চীনা মহাকাশ কর্মসূচি
টেমপ্লেট:History of science and technology in China
গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের মহাকাশ কর্মসূচি বলতে গণপ্রজাতন্ত্রী চীন সরকার দ্বারা মহাকাশে পরিচালিত কর্মকাণ্ডসমূহকে বোঝায়। চীনা মহাকাশ কর্মসূচটির মূল ১৯৫০-এর দশকে প্রোথিত, যখন নব্য মিত্র সোভিয়েত ইউনিয়নের সাহায্যে চীন তার প্রথম নিক্ষেপী ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট কর্মসূচির বিকাশ শুরু করে। প্রথমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ও পরবর্তীতে (চীন-সোভিয়েত বিচ্ছেদের পরে) সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছ থেকে অনুভূত হুমকির প্রত্যুত্তরে এই কর্মসূচিগুলির কাজ হাতে নেওয়া হয়। সোভিয়েত স্পুতনিক ১ ও মার্কিন এক্সপ্লোরার ১ কৃত্রিম উপগ্রহগুলির সফল উৎক্ষেপণের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে চীনও ১৯৭০ সালের এপ্রিল মাসে তার প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ তুংফাংহুং ১ দীর্ঘ অভিযাত্রা ১ রকেটের পিঠে করে উৎক্ষেপণ করে এবং ভূ-কক্ষপথে কৃত্রিম উপগ্রহ স্থাপনকারী ৫ম রাষ্ট্রের মর্যাদা অর্জন করে।
চীন বিশ্বের সবচেয়ে সক্রিয় মহাকাশ কর্মসূচিগুলির একটির অধিকারী। দীর্ঘ অভিযাত্রা রকেট পরিবার ও নিজ সীমান্তের অভ্যন্তরে অবস্থিত চারটি মহাকাশ বন্দরের (চিওছুয়ান মহাকাশ বন্দর, থাই-ইউয়েন মহাকাশ বন্দর, শিছাং মহাকাশ বন্দর ও ওয়েনছাং মহাকাশ বন্দর) প্রদানকৃত মহাকাশ উৎক্ষেপণ সক্ষমতার সুবাদে চীন প্রতি বছর সর্বোচ্চ বা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক ভূ-কক্ষপথে উৎক্ষেপণ সম্পন্ন করে থাকে। দেশটি একটি কৃত্রিম উপগ্রহের বহর পরিচালনা করে, যেটি বহুসংখ্যক যোগাযোগ, পথনির্দেশক, দূরানুধাবন ও বৈজ্ঞানিক গবেষণামূলক কৃত্রিম উপগ্রহ নিয়ে গঠিত।[১] চীনের মহাকাশ কর্মকাণ্ডের আওতা নিম্ন ভূ-কক্ষপথ থেকে চাঁদ হয়ে মঙ্গল গ্রহ পর্যন্ত বিস্তৃতি লাভ করেছে।[২] মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার পাশাপাশি চীন স্বাধীনভাবে মানব মহাকাশ যাত্রার সক্ষমতাবিশিষ্ট তিনটি দেশের একটি।
বর্তমানে চীনের পরিচালিত সিংহভাগ মহাকাশ কর্মকাণ্ড ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আছে চীনের জাতীয় মহাকাশ প্রশাসন ও গণমুক্তি বাহিনীর কৌশলগত সহায়তা বাহিনী। শেষোক্তটি চীনের সামরিক বাহিনী তথা গণমুক্তি বাহিনীর মহাকাশচারী বাহিনী ও চীনা গভীর মহাকাশ জালকব্যবস্থাটিকে পরিচালনা করে।[৩][৪] প্রধান কর্মসূচিগুলির মধ্যে আছে চীনের মানববাহী মহাকাশ কর্মসূচি, পেইতৌ পথনির্দেশক কৃত্রিম উপগ্রহ ব্যবস্থা , চীনের চন্দ্রানুসন্ধান কর্মসূচি, কাওফেন পর্যবেক্ষণ ও চীনের গ্রহানুসন্ধান কর্মসূচি। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে চীন অনেকগুলি অভিযান পরিচালনা করেছে, যার মধ্যে আছে ছাং-ও ৩, ছাং-ও ৪, ছাং-ও ৫, থিয়েনওয়েন-১ ও থিয়েনকুং মহাকাশ কেন্দ্র।
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "How is China Advancing its Space Launch Capabilities?"। Center for Strategic and International Studies। নভেম্বর ৫, ২০১৯।
- ↑ Myers, Steven Lee (২০২১-১০-১৫)। "The Moon, Mars and Beyond: China's Ambitious Plans in Space"। The New York Times (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0362-4331। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-১৩।
- ↑ Kania, Elsa B.; Costello, John (২০২১-০২-২৩)। "Seizing the commanding heights: the PLA Strategic Support Force in Chinese military power"। Journal of Strategic Studies (ইংরেজি ভাষায়)। 44 (2): 218–264। আইএসএসএন 0140-2390। এসটুসিআইডি 219449682। ডিওআই:10.1080/01402390.2020.1747444।
- ↑ Pollpeter, Kevin; Chase, Michael; Heginbotham, Eric (২০১৭)। The Creation of the PLA Strategic Support Force and Its Implications for Chinese Military Space Operations (ইংরেজি ভাষায়)। RAND Corporation। আইএসবিএন 978-0-8330-9872-6। ডিওআই:10.7249/rr2058 ।
টেমপ্লেট:Public-sector space agencies টেমপ্লেট:Chinese space program টেমপ্লেট:Shenzhou program টেমপ্লেট:Tiangong space station