স্যার জন চিপ (১৭৯২–১৮৭৬) ছিলেন দক্ষিণ এশিয়ার একজন স্কটিশ জেনারেল।

জীবন সম্পাদনা

জন চিপ ওউলিচএডিসকোম্বে পড়াশোনা করেছেন। ১৮০৯ সালের ৩ নভেম্বর তিনি বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ার্সে সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট হিসেবে যোগ দেন। প্রথমে তিনি তৃতীয় ইঙ্গ-মারাঠা যুদ্ধে এবং ১৮১৫ ও ১৮১৬ সালের ধামনি ও মন্ডেলা অবরোধে অংশ নিয়েছেন। এরপর ১৮১৭ সালে তিনি কর্নেল এডামসের অধীনে নর্মদা রিভার ফিল্ড ফোর্সে‌ দায়িত্বপালন করেছেন। ১৮১৮ সালে জন ডোভটন ও জন ম্যালকমের অধীনে তিনি আসিরগড় অবরোধে অংশ নিয়েছেন। ১৮২১ সালের ১ মার্চ তিনি ক্যাপ্টেন পদে উন্নীত হন।[১]

১৮২৪ সালে তাকে বার্মা প্রেরণ করা হয় এবং সেখানে প্রথম ইঙ্গ-বার্মিজ যুদ্ধের তিনটি অভিযানে অংশগ্রহণ নেন। এরপর দুই দশকের বেশি সময় তিনি পুরকৌশলে নিয়োজিত ছিলেন। পাশাপাশি তিনি পদোন্নতি পেয়ে ১৮৩০ সালে মেজর, ১৮৩৪ সালে লেফটেন্যান্ট-কর্নেল এবং ১৮৪৪ সালে কর্নেল হন। ১৮৪৮ সালে মুলতান অবরোধের পরিকল্পনার সময় তাকে পাঞ্জাবে পাঠানো হয়। তাকে প্রধান প্রকৌশলী নিযুক্ত করা হয় এবং তিনি দুর্গের পতনের জন্য পরিচালিত অপারেশনে নেতৃত্ব দেন। এরপর তিনি এরপর হিউ গফের অধীনে কাজ করেন। গুজরাটের যুদ্ধে তিনি গোলন্দাজদের পরিচালনা করেছেন। গফ নিজের প্রেরিত বার্তায় চিপের নাম উল্লেখ করেছেন। চিপকে সি.বি. এবং রাণীর এইড-ডি-ক্যাম্প প্রদান করা হয়।[১]

১৮৫২ সালে দ্বিতীয় ইঙ্গ-বার্মিজ যুদ্ধের শুরু হওয়ার পর চিপ ব্রিগেডিয়ার-জেনারেল হন এবং তাকে জেনারেল হেনরি গডউইনের সেকেন্ড ইন কমান্ড নিযুক্ত করা হয়। ১৮৫৩ সালের ফেব্রুয়ারি চিপ কমান্ড গ্রহণ করে পেগু আক্রমণ করেন। অভিযানে তিনি সফল হন এবং পেগু ও তেনাসেরিমকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনাধীন অঞ্চলের সাথে একীভূত করা হয়।[১]

১৮৫৪ সালে চিপ মেজর-জেনারেল পদে উন্নীত হন। তিনি পদক লাভ করেন এবং কে.সি.বি. হন। এরপর তিনি ভারত ত্যাগ করে চলে যান। তিনি ওয়িট দ্বীপে বসবাস শুরু করেন। ১৮৫৯ সালের ২৪ মে তিনি লেফটেন্যান্ট-জেনারেল হিসেবে এবং ১৮৬৬ সালের ৬ ডিসেম্বর জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি পান। এছাড়াও ১৮৬৫ সালে তিনি জি.সি.বি. হন। ১৮৭৫ সালের ৩০ মার্চ তিনি ভেন্টনরের ওল্ড পার্কে মৃত্যুবরণ করেন।[১]

পরিবার সম্পাদনা

১৮৩৫ সালে জন চিপ বেঙ্গল সিভিল সার্ভিসের টি. চিচলে প্লাওডেনের কন্যা এমেলিয়াকে বিয়ে করেন।[১]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1.   Leslie Stephen, সম্পাদক (১৮৮৭)। "Cheape, John"। Dictionary of National Biography10। London: Smith, Elder & Co।