা ফেলুনাথ সত্যজিৎ রায় রচিত ফেলুদা সিরিজের একটি গোয়েন্দা উপন্যাস। সোনার কেল্লার মত এই উপন্যাসেরও চলচ্চিত্র রূপ দেওয়া হয়। এই উপন্যাসটি ১৯৭৫ সালে (১৩৮২ বঙ্গাব্দ) শারদীয়া দেশ পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়। আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড ১৯৭৬ সালে সেপ্টেম্বর মাসে গ্রন্থাগারে প্রকাশ করে। বইটির প্রচ্ছদ ও অলংকরণ করেন সত্যজিৎ রায়।

কাহিনী

সম্পাদনা

ফেলুদা মাসতুতো ভাই তোপ্‌সে এবং বন্ধু লালমোহনবাবুর (জটায়ু) সঙ্গে ছুটি কাটাতে বেনারসে এসেছেন। বিখ্যাত মছলিবাবাকে দেখার জন্য ওনারা বেনারসের দ্বারভাঙ্গা ঘাটে যান। সেখানে উমানাথ ঘোষাল মহাশয়ের সঙ্গে আলাপ হয়। উমানাথবাবু ফেলুদাকে জানান যে একটা দুষ্প্রাপ্য এবং দামী গণেশ মূর্তি ওনার বাবার সিন্দুক থেকে চুরি গেছে। উমানাথ ঘোষালের বাবা অম্বিকা ঘোষাল ফেলুদাকে গণেশ মূর্তি উদ্ধার করবার দায়িত্ব দেন। উমানাথবাবুর পরিবারের লোকজনদের জেরা করবার সময় ফেলুদার সঙ্গে উমানাথবাবুর আট বছরের ছেলে রুকু এবং উমানাথ ঘোষালের পরিবারে আশ্রিত বিকাশের আলাপ হয়। মগনলাল মেঘরাজ ফেলুদার প্রধান দুশমন, এই কেসে তার প্রথম দেখা পাওয়া যায়,সে ছিল উমানাথের দোস্ত। যাতে ফেলুদা কেস তদন্ত না করতে পারে আর গণপতি মূর্তি পাওয়ার জন্য ফেলুদার ক্ষতি করার চেষ্টা করে।মূলত মছলি বাবা তার লোক।

তদন্তের সময় ফেলুদাকে মগনলালের মোকাবিলা করতে হয়।