চৌধুরী হারুনুর রশীদ

বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ

চৌধুরী হারুনুর রশীদ একজন ভাষাসৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার বামপন্থী রাজনীতিবিদ যিনি তৎকালীন চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।[১][২]

চৌধুরী হারুনুর রশীদ
চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
৭ মে ১৯৮৬ – ৩ মার্চ ১৯৮৮
পূর্বসূরীনজরুল ইসলাম
উত্তরসূরীসিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মচট্টগ্রাম জেলা
মৃত্যু১৯ অক্টোবর ২০০০
রাজনৈতিক দলন্যাপ মোজাফফর

প্রাথমিক জীবন

সম্পাদনা

চৌধুরী হারুনুর রশীদ চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার মনসা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

রাজনৈতিক জীবন

সম্পাদনা

চৌধুরী হারুনর রশিদ বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের (টিইউসি’র) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। রাজনৈতিক ও শ্রমিক আন্দোলনের বিশাল ক্যানভাসে ছড়ানো ছিল তার কর্মকাণ্ড। ৫২’র ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে প্রথম গ্রেফতার বরণ করেন। একনাগারে ৪ বছর জেল খেটে ৫৬ সালে মুক্তিপান। মুক্তির ২ বছর পর সামরিক শাসন জারী হলে তার উপর আবার গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী হয়। পার্টি, রাজনীতি, শ্রমিক সংগঠনের কাজে গ্রেফতারী পরোয়ানা মাথায় নিয়ে দীর্ঘ ১৩ বছর আত্মগোপনে থেকে সংগঠন ও আন্দোলন গড়ে তোলেন। ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, ন্যাপ, সিপিবি, ছাত্র ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধাদের নেতৃত্ব প্রদান করেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর জিয়াউর রহমানের শাসনামলে স্বাধীন বাংলাদেশেও তাকে আবারও গ্রেফতারী পরোয়ানা মাথায় নিয়ে আত্মগোপনে যেতে হয়। তিনি একাধারে কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, ন্যাপের সহ-সভাপতি, টিউইসি ও রেল শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। তিনি দীর্ঘ পাঁচ দশক রাজনীতি ও শ্রমিক আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। হারুনুর রশীদ ১৯৮৬ সালের তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ন্যাপ (মোজাফফর) এর প্রার্থী হিসেবে কুঁড়েঘর প্রতীকে চট্টগ্রাম-১১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[১]

মৃৃৃৃৃত্যু

আজীবন ত্যাগী এই বিপ্লবী নেতা দীর্ঘ রোগভোগের পর ২০০০ সালের ১৯ অক্টোবর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "৩য় জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  2. The Election Archives (ইংরেজি ভাষায়)। Shiv Lal। ১৯৮১।