ছাতা, ছত্র, ছত্রী, ছাতি রোদ বা বৃষ্টি হতে মাথা বাঁচাবার জন্য প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে। পরে রংবেরঙের ছাতা কখনো ফ্যাশন, কখনো মর্যাদার প্রতীক হিসাবেও বহুভাবে ব্যবহৃত হয়েছে।

ছাতা হাতে শিশু
একটি ছাতার অংশ[]
কাছ থেকে একটি ঐতিহ্যগত জাপানি ছাতা (higasa)

ছাতার বাঁট

সম্পাদনা
 
বাংলাদেশের মাথাল সদৃশ বাঁটহীন ছাতা। ভিয়েনা ২০০৭।

হাতে ধরার দণ্ড। অনেক সময় হাতল ধরার বা ঝুলিয়ে রাখার সুবিধার্থে আঁকশির মত বাঁকা হয়। অনেক ক্ষেত্রে ছাতার বাঁট থাকে না, মাথায় সাঁটানো হয়।

ছাতার উপরের অংশ

সম্পাদনা
  • কাপড়ের ছাতা
  • তালপাতার ছাতা
  • কাঠের ছাতা

হিউয়েন সাঙ ইত্যাদি পরিব্রাজকদের পিঠে বাঁধা ছাতা

ছত্রবাহক

সম্পাদনা

রাজারাজড়াদের সঙ্গে তাদের মাথায় ছাতা ধরে ছত্রবাহক ঘুরত।

বিভিন্নদেশে ছাতা

সম্পাদনা

বাংলাদেশ

সম্পাদনা

বাংলাদেশে আগে কাঠের বাঁট ও সুতি কাপড়ের এক ভাজের ছাতা বিক্রি হতো যা টেকসই ছিল। কিন্তু বর্তমানে চীন থেকে আমদানি করা ভাঁজ করা ছাতা বাংলাদেশের স্থানীয় মার্কার নামে বেশি বিক্রি হয়। ভাঁজ করা ছাতার মধ্যে শংকর, এটলাস, মুন, রহমান এর ছাতা বেশি বিক্রি হয়। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৪৬ লাখ ১০ হাজারের বেশি সংখ্যক ছাতা ও ৩১০০ মেট্রিক টন ছাতা সংশ্লিষ্ট পণ্য আমদানি করেছে। সবচেয়ে বেশি আমদানি করা হয়েছে চীন থেকে।   বাংলাদেশে ছাতার বাজার প্রায় ৫০০ কোটি টাকার। এ পরিমাণ টাকার মধ্যে কর্মী খরচ হিসেবে স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলো বছরে কেবল ১০ কোটির মতো আয় করতে পারে।[]

ব্যাঙের ছাতা

সম্পাদনা

ব্যাসিডিওমাইসেটিস জাতীয় ছত্রাককে ব্যাঙের ছাতা বলা হয়, কারণ এরা দেখতে অনেকটা খোলা ছাতার মত লাগে।

সাহিত্যে ছাতা

সম্পাদনা

কল্পবিজ্ঞানে ছাতা হতে পারে প্যারাশুট, নৌকা ইত্যদি।

শিল্পে ছাতা

সম্পাদনা

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা